রবিবার ● ২ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » মুক্তমত » রঙিন ভেনপু ব্যাঙ
রঙিন ভেনপু ব্যাঙ
প্রকাশ ঘোষ বিধান =
রঙিন ভেনপু ব্যাঙ। ব্যাঙের একটি প্রজাতি। এদের মাথা ছোট। ব্যাঙের তু-ের শীর্ষ থেকে পায়ুর দৈর্ঘ্য ৮ সেন্টি মিটার। ত্বক মসৃণ বা অনিয়মিত চ্যাপ্টা আচিল থাকে। এদের মাথা ছোট। কাঠের গুড়ি, শুষ্কবনে, মাটির নিচে, জলাশেয় বাস করে। গুল্ম জাতীয় গাছে গর্তে করতে ও আহরণ করতে পারে। বৃস্টির পানি বা পুকুরের পানিতে প্রজনন করে। এই প্রজাতির ব্যাঙ বাংলাদেশ কিছুটা অপ্রতুল। উপকূলীয় খুলনা এলাকায় এ ব্যাঙ দেখা যায়।
দেশে প্রায় ৪৯ প্রজাতির ব্যাঙ রয়েছে। এর মধ্যে সবুজ ব্যাঙ, কোলা ব্যাঙ, কুনো ব্যাঙ, গেছো ব্যাঙ ও সোনা ব্যাঙ বেশি দেখা দেয়। এর বাইরে ছোট ছোট কিছু ব্যাঙ আছে, যেগুলো শুধু বনেই পাওয়া যায়। এই ব্যাঙগুলো প্রকৃতির রঙের সঙ্গে মিশে থাকে। এগুলো গাছের পাতা বা ডালের রঙের সঙ্গে মিশে লুকিয়ে থাকে। দেশে ব্যাঙের সব প্রজাতি খুব খারাপ অবস্থায় রয়েছে। দেশে ১০ প্রজাতির ব্যাঙ বিপন্ন। বিলুপ্ত না হলেও এসব ব্যাঙ নাজুক অবস্থায় রয়েছে। বিপন্ন ব্যাঙের মধ্যে দুই প্রজাতি মহাবিপন্ন, তিন প্রজাতি বিপন্ন ও পাঁচ প্রজাতি সংকটাপন্ন অবস্থায় রয়েছে। ২৭ প্রজাতি কিছুটা উদ্বেগজনক অবস্থায় রয়েছে। ছয় প্রজাতি বিপন্ন অবস্থায় নেই। জলাভূমি কমে গিয়ে পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হওয়া, কৃষিজমিতে কীটনাশক ব্যবহার, জলবায়ু পরিবর্তন, খাওয়ার জন্য ব্যাঙ শিকার ইত্যাদি কারণে দেশে বিভিন্ন প্রজাতির ব্যাঙ বিপন্ন অবস্থায় রয়েছে। এরা উভচর প্রাণী। ডাঙায় ও পানিতে অবাধে বিচরণ করতে পারে। প্রাকৃতিক ভারসাম্য রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্যাপক হারে পোকা দমন করতে পারার কারণে ব্যাঙকে পোকা মারার প্রাকৃতিক যন্ত্র বলা হয়। ব্যাঙ ফসলের ক্ষতিকর পোকা খায়। বড় সোনাব্যাঙ ও সবুজ ব্যাঙ ২০০ থেকে ৪০০ গ্রাম ওজনের হয়ে থাকে। এসব ব্যাঙ দেহের অর্ধেক পরিমাণ পোকা প্রতিদিন খেতে পারে।