সোমবার ● ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » সংস্কৃতি ও বিনোদন » পাইকগাছায় বিশ্বকর্মা ও মা মনসা পূজা অনুাষ্ঠত
পাইকগাছায় বিশ্বকর্মা ও মা মনসা পূজা অনুাষ্ঠত
পাইকগাছায় ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যে দিয়ে একই দিনে বিশ্বকর্মা ও মা মনসা পূজা অনুাষ্ঠত হয়েছে। উপজেলার বিভিন্ন মন্দির, শিল্পপ্রতিষ্ঠান, ব্যবসা কেন্দ্র, পারিবারিক মন্দির ও বাড়ীতে বিশ্বকর্মা পূজা এবং গাছতলা ও মন্দিরে মা মনসা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পাইকগাছার নতুন বাজার মন্দিরে নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে বিশ্বকর্মা পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পূজার সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন পূজা পরিচালনা কমিটির সভাপতি উজ্জ্বল কর্মকার, সাধারণ সম্পাদক পলাশ ঘোষ, চিন্ময় মন্ডল, নিরঞ্জন বিশ্বাস,শংকর চক্রবর্তি ,দিনেশ বাছাড়,অমল বিশ্বাস, গোবিন্দ বিশ্বাস, তরুন চৌধুরী সহ ভক্তবৃন্দ।
বিশ্বকর্মা পূজা হিন্দুদের একটি ধর্মীয় উৎসব। দেবশিল্পী বিশ্বকর্মার আশিস কামনায় এ পূজা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্বকর্মা চতুর্ভুজ ও গজারূঢ়। তাঁর আকৃতি অনেকটা কার্তিকের মতো। রামায়ণে বর্ণিত অপূর্ব শোভা ও সম্পদবিশিষ্ট লঙ্কা নগরীর্মাতা বিশ্বকর্মা বলে কথিত। দেবশিল্পিরূপে তিনি দেবপুরী, দেবাস্ত্র ইত্যাদিরও নির্মাতা। জনশ্রুতি আছে যে, পুরীর প্রসিদ্ধ জগন্নাথমূর্তিও বিশ্বকর্মা নির্মাণ করেন। ভাদ্রমাসের সংক্রান্তিতে কলকারখানায় বেশ আড়ম্বরের সঙ্গে বিশ্বকর্মার পূজা অনুষ্ঠিত হয়। হিন্দু স্থাপত্য দেবতা বিশ্বকর্মার সন্তুষ্টি লাভের আশায় এই পূজা করা হয়। প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী কন্যা সংক্রান্তির দিনে বিশ্বকর্মার জন্ম হয়েছিল।
মা মনসা হিন্দুধর্মের লৌকিক সর্পদেবী। মধ্যযুগের লোককাহিনী বিষয়ক মনসামঙ্গল কাব্যের প্রধান চরিত্র। সর্পদেবী হিসেবে মনসার প্রথম উল্লেখ পাওয়া যায় হিন্দু ধর্মগ্রন্থ অথর্ববেদে। পুরাণে তাঁকে ঋষি কাশ্যপ ও নাগ-জননী কদ্রুর কন্যা বলা হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে, প্রতিমায় মনসা পূজা করা হয় না। মনসা পূজিতা হন সীজ বৃক্ষে অথবা বিশেষভাবে সর্পচিত্রিত ঘট বা ঝাঁপিতে।
কোথাও কোথাও মনসা মূর্তিরও পূজা হয়। বাংলায় মনসা পূজা বহুল প্রচলিত। এই অঞ্চলে মনসার মন্দিরও দেখা যায়। বর্ষাকালে সাপেদের প্রাদুর্ভাব বেশি থাকে বলে এই সময়ই মনসা পূজা প্রচলিত। শ্রাবণ মাসে নাগপঞ্চমীতেও মনসার পূজা করা হয়। বাঙালি মেয়েরা এই দিন উপবাস ব্রত করে দুধ ও কলা দিয়ে পূজা দেন।