মঙ্গলবার ● ২৫ এপ্রিল ২০২৩
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে
পাইকগাছায় বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে
পাইকগাছায় বোরো মৌসুমে ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। ধান ও বিচুলীর দাম বেশী থাকায় কৃষকরা খুশি। উপজেলায় পুরাদমে আমন ধান কর্তন চলছে। উঁচু ক্ষেতের আমন ধান কর্তন শেষ হয়েছে। তবে নিচু ও মৎস্য লিজ ঘেরে আমন ক্ষেতের ধান কাঁটা ও মাড়াই চলছে। আগামী ১০/১৫ দিনের মধ্যে পুরা জমির ধান কাটা সম্পন্ন হবে বলে কৃষকরা জানিয়েছে। আবহাওয়া জনিত কারণ ও মৎস্য লিজ ঘের গুলোতে দেরিতে আমনের আবাদ করা হয়। সে জন্য আমন কাটাও দেরিতে শুরু হয়। নতুন আমন ধান আশানারূপ দামে বিক্রি হচ্ছে। নতুন বোরো ধান মন প্রতি ্এক হাজার ৫ শত থেকে ১১শত টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। তবে ধানের থেকে বিচুলীর চাহিদা ও মুল্য বেশী থাকায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, এ মৌসুমে উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভায় ৫হাজার ৬শত ৬৫ হেক্টর জমিতে বোরোর আবাদ হয়েছে। উঁচু ক্ষেত্রের ধান কাঁটা শেষ হয়েছে। মৎস্য লিজ ঘেরের ধান কাটা চলছে। প্রায় ৪০ ভাগ ক্ষেতের ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে,৪০ ভাগ কর্তন চলছে আর ২০ ভাগ এখনও কাচা রয়েছে। হেক্টর প্রতি ফলন হাইব্রীড ৬.০৯ মেট্রিকটন, উফশী ৫.৫০ মেট্রিকটন হারে ফলন পাওয়া যাচ্ছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ফলন আশানারূপ হয়েছে। উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের পুরাইকাটী কৃষক ফারুক হোসেন জানান,ক্ষেতের দুএকটি শীষে ব্লাস্ট আক্রান্ত হয়েছে। তারপরও তার ৫ বিঘা জমিতে গত বারের তুলনায় এ বছর ফলন ভালো হয়েছে। তোকিয়ার কৃষক শফিকুল জানায়, বোরো আবাদে খরচ বেশি হয। ধানের দাম ভালো ও অধিক দামে বিচুলী বিক্রি হওয়ায় খরচ পুসিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মোঃ জাহাঙ্গীর আলম জানান, চলতি মৌসুমে বোরোর ফলন ভাল হয়েছে। আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় ও ক্ষেত সঠিক ভাবে পরিচর্যা করায বোরোর ফলন ভাল হয়েছে। কৃষকরা ধান ও বিচুলীতে অধিক দাম পাওয়ায় বোরো চাষে তাদের আগ্রহ বেড়েছে।