শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ২৬ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » আইন সংশোধনের নামে হিন্দু শূন্য করার পরিকল্পনায় এনজিও চক্র
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » আইন সংশোধনের নামে হিন্দু শূন্য করার পরিকল্পনায় এনজিও চক্র
২৩৬ বার পঠিত
শুক্রবার ● ২৬ মে ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

আইন সংশোধনের নামে হিন্দু শূন্য করার পরিকল্পনায় এনজিও চক্র

আইন সংশোধনের নামে হিন্দু শূন্য । দশ হাজার বছরেরও বেশি পুরানো শান্তিপূর্ণভাবে চলে আসা সুসংহত হিন্দু বিধি বিধান নষ্ট করে হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘরে ঘরে দ্বন্দ সংঘাত ও অশান্তির বীজ বপন করছে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনসহ কয়েকটি এনজিও। পুরনো এই হিন্দু পরিবার ব্যবস্থা ধ্বংস করে বাংলাদেশকে হিন্দু শূন্য করার পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে এই এনজিও চক্র। জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট।২৫ মে বৃহস্পতিবার ---সকালে ঢাকা রিপোটার্র্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে হিন্দু আইন পরিবর্তন প্রচেষ্টার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলনে এমন মন্তব্য জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।

বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট সভাপতি লিখিত বক্তব্যে জানান, বাংলাদেশকে হিন্দু শুন্য করার পরিকল্পনার নেতৃত্বে আছেন আইন ও শালিশ কেন্দ্রের মোঃ নূর খান, বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড সার্ভিসেস ট্রাষ্ট এর এস.এম রেজাউল করিম, নারী পক্ষের তামান্না খান, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের ফাউজিয়া মোসলেম, অভিযান এর বাবু ও মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনাম সিন্ডিকেট সহ তাদের কিছু সুবিধাভোগী। তারা হিন্দু পারিবারিক সম্পত্তি বিভাজন করে ব্যক্তি কেন্দ্রীক সম্পত্তি বন্টন, বিবাহ বিচ্ছেদ, হিন্দু বিবাহ রেজিষ্ট্রেশন বাধ্যতামূলক ও শাস্তির বিধান, দত্তক, ভরন পোষনসহ বিভিন্ন বিষয়ে হিন্দু ধর্ম শাস্ত্রীয় পবিত্র বিধি বিধান পরিবর্তনের চক্রান্ত করছে। আর এটা বাস্তবায়নের মাধ্যমে বিভেদ ও বিদ্বেষ ছড়িয়ে হিন্দু সমাজে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপচেষ্টা চালাচ্ছেন তারা। বিশেষ করে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের পরিচালক শাহীন আনাম সহ উপরোক্ত এনজিওদের নেতৃত্বে দেশের বিভিন্ন স্থানে সভা-সেমিনার করে হিন্দু বিধিবিধান সম্পর্কে মিথ্যা ও বিদ্বেষমুলক তথ্য প্রচার করে হিন্দু জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে হিন্দুদের প্রতিটি পরিবারে আগুন লাগিয়ে দেওয়ার ঘৃন্য অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে। সারাদেশের হিন্দু সমাজের মধ্যে একটা অস্থিরতা সৃষ্টি করে চলেছে।বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট সভাপতি আরও জানান, আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে দেশী বিদেশী জঙ্গীদের অর্থে হিন্দু সম্প্রদায়কে ক্ষেপিয়ে তোলার গোপন মিশন নিয়ে মাঠে নেমেছেন তারা। জঙ্গী এনজিও সিন্ডিকেটের এই অপতৎপরতার কারণে সাধারণ হিন্দু সম্প্রদায় মনে করছে এই সরকার আমাদের ধর্মীয় বিধিবিধান ধ্বংস করার চেষ্টা করছে। ফলে আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতি হিন্দু সম্প্রদায়ের বিশ্বাসই শুধু নষ্ট হচ্ছে না, আওয়ামীলীগ সরকারের প্রতিও হিন্দু সম্প্রদায়ের বিদ্বেষ ছড়িয়ে পড়ছে। এইভাবে শাহীন আনাম গং কৌশলে হিন্দু সম্প্রদায়কে সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার নীল নকশা বাস্তবায়নের পায়তারা করছে। তারা আওয়ামী লীগ সরকার ও হিন্দু সম্প্রদায়কে মুখোমুখি দাড় করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে। দেশের গণতান্ত্রিত পরিবেশ তাদের পছন্দ নয়। তারা চায় দেশ অস্থিতিশীল হয়ে উঠুক, বর্হিবিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করাই যেন তাদের ধ্যানজ্ঞান। ওই চক্রের সঙ্গে দেশি-বিদেশি কিছু ষড়যন্ত্রকারি যুক্ত হয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত রয়েছে। দেশে অনেক ইস্যু থাকলেও হাজার বছর আগের মিমাংসিত ইস্যুকে বিতর্কিত করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। হিন্দু আইন সংস্কারের নামে বিভেদ সৃষ্টির কূটকৌশলের আশ্রয় নিয়েছে।তারা তাদের দুরভিসন্ধি হাসিলে হিন্দু আইনের খসড়া তৈরী করে আইন কমিশনে জমা দিয়েছিল। সেখানে ব্যর্থ হয়ে এখন মহামান্য হইকোর্টে রীট দায়ের করেছে।তিনি আরও জানান, সামান্য কিছু অনৈতিক ও বিকৃত রুচির নর-নারীর জন্য কোটি কোটি জনগণকে চরম ঝুকির মধ্যে ফেলা ঠিক হবে না। গুটিকয়েক পাশ্চাত্য চিন্তা চেতনার অসুস্থ মস্তিষ্ক ও বিকৃত রুচির হৃদয়হীন নর নারীর কারনে লক্ষ লক্ষ নারী ও শিশুর জীবন বিপন্ন হতে দেওয়া যায় না; সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ ও খুনি তৈরী হওয়ার সুযোগ করে দেওয়া যায় না। বলা বাহুল্য জেন্ডার সমতা, নারী সচেতনতার নামে পরিবারের ভাঙ্গন সৃষ্টি করে মানসিকভাবে অসুস্থ চিন্তা চেতনার এনজিওরা। তথাকথিত প্রগতিশীলদের অনৈতিক চিন্তা চেতনার ফল হলÑ “পিতা মাতার আশ্রয়হীন শিশু শ্রমিকের সংখ্যা বর্তমানে ৭৪ লক্ষ, পথ শিশু ২০ লক্ষ, প্রতিদিন গড়ে ১০টি শিশু ধর্ষন হয়। ডাস্টবিনে পড়ে থাকা অনাকাঙ্খিত শিশু বছরে ২০৩টি। বর্তমানে শিশু যৌনকর্মীর সংখ্যা ২ লক্ষ, বাসাবাড়ীতে কাজ করে ২০ লক্ষ শিশু। ঢাকার লালবাগের জমিলা খাতুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পরিসংখ্যানে দেখা যায় মোট ৬২৩ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৪১১ জন শিশুই পিতা মাতার ছাড়াছাড়ির কারনে অসহায় এতিম। শাহীন আনাম চক্র অনেক দিন ধরেই হিন্দু ধর্মের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পায়তারা করছে। এনজিওরা মহামান্য হাইকোর্টে গাজীপুরের একটি রিপোর্ট দাখিল করে বলেছে গাজীপুরে বছরে ৯ হাজারের বেশী তালাক হয়েছে। সেখানে হিন্দু বিবাহ বিচ্ছেদের কোন তথ্য নাই। অর্থাৎ হিন্দু পারিবারিক জীবন অত্যন্ত সুসংহত। এনজিওরা সেটাকে নষ্ট করতে চায়।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছি আমি অ্যাডভোকেট লাকী বাছার, সভাপতি বাংলাদেশ জাতীয় হিন্দু মহিলা মহাজোট, সাথে আছেন হিন্দু মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট দীনবন্ধু রায়, প্রধান সমন্বয়কারী বিজয় কৃষ্ণ ভট্টাচার্য, বরিষ্ঠ সহসভাপতি অ্যাডঃ প্রদীপ কুমার পাল, মহাসচিব অ্যাডভোকেট গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, প্রেসিডিয়াম মেম্বার অভয় কুমার রায়, যুগ্ম মহাসচিব পল্টন দাস, দপ্তর সম্পাদক কঙ্কন মৃধা,  ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডঃ অচ্যুতানন্দ ঘরামী, প্রণব মঠ ঢাকা’র অধ্যক্ষ স্বামী সঙ্গীতানন্দ মহারাজ, হিন্দু মহাজোট ঢাকা মহানগরের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল ঘোষ, হিন্দু স্বেচ্ছাসেবক মহাজোটের সভাপতি তোলন পাল, নির্বাহী সভাপতি মিল্টন বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক চয়ন বাড়ৈ, হিন্দু যুব মহাজোটের নির্বাহী সভাপতি গৌতম সরকার অপু, সুমন কুমার শীল, অ্যাডঃ শুভ মজুমদার, ছাত্র মহাজোটের সভাপতি সজিব কুন্ডু তপু, সাধারণ সম্পাদক রণি রাজবংশী, প্রচার সম্পাদক বিধান সরকার অর্ঘ, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক তাপসী বালা, রাধাকান্ত মিশ্র, আশিক দাস, রাজিব হালদার প্রমূখ।





বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর

পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে ৪ গ্রামের ভিটে মাটি বিলিন হতে চলেছে পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে ৪ গ্রামের ভিটে মাটি বিলিন হতে চলেছে
বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা
বাংলাদেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে: জাতিসংঘ বাংলাদেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে: জাতিসংঘ
পেলেন না মুক্তিযোদ্ধার অন্তিম সম্মান; বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামীর কবরে শায়িত মতিয়া চৌধুরী পেলেন না মুক্তিযোদ্ধার অন্তিম সম্মান; বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামীর কবরে শায়িত মতিয়া চৌধুরী
পাইকগাছায় দুর্গা পূজার সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় অনুষ্ঠান বন্ধের হুমকি ! পাইকগাছায় দুর্গা পূজার সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় অনুষ্ঠান বন্ধের হুমকি !
অস্তিত্ব সংকটে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী অস্তিত্ব সংকটে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘাপটি মেরে থাকা চরমপন্থীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘাপটি মেরে থাকা চরমপন্থীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে
উপজেলা চেয়ারম্যানদের ৭৭ শতাংশই ব্যবসায়ী : সুজন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ৭৭ শতাংশই ব্যবসায়ী : সুজন
বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়নে ডিএসএ’র ব্যবহারে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের বাংলাদেশে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের নিপীড়নে ডিএসএ’র ব্যবহারে উদ্বেগ যুক্তরাষ্ট্রের
পাইকগাছায় চিংড়ী খাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চিংড়ী ও মৎস্য খাত রক্ষায় বিভিন্ন সংগঠনের সাথে মতবিনিময় পাইকগাছায় চিংড়ী খাত ধ্বংসের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে চিংড়ী ও মৎস্য খাত রক্ষায় বিভিন্ন সংগঠনের সাথে মতবিনিময়

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)