রবিবার ● ১১ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » পুনরায় পাইকগাছা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ও তৃপ্তি রঞ্জন সেনকে সম্পাদক করায় হিন্দুদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া
পুনরায় পাইকগাছা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ও তৃপ্তি রঞ্জন সেনকে সম্পাদক করায় হিন্দুদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া
আবারও রবীন্দ্রনাথ রায়কে সভাপতি ও তৃপ্তি রঞ্জন সেনকে সম্পাদক করে পাইকগাছা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের কমিটি গঠন করায় হিন্দুদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রীয়া সৃষ্টি হয়েছে। প্রায় সাত বছর পর কমিটি গঠণ করা হলো। একটানা সাত বছর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের গুরুত্বর্পূণ পদে থেকেও হিন্দুদের কল্যাণে তেমন কোন ভূমিকা রাখতে পারেনি। তারা শুধু নেতা হয়ে পদ পদবি ব্যবহার করেছেন। সব থেকে বড় কথা সভাপতি ও সম্পাদক বছরের বেশি সময় ভারতে থাকেন। সেখানে তারা বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। সে কারণে এদেশে কোন হিন্দুর উপর অন্যায় হলে পতিবাদ না করে কৌশলে এড়িয়ে যান। তাই পুনরায় তাদেরকে সভাপতি ও সম্পাদক করে এ কমিটি গঠন করায় পাইকগাছার হিন্দুরা হতাশ।
গত ২৮ এপ্রিল পাইকগাছায় সন্মেলনের মাধ্যমে পুনরায় রবীন্দ্রনাথ রায়কে সভাপতি ও সাংবাদিক তৃপ্তি রঞ্জন সেনকে সাধারণ সম্পাদক করে উপজেলা কমিটি গঠন করা হয়।
জানা গেছে, পাইকগাছায় ঐক্য পরিষদ গঠনের পর থেকে হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষা ও অন্যায়ের প্রতিবাদসহ গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। সে সময় প্রায়াত দিপক কুমার ম-ল সভাপতি ছিলেন। বর্তমান কমিটির সভাপতি ও সম্পাদককের সে সময়ও তেমন কোন ভূমিকা ছিল না। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের নেতা প্রায়ত রতন কুমার ভদ্রের সাথে মতোনৈক্যের সুযোগ নিয়ে তারা ঐক্য পরিষদের নেতা বনে যান। তারপর তাদের কার্যক্রম পাইকগাছার হিন্দুদের জানা রয়েছে। তারা নিজ স্বার্থ রক্ষায় ব্যস্ত থাকেন বেশি অন্যের কোন খোজ নেন না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হিন্দু ব্যক্তি বলেন, গরিব মানুষ কথা বললে দোষ হবে। এই দুই নেতা বছরের বেশি সময় ভারত থাকে। রবিন্দ্রনাথ ভারতে বাড়ি করেছে এবং তৃপ্তি সেন ভারতের বারাশাতে দোতালা বাড়ি করেছে। সেখানে তার স্ত্রী ও সন্তান থাকে। ওদেশে তার সন্তান লেখাপড়া করে। সে এদেশের জমি বিক্রি করতে পারলে ভারতে স্থায়ী হবে। এমন ব্যক্তিদের কাছ থেকে কি আর আশা করার আছে। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সম্পাদক তৃপ্তি রজ্ঞন সেনের ফোনে যোগাযোগ করে পাওয়া যায়নি, তিনি ভারতে গেছেন। হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি রবিন্দ্রনাথ রায়ের সাথে ফোনে কথা হলে তার কাছে জানতে চাওয়া হয় যারা হিন্দুদের সমস্যা নিয়ে কথা বলে এমন লোকদের নিয়ে কমিটি করার কথা থাকলেও কেন করা হলো না। তার উত্তরে তিনি বলেন, জেলা কমিটি তাড়াতাড়ি কমিটি করতে বলায় কমিটি করা হয়েছে। আর বলার দায়িত্ব ছিলো পঞ্চানন সানার। আপনার কি দায়িত্ব ছিল, এর জবাবে তিনি বলেন সন্মেলেন করে দেওয়া নাস্তা ও দুপুরের লাঞ্চের ব্যবস্থা করার। কমিটি নিয়ে নানা আলোচনা ও সমালোচনা হওয়ায় সভাপতি ও সম্পাদকের মধ্যে একজন নতুন মুখ এনে কমিটি গঠন করার কথায় আপনিও সায় দিয়েছিলেন তা কেন করেননি। এতে তিনি বলেন, নেতাদের উপস্থিতিতে সবাই আমাদের চেয়েছে তাই পুনরায় নেতারা আমাদের সভাপতি ও সম্পাদকের দায়িত্ব দিয়েছে। আপনারা দুইজনই বেশির ভাগ সময় ভারত থাকেন ও সেখানে বাড়ি করেছেন কথা শেষ না করতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বলেন, নেতাদের ছেলে আমেরিকা বাড়ি করলে দোষ হয়না আমি ভারতে বাড়ি করেছি তাতে দোষের, আমি খুলনায় ৫৫ লাখ টাকা দিয়ে জমি কিনে বাড়ি করেছি। আপনি যে কোন দেশে নিয়ম কানুন মেনে বাড়ি করতে পারেন, ভারতে বাড়ি করেছেন সরকারি নিয়ম মেনে না ভিন্ন পথে। এর উত্তরে তিনি নরম সুরে বলেন, আমি রাস্তায় দাড়িয়ে কথা বলছি পরে তোমার সাথে কথা বলবো। আরোও জানা গেছে তাদের অনুগত ও মনোনিত লোকদের নিয়ে ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়। এতে পুনরায় সভাপতি ও সম্পাদক চতে তাদের কোন অসুবিধা হয়নি।
ঐক্য পরিষদটি হিন্দুদের স্বার্থ রক্ষায় গতিশীল ভূমিকা রাখতে না পারায় পাইকগাছায় একাধিক হিন্দু সংগঠন গড়ে উঠেছে। পূর্বের ন্যায় ঐক্য পরিষদ হিন্দু স্বার্থ রক্ষা ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করুক সে কামনা করে পাইকগাছা সনাতন ধর্মাবালম্বীরা।