বৃহস্পতিবার ● ১৫ জুন ২০২৩
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » কাগজের ঠোঙা প্লাস্টিকের কাপ ও একাধিকবার ব্যবহৃত রান্নার তেল মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর’
কাগজের ঠোঙা প্লাস্টিকের কাপ ও একাধিকবার ব্যবহৃত রান্নার তেল মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর’
ফরহাদ খান, নড়াইল ; ‘কাগজের ঠোঙা, প্লাস্টিকের কাপ, একাধিকবার ব্যবহৃত প্লাস্টিকের পানির বোতল ও রান্নার তেল মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাসসহ ক্যান্সারের ঝুঁকি বেড়ে যায়। তাই এসব জিনিসপত্র ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সর্তক থাকতে হবে। গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ভূমিকা শীর্ষক কর্মশালা’ এসব কথা বলেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক বিএম খালেদ। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নড়াইল জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে বৃহস্পতিবার (১৫ জুন) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
তিনি আরো বলেন, পত্রিকা বা কাগজের ঠোঙায় সাধারণত সবাই ঝাল-মুড়ি, চানাচুর, পিয়াজু, চপসহ বিভিন্ন ধরণের ভাজাপোড়া খেয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে সবাইকে সর্তক হতে হবে। এসব ঠোঙার কালি মানবদেহের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। একই ভাবে হোটেল-রেস্তোরা, বিয়েসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠানে প্লাস্টিকের ব্যবহৃত বোতলে লাচ্ছি, বোরহানি, পানি ছাড়াও অন্যান্য তরল খাদ্যদ্রব্য দেয়া হয়। অথচ প্লাস্টিকের বোতল একবারই ব্যবহার করা যাবে না। আর কাগজের ঠোঙায় ঝাল-মুড়ি, চানাচুর, পিয়াজু, চপসহ বিভিন্ন ধরণের ভাজাপোড়া ১০ মিনিটের বেশি সময় রেখে খাওয়া যাবে না। প্লাস্টিকের কাপেও চা বা গরম খাবার ১০ মিনিটের বেশি রাখলে তা ক্ষতিকর হবে। রান্নার তেলও একবার ব্যবহার করাই ভালো। তবে তিনবারের বেশি কোনো ভাবেই পোড়া তেল (রান্নার তেল) ব্যবহার করা যাবে না।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরীর সভাপতিত্বে কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের পরিচালক অমিতাভ মন্ডল।
কর্মশালায় আরো উপস্থিত ছিলেন-স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক জুলিয়া সুকায়না, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নড়াইল জেলার কর্মকর্তা আদ্দা আন সিনা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নড়াইলের উপ-পরিচালক দীপক কুমার রায়, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এইচ এম বদরুজ্জামান, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাষক বিএম খালেদ, সদর উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার রোকনুজ্জামান, নড়াইল প্রেসক্লাবের সভাপতি এনামুল কবির টুকু, সাংবাদিক কার্তিক দাস, সুলতান মাহমুদ, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তামান্না নাজনীন সেতু, সুমাইয়া রহমান সুইট, আশার জেলা ব্যবস্থাপক শফিকুর রহমানসহ অনেকে।
বক্তারা বলেন, অনিরাপদ খাদ্য মানুষের অসুস্থতার অন্যতম প্রধান কারণ। সুস্থতার জন্য নিরাপদ ও পুষ্টিসম্মত খাদ্যাভাস করতে হবে। অস্বাস্থ্যকর খাবার পরিহার করতে হবে। সুস্থ সবল জাতি গঠনে নিরাপদ খাদ্যাভাস বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ নিয়মিত মনিটরিং, পরিদর্শন ও গ্রেডিং পদ্ধতি চালু করেছে।