বৃহস্পতিবার ● ৬ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » চিত্রবিচিত্র » মন্দির থেকে ২৭ চোর আটক, ২৪ জনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক গ্রামের!
মন্দির থেকে ২৭ চোর আটক, ২৪ জনই ব্রাহ্মণবাড়িয়ার এক গ্রামের!
পরনে শাখা-সিঁদুর, মাদুলি পরা ২৪ নারীকে দেখে যে কেউ ধরে নেবেন তারা সনাতন ধর্মাবলম্বী পুণ্যার্থী। বোঝার উপায় নেই তারা মুসলিম ধর্মাবলম্বী। এমন বেশভূষা নিয়ে অবশ্য শেষ পর্যন্ত পুলিশের চোখ ফাঁকি দেওয়া সম্ভব হয়নি। সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলায় একই মন্দির থেকে আন্তঃজেলা সংঘবদ্ধ চোরচক্রের ২৪ নারীসহ ২৭ সক্রিয় সদস্যকে আলামতসহ আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতদের ২৪ জনই ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার নাসিরনগর থানাধীন ধরমণ্ডল গ্রামের বাসিন্দা।
আটককৃতরা হলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নারজিন বেগম (৩০), নাজমা বেগম (৩২), রিমা আক্তার (২৮), মহিমা আক্তার (৩৫), পপি বেগম (৩০), আয়েশা বেগম (৩৫), সুমি বেগম (৩০), বিলকিস বেগম (২৮), সুফিয়া বেগম (২২), শাহিদা বেগম (২৮), লুৎফা বেগম (২৫), নাজমা বেগম (৩০), রোকসানা বেগম (২৫), সালমা বেগম (৩৫), তাছলিমা বেগম (৩৫), রোজিনা বেগম (৩০), লাভলী আক্তার (৩৫), আছমা বেগম (৩৮), পারভিন বেগম (৩০), তাছলিমা আক্তার (৩৫), অনু আক্তার (৩০), আমেনা বেগম (৩০), ফুলচান বিবি (২৮), আছমা বেগম (২৫), হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার সুহেল মিয়া, শাহিন আলম (২০) ও সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলার ছাইদুল ইসলাম।সোমবার (৩ এপ্রিল) প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানিয়েছে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। এর আগে রবিবার (০২ এপ্রিল) সিলেটের গোলাপগঞ্জের ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়ায় ঐতিহ্যবাহী শ্রীচৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কীর্তন উপলক্ষে আয়োজিত মেলা থেকে তাদের আটক করে পুলিশ।
প্রেস ব্রিফিংয়ে ওসমানীনগর সার্কেলের (গোলাপগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত দায়িত্ব) অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশরাফুজ্জামান জানান, গোলাপগঞ্জ থানাধীন ঢাকা দক্ষিণ ইউনিয়নের মিশ্রপাড়া গ্রামে অবস্থিত শ্রীশ্রী চৈতন্য দেব মহাপ্রভুর মন্দিরে অনুষ্ঠিত বার্ষিক কীর্তনে আয়োজিত মেলা থেকে একটি সংঘবদ্ধ চোরচক্রের সক্রিয় ২৭ সদস্যকে আটক করে গোলাপগঞ্জ থানার পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে স্বর্ণালংকারসদৃশ জুয়েলারি, নগদ টাকা এবং হিন্দু নারীদের ব্যবহৃত হাতের শাঁখা উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া আলামতের মধ্যে রয়েছে স্বর্ণসদৃশ ৯টি চেইন, স্বর্ণসদৃশ এক জোড়া হাতের বালা, স্বর্ণসদৃশ হতের চুড়ি ৪ জোড়া, স্বর্ণসদৃশ কানের দুল ১৪ জোড়া, রূপাসদৃশ চেইন আটটি, রূপাসদৃশ নূপুর আটটি, হিন্দু নারীদের ব্যবহৃত হাতের শাঁখা ছয়টি, মোবাইল সেট সাতটি এবং একটি নোহা মাইক্রোবাস।