শনিবার ● ২৭ মে ২০২৩
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলনে কাজল দেবনাথ.. মুসলিম লীগকে ঘায়েল করে আ’লীগকে প্রথম ক্ষমতায় এনেছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়
হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সম্মেলনে কাজল দেবনাথ.. মুসলিম লীগকে ঘায়েল করে আ’লীগকে প্রথম ক্ষমতায় এনেছিল সংখ্যালঘু সম্প্রদায়
১৯৫৪ সালে প্রথমবারের মত মুসলিম লীগকে ঘায়েল করে আ’লীগকে ক্ষমতায় এনেছিল সংখ্যালঘু স¤প্রদায়। ওই সময়ে ৭২টি আসন ছেড়ে দিয়ে আ’লীগকে সুযোগ করে দেয়া হয়েছিল। এই ৭২টি আসন ছিল হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান স¤প্রদায়ের। তখন এই সুযোগ আমরা না দিলে আ’লীগেরই জন্ম হতো না। বঙ্গবন্ধু একক সংখ্যাগরিষ্ঠ সমর্থনও পেতো না এবং ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধও হতো না। ১৯৫৪ সাল থেকে এখন পর্যন্ত যতগুলো ভোট হয়েছে আমরা আ’লীগের বাইরে ভোট দেইনি। তাই আমাদের সকল দাবি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেনে নিতে হবে।
শুক্রবার বিকেল ৩টার দিকে নগরীর শহিদ হাদিসপার্কে বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ খুলনা মহানগর ও জেলা শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজল দেবনাথ। তিনি আরও বলেন, যারা দেশের টাকা লুট করে বেগমপাড়ায় যায়, মালয়েশিয়ায় যায়, লন্ডনে যায় তারা আরাম আয়েশ করতে যায়। আর যারা ভারতে যায় তারা নির্যাতিত হয়ে যায়, জীবন বাঁচাবার জন্য যায়। তিনি হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, ‘আমরা মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের লোক, আ’লীগ বা যে দলই হোক মুক্তিযুদ্ধের চেতনা থেকে সরে গিয়ে ধর্মীয় রাষ্ট্র প্রতিষ্ট্রা করতে চাইলে আমরা মেনে নেব না, প্রতিবাদ করবো। এর আগে সকাল ১০টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি নির্মল রোজারিও। মহানগর সভাপতি বীরেন্দ্র নাথ ঘোষের সভাপতিত্বে সম্মেলনে বক্তৃতা করেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের সদ্য বিদায়ী মেয়র তালুকাদর আব্দুল খালেক, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশিদ, জেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. সুজিত অধিকারী, সংগঠনের সহ-সভাপতি বিজয় কুমার ঘোষ, সহ-সভাপতি ও সাবেক সচিব ড. প্রশান্ত কুমার রায়, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মনীন্দ্র কুমার নাথ ও এড. তাপস পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক স্বপ্না রাণী বিশ্বাস, বাংলাদেশ খ্রিস্টান এসোসিয়েশনের সভাপতি হেমন্ত কৈরাশী, ভারত-বাংলাদেশ স¤প্রীতি পরিষদ খুলনা চ্যাপ্টারের চেয়ারপার্সন বীর মুক্তিযোদ্ধা এড. এম এম মুজিবুর রহমান, জাতীয় মহিলা সংস্থা খুলনার চেয়ারম্যান অধ্যাপক রুনু ইকবাল বিথার, মহানগর পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি শ্যামল হালদার, জেলা পূজা উদ্যাপন পরিষদের সভাপতি কৃষ্ণপদ দাস, ঐক্য পরিষদ জেলা কমিটির সভাপতি বিমান বিহারী রায় অমিত, মহানগর সহ-সভাপতি সমর কুন্ডু, পূজা পরিষদ জেলা সাধারণ সম্পাদক বিমান সাহা। অনুষ্ঠানে যৌথভাবে সঞ্চালনা করেন সংগঠনের জেলা সাধারণ সম্পাদক ডাঃ অধ্যাপক শ্যামল দাস ও মহানগর সাধারণ সম্পাদক গোপাল চন্দ্র সাহা। এরপর খুলনা প্রেসক্লাবে দ্বিতীয় অধিবেশনে কোন প্রতিদ্ব›দ্বীনা থাকায় পুনরায় বীরেন্দ্র নাথ ঘোষকে মহানগর কমিটির সভাপতি এবং গোপাল চন্দ্র সাহাকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়। জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পদে অপর দুই প্রার্থী থাকলেও তাদের সমর্থনে সঠিক প্রস্তাবকারী ও সমর্থনকারী না থাকায় পুনরায় বিমান বিহারী রায় অমিতকে সভাপতি ও অধ্যাপক ডাঃ শ্যামল দাসকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়। এছাড়াও জন জন বুলেট ঘোষকে মহানগর কমিটির যুগ্ম-সম্পাদক, জেলার প্রতিদ্ব›দ্বী দুই প্রার্থী নব কুমার চক্রবর্তীকে জেলা কমিটির সহ-সভাপতি ও মৃনাল কান্তি বিশ্বাসকে যুগ্ম-সম্পাদক ঘোষণা করেন কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ।