সোমবার ● ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
পাইকগাছায় উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতিসহ দু’জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা
পাইকগাছায় চেক-ষ্ট্যাম্পের ভয় দেখিয়ে টাকা দাবির অভিযোগে উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি পার্থপ্রতিম চক্রবর্তীসহ দু”জনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে। ২০ সেপ্টেম্বর উপজেলার হিতামপুরের মৃতঃ শেখ আঃ আজিজের ( দর্জি) পুত্র শেখ শাহ নেওয়াজ আদালতে এ মামলাটি করেছেন। মামলা অপর বিবাদী হলো পৌরসভার বাতিখালীর মৃতঃ মুনছুর মোড়লের ছেলে মুমিনুর রহমান। আদালত চেক-ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের জন্য থানার ওসি’কে নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলা সুত্রে জানাগেছে, পৌর বাজারে আল-মদিনা মার্কেটে সদ্য প্রয়াত শেখ আঃ আজিজের মুক্তা ফ্যাশান ট্রেডার্স নামে ভাড়ায় চালিত একটি টেইলার্স ছিল। ব্যবসার পরিচালনার এক পর্যায়ে গত ৩ জুলাই তিনি অসুস্থ্য পড়লে দোকান কর্মচারী মুমিনুর রহমানকে দোকানের দায়িত্ব দেন। এরই মধ্যে গত ১৩ আগস্ট আঃ আজিজ হঠাৎ মৃত্যু বরন করেন। আঃ আজিজের মৃত্যু র পর তার ছেলে শাহনেওয়াজ জানতে পারেন টেইলার্সের ড্রয়ারে পিতার রক্ষিত স্যোসাল ইনভেষ্টমেন্ট ব্যাংক পাইকগাছা শাখার সিডি ১৫৯৬৯৩৩ নম্বরের এক লক্ষ টাকার চেক ও নন জুডিসিয়াল স্ট্র্যাম্পসহ অন্যান্য কাগজ-পত্র আছে। এ চেক-ষ্ট্যাম্পটি আঃ আজিজের কাছে রেখে এক লক্ষ টাকা ধার নিয়েছিল বাতিখালীর মৃতঃ,কওছার গাজীর ছেলে আঃ মজিদ ( ফল ব্যবসায়ী)।আরও জানা গেছে,আঃ আজিজের মৃত্যুর পর ছেলে শাহনেওয়াজ ও আঃ মজিজ মুক্তা ফ্যাসানে গিয়ে ড্রয়ারে রক্ষিত চেক-ষ্টাম্পের কথা বললে, মুমিনুল জানায় এ কাজগগুলো এক জায়গায় রেখেছি পরে নিয়ে যাবেন। পরবর্তীতে ফলব্যবসায়ী মজিদ অভিযোগ করেন গত ১৩ সেপ্টেম্বর মুমিনুল ও পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী দু’জনে পাওনা টাকার কথা বলে আমার কাছে আড়াই লক্ষ টাকার দাবি করে। এ টাকা দিতে ব্যর্থ হলে তারা চেক-ষ্ট্যাম্প দিয়ে আদালতে মামলা করার হুমকি দেয়। এর প্রেক্ষিতে নিরুপায় হয়ে শাহনেওয়াজ বাদি হয়ে মুমিনুর রহমান ও পার্থ প্রতিম চক্রবর্তী বিরুদ্ধে পাইকগাছা নির্বাহী আদালতে এমআর মামলা করেছেন,যার নং-৯৩/২৩। অভিযোগের বিষয় জানতে চাইলে উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি পার্থপ্রতিম চক্রবর্তী বলেন,মামলা হয়েছে শুনেছি,কিন্তু আমার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ সঠিক না। বাদি ও আমার সাথে যাকে জড়ানো হয়েছে তাকেও চিনি না বলে তিনি মন্তব্য করেন।
এ বিষয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ( ওসি) মোঃ রফিকুল ইসলাম বলেন,আদালত থেকে চেক-ষ্ট্যাম্প উদ্ধারের একটি মামলা পেয়েছি। চেক উদ্ধার হলে তা আদালতে জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।