শনিবার ● ১৫ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » পাইকগাছায় তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টিতে ঝরে পড়ছে আমের গুটি
পাইকগাছায় তীব্র তাপদাহ ও অনাবৃষ্টিতে ঝরে পড়ছে আমের গুটি
তীব্র খরায় যেন পুড়ছে দেশ। বৈশাখের শুরুতে প্রচণ্ড তাপদাহ শুরু হয়েছে। খুলনার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে তাপপ্রবাহ। তীব্র গরমে ও দাবদাহে অতিষ্ঠ ও স্থবির হয়ে পড়েছে জনজীবন। দেখা নেই বৃষ্টির। বৃষ্টির অভাবে গাছ থেকে ঝরে পড়ছে আমের গুটি। বিগত ৮ বছরের মধ্যে এবার খুলনায় সর্ব উচ্চ তাপমাত্রা রয়েছে খুলনায়। উপকূল তাপমাত্রা আরও বেশী। গত কয়েক মাস এ অঞ্চলে বড় ধরনের বৃষ্টিপাত হয়নি। টানা বৃষ্টিহীনতা আর খরায় পাইকগাছা উপজেলায় আমের গুটি ব্যাপক হারে ঝরে পড়ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় আম গাছে প্রচুর মুকুর ও গুটি ধরে। তবে বৃষ্টির অভাবে গুটি ঝরে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছেনআম চাষি ও বাগান মালিকরা।
সরজমিনে দেখা যায়, উপজেলার গদাইপুর, গোপালপুর, হিতামপুর, মালত, হরিঢালী, কপিলমুনি, সলুয়াসহ বিবিন্ন গ্রামে আমগাছ রয়েছে। এ ছাড়া সড়কের পাশে ও উপজেলা ৪টি ইউনিয়ানে আম বাগানে রয়েছে বিভিন্ন উন্নত জাতের আমগাছ।
বর্তমানে এসব এলাকার আমগাছের নিচে দেখা যায় ঝরে পড়ে রয়েছে অসংখ্য ছোট ছোট আমের গুটি। পৌর এলাকার গোপালপুর গ্রামের আমবাগান মালিক রশিদ বলেন, আমার আমের বাগানে খরার কারণে আমের গুটি ঝরে পড়ছে। তারপর বৃষ্টির দেখা নেই। দিন দিন তাপমাত্রা বাড়ছে। বাগানের গাছে তিন ভাগের এক ভাগ আম ঝরে পড়েছে। বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে বেকায়দায় রয়েছি। গদাইপুর গ্রামের আমচাষি মোবারক ঢালী বলেন, তীব্র খরার কারণে আমের গুটি ঝরে গেছে। আমগাছে সেচ ও কীটনাশকের মিশ্রণ ম্প্রে করেও গুটি টেকানো যাচ্ছে না। এ সময় বৃষ্টি না হওয়ায় আম নিয়ে চিন্তায় রয়েছি।বাগানের দক্ষিণের গাছগুলোর গুটি ঝরেছে। কারণ, দক্ষিণের দিকে সূর্যের তাপ বেশি লাগে। আর উত্তরের গাছগুলোতে সূর্যের তাপ কিছুটা লাগলেও ছায়া থাকে বেশি
উপজেলার কৃষি অফিসার কৃষিবীদ মো: জাহাঙ্গীর আলম বলেন, উপজেলায় ৫৮৫ হেক্টর আম বাগান রয়েছে।পাইকগাছায তাপমাত্রা বাড়ার পরেও আমের গুটি যেটুকু ঝরছে সেটা স্বাভাবিক। কৃষক বা চাষিদের হতাশার কিছু নেই। বেশি গুটি ঝরছে মনে হলে সেচ দিতে হবে। খরার জন্য আমের গুটি ঝরে যাচ্ছে। তবে আমচাষিদের পরামর্শ দিচ্ছি গাছের গোড়ায় পানি দেওয়াসহ ছত্রাকনাশক ওষুধ স্প্রে করার জন্য। এ সময় আম রক্ষার্থে বাগান মালিক ও চাষিদের গাছের গোড়া মাটি দিয়ে গোল করে বেধে বেশি করে পানি দিতে হবে। তাপমাত্রা বাড়ার কারণে আমগাছের গুটি ঝরে যাওয়া স্বাভাবিক।