বৃহস্পতিবার ● ২৫ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » বিবিধ » কেশবপুরে ৩০মণ ওজনের গরু রাজাবাবুকে খাওয়ানো হয় আপেল ও মৌসুমী ফল
কেশবপুরে ৩০মণ ওজনের গরু রাজাবাবুকে খাওয়ানো হয় আপেল ও মৌসুমী ফল
এম আব্দুল করিম, কেশবপুর (যশোর) প্রতিনিধি: যশোরের রাজাবাবু শান্ত মেজাজে খায় আপেল ও মৌসুমী ফল আম, জাম, কাঠাল, কলা, লিচু সহ নানা ধরনের ফল। এগুলো তার খুবই প্রিয় খাবার। সাথে ছোলা, ভুট্টা, ভূষিতো রয়েছে। রাজাবাবু হলো যশোরের কেশবপুর উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামে কৃষক রফিকুল ইসলামের পোষা গরুর নাম। আসন্ন কোরবানির ঈদে বিক্রির উদ্দেশ্যে রাজাবাবুকে প্রস্তুত করা হয়েছে। ৩০ মণ ওজনের রাজাবাবু এবার এ অঞ্চলে বড় গরুর তালিকায় রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান। রফিকুল ইসলাম গত দুই বছর রাজাবাবুকে লালন-পালন করছেন। উদ্দেশ্য কোরবানির ঈদে বিক্রি করা। সরেজমিনে রফিকুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায়, রাজাবাবুকে গোয়াল থেকে বের করে নারকেল গাছ ও বাঁশের খুটির সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়েছে। তাকে বাইরে বের করার খবর শুনে এলাকার মানুষ একনজর দেখতে ভিড় করেন। উপজেলায় সব চেয়ে বড় গরুর তালিকায় রয়েছে এই রাজাবাবুই। কৃষক রফিকুল ইসলাম বলেন, দুই বছর আগে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা দিয়ে গরুটি কেনেন তিনি। গরুটির স্বভাব শান্ত প্রকৃতির হওয়ায় তার নাম রাখেন রাজাবাবু। প্রতিদিন তাকে দু’বার ছোলা, ভুট্টা, ভূষি, বিচালী ও ঘাস খাওয়ানো হয়। এর পাশাপাশি মৌসুমী ফলসহ আপেলও খেতে দেওয়া হয়। ফলফলাদি না পেলে সে হুংকার ছুড়তে থাকে। তখন দু’একটি মৌসুমী ফল তার সামনে দিলে মুখে নিয়ে শান্ত হয়ে যায়। কৃষক রফিকুল ইসলাম আরও বলেন, ফিতা দিয়ে মাপা এ গরুটির ওজন এখন ৩০ মণের উর্ধ্বে। ১৫ লাখ টাকা গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে। দরদামে সামান্য কমবেশি হলেও গরুটি বিক্রি করে দিবেন। যিনি রাজাবাবুকে কিনবেন তার জন্য গরুটি ঈদের আগের দিন পর্যন্ত এভাবেই লালন-পালন করে দিবেন বলেও কৃষক রফিকুল ইসলাম জানান।