বুধবার ● ৪ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » নিম্নচাপ ও প্রবল বৃষ্টিতে পাইকগাছায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ
নিম্নচাপ ও প্রবল বৃষ্টিতে পাইকগাছায় বেড়েছে জনদুর্ভোগ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে ভারি বর্ষণ ও অস্বাভাবিক জোয়ারে উপকৃলসহ পাইকগাছাার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।নিম্নচাপের প্রভাবে অস্বাভাবিক জোয়ারে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হচ্ছে। স্বাভাবিকের চেয়ে তিন ফুট উচ্চতার জোয়ারে অনেক স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকার ঘরবাড়ি, ফসলি জমি, মাছের ঘের তলিয়ে গেছে। ঘরবাড়ি, বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন স্থাপনায় পানি উঠেছে। নিন্মচাপের প্রভাবে টানা ১০ দিনের হালকা ও ভারি বৃষ্টিতে জনদুর্ভোগ বেড়েছে।
টানা্ ভারি বর্ষণে এলাকায় দূর্ভোগের সৃষ্টি হয়েছে। বর্ষণের কারণে শ্রমজীবীরা কাজ করতে পারেনি। গত কয়েক দিনের হালকা,মাঝারি ও মুষলধারে বৃষ্টিপাত শুরু হয়, যা বিরামহীনভাবে অব্যাহত থাকে।এতে সাধারণ মানুষের চলাফেরা এবং দৈনন্দিন কাজকর্ম ব্যাহত হয়।কাচা ঘরবাড়ি ধসে পড়েছে ও উঠান তলিয়ে গেছে। রাস্তাঘাট চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।নিচু এলাকার সবজী ক্ষেতগুলোর বেশ ক্ষতি হয়েছে। নিন্মচাপের প্রভাবে এলাকার নদ-নদীতে স্বাভাবিকের চেয়ে জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় অনেক এলাকায় ঝুঁকি বেড়েছে।ঝুকিপূর্ণ বাধগুলিতে স্বেচ্ছা শ্রমে কাজ করে মেরামত করা হচ্ছে। পৌর বাজারে প্রবেশ করেছে জোয়ারের পানি। অনেক নিচু এলাকা তলিয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো: জাহাঙ্গীর আলম জানান, কয়েকদিনের ভারী বর্ষণে আমন ধানের উপকার হবে।এলাকায় জোয়ার-ভাটা থাকায় বৃষ্টিতে জমে থাকা পানি খুব তাড়াতাড়ি নেমে যাবে। এতে করে আবাদের কোন ক্ষতি হবে না আরো উপকার হবে।বৃস্টি হওয়াতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশী জমিতে আমনের আবাদ হবে বলে তিনি জানান।
পাইকগাছা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মোঃ রাজু হাওলাদার জানান, এখন পূর্ণিমায় ভারি বৃস্টি এবং বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপ থাকায় জোয়ারের অতিরিক্ত পানি উপকূলে উঠে পড়েছে।পাইকগাছায় প্রায় ৩০ কি:মি: বেড়ীবাধ ঝুকিপুর্ণ রয়েছে।বাধের ঝুকিপূর্ণ ও ভাঙ্গাস্থানে আপাদকালিন মেরামতের কাজ করা হচ্ছে।