বৃহস্পতিবার ● ১৭ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » নড়াইলে বঙ্গবন্ধু কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্ণারের উদ্বোধন
নড়াইলে বঙ্গবন্ধু কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্ণারের উদ্বোধন
ফরহাদ খান, নড়াইল; নড়াইল ও লোহাগড়ায় ‘বঙ্গবন্ধু কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্ণার’ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। বুধবার (১৬ আগস্ট) দুপুরে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক মাশরাফি বিন মর্তুজা। সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিনের উদ্যোগে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ব্যতিক্রমী এ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্ণার চালু হয়েছে।
উদ্বোধনী দিনে প্রথমে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় কক্ষে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়। এর লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে আলোচনা সভাও অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন-মাশরাফি বিন মর্তুজা এমপি, সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন, বাংলাদেশ আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষাবাহিনীর নড়াইল জেলা কমান্ড্যান্ট বিকাশ চন্দ্র দাস, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট লিংকন বিশ্বাস, জেলা শিক্ষা অফিসার মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার সুব্রত কুমার, মেডিকেল অফিসার ডাক্তার সুব্রত হালদার, ডাক্তার ইসমাইল হোসেন বাপ্পি, ডাক্তার আসিফ ইকবাল, ডাক্তার আবুল খায়ের মিরাজ, জুনিয়র স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অফিসার সুর্বণা খানম, সদর থানার ওসি ওবাইদুর রহমান, সিনিয়র শিক্ষক ইদ্রীস আহম্মেদ, বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসির উদ্দিন খান, সহকারী প্রধান শিক্ষক সাজেদুর রহমান, শিক্ষক আসলাম হোসেন, নাহিদা আহমেদসহ অনেকে।
এরপর লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বঙ্গবন্ধু কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্ণারের উদ্বোধন করা হয়।
এখানে সংসদ সদস্য, সিভিল সার্জন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন-লোহাগড়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার এস এম মাসুদ, ডাক্তার শরিফুল ইসলাম, লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয়ের সভাপতি বদরুল আলম টিটো, প্রধান শিক্ষক এসএম মুরাদুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মঞ্জুরুল করিম মুন, লোহাগড়া পৌরসভার সাবেক মেয়র আশরাফুল আলম, যুবলীগ নেতা সদর উদ্দিন শামীমসহ অনেকে।
সিভিল সার্জনসহ বক্তারা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে ১০ থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত সময়টা কৈশোরকাল। এ বয়সে হরমোন পরিবর্তন হয়। এ কারণে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। ওজন ও উচ্চতা বাড়ে, হাড়ের গঠন হয়, পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। এ সময়ে তাদের ‘গাইড’ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কৈশোরকালটা সামলে নিতে না পেরে অনেকে বিপথে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে ধুমপানে আসক্ত হয়। নীতি-নৈতিকতার অভাব দেখা দেয়। বঙ্গবন্ধু কৈশোরবান্ধব প্রকল্পের মাধ্যমে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কৈশোরকালের স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে জানতে পারবে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের কৈশোরকালের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হবে। জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ পরিচালনার পাশাপাশি ব্যতিক্রমী এ উদ্যোগ নিয়েছেন সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন। প্রায় চার আগে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হলো।