বৃহস্পতিবার ● ১ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » জবি অধ্যাপক পেটানো মামলায় কয়রায় সেই চেয়ারম্যান কারাগারে
জবি অধ্যাপক পেটানো মামলায় কয়রায় সেই চেয়ারম্যান কারাগারে
খুলনার কয়রা উপজেলার উত্তর চক আমিনিয়া বহুমুখী কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ নিয়োগকে কেন্দ্র করে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড: নজরুল ইসলাম কে মারধরের ঘটনায় কয়রার মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহ চারজনের জামিন না-মঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে বিজ্ঞ আদালত।
১ জুন বৃহস্পতিবার মামলার আসামি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ, মাওলানা মাসুদুর রহমান, মাওলানা মুজিবুর রহমান ও মোহাম্মদ রাসেল সহ চার আসামি কয়রা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের প্রার্থনা করলে শুনানিঅন্তে জামিন অযোগ্য থাকায় বিজ্ঞ আদালতের বিচারক আজাহারুল ইসলাম জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আসামিদের জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।
এর আগে গত ১৬ মে এই চার আসামিকে চেম্বার আদালত চার সপ্তাহের জামিন দিলেও ১৭ মে রাষ্ট্রপক্ষ উচ্চ আদালতে রিভিউ আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত শুনানি অন্তে ঐ অন্তর্বর্তী জামিন স্থগিত করে দুই সপ্তাহের মধ্যে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন । সে মোতাবেক আসামি আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ সহ ওই চারজন নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে বিজ্ঞ আদালত জামিন নামঞ্জুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
প্রসঙ্গত গত ৫ মে অধ্যক্ষ নিয়োগ পরীক্ষায় ওই মাদ্রাসা গভার্নিং বডির সভাপতি মহারাজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মাহমুদের পছন্দের প্রার্থীকে পাস করাতে নিয়োগ বোর্ডের সদস্য জবি অধ্যাপক ডক্টর নজরুল ইসলামকে মারপিট করা হয়। চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মাহমুদ তার বাড়িতে আটকে রেখে প্রায় পাঁচ ঘন্টা যাবৎ নির্যাতনের পর নিয়োগ পত্রে স্বাক্ষর করিয়ে নেন । পরে এই ঘটনায় নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদ সহ ৮ জনের নাম উল্লেখ করে কয়রা থানায় মামলা দায়ের করেন।