শুক্রবার ● ১৩ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছায় বহুল আলোচিত জোনাকি সমিতির কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে কবিতা দাসের মামলা
পাইকগাছায় বহুল আলোচিত জোনাকি সমিতির কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে কবিতা দাসের মামলা
পাইকগাছা পৌরসভার সরলস্ত বাজারের বহুল আলোচিত জোনাকি সমিতির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন গাজী ও সাবেক সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজীর বিরুদ্ধে বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাইকগাছা পৌরসভার ৪,৫,৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও উল্লেখিত সমিতির আদায়কারী কবিতা রানী দাস মামলা করেছে। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ১০৭,১১৭ (সি) ধারা মোতাবেক মামলা দায়ের করেছে, মামলা নং- এম,পি ৯৯/২০২৩। উক্ত মামলাটি আদালত আমলে নিয়ে বিবাদীদেরকে কারন দর্শানোর জন্য আদেশ প্রদান করেন। মামলায় সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা পৌরসভার তিন তিনবার নির্বাচিত মহিলা কাউন্সিলর কবিতা রানী দাস পাইকগাছা পৌরসভাধীন সরল গ্রামের জোনাকি গ্রাম উন্নয়ন সমবায় সমিতি লিঃ এর মৌখিকভাবে একজন আদায়কারী হিসাবে কর্মরত ছিলেন, সে মতে কবিতা রানী দাস সমিতির সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও কিস্তির টাকা সহ সদস্যদের জমা বই এবং পাস বইতে টাকার অংক লিখে দিয়ে উক্ত আদায়ের টাকা সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজী ও নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন গাজীর কাছে জমা দেন। যাহার জমা প্রদানের রশিদ বা প্রমান কবিতা রানী দাস এর কাছে রয়েছে। এদিকে সম্প্রতি উল্লেখিত সমিতির কতৃপক্ষ সমিতির আর্থিক অনিয়ম, দুর্নীতি বেআইনি ভাবে পরিচালনা করায় সমিতিটি অর্থ তছরুপ করে বন্ধ করে দেওয়া হয়। সমিতিতে যারা টাকা জমা দিয়েছে, তাদের জমাকৃত টাকা ফেরত পাচ্ছে না। এজন্য সমিতির সদস্যরা সমিতি কতৃপক্ষের কাছে টাকা আদায়ের জন্য আন্দোলন সংগ্রাম করছে। সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজী ও নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন গাজী নিজেদের অপরাধ আড়াল করতে আদায়কারী কবিতা রানী দাস কে দোষারোপ করছে। পাশাপাশি কবিতা দাস এর বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ সহ নতুন নতুন ষড়যন্ত্র করে কবিতা দাশকে অযথা ও মিথ্যা অপপ্রচার সহ নানাবিধ ভয়ভীতি প্রদর্শন করছে।মামলায় আরো উল্লেখ করেন, সমিতির সহজ সরল সদস্যদের কবিতা দাশের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিচ্ছে। এমতাবস্থায় সর্বশেষ গত ২০ সেপ্টেম্বর বুধবার সকাল ৯ টার দিকে সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ আলী গাজী ও নির্বাহী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন গাজী সহ অজ্ঞাতনামা লোকজন নিয়ে কবিতা দাশের বাড়ীতে যেয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। কবিতা দাশ প্রতিবাদ করলে বিবাদী মোহাম্মদ আলী গাজী ও আলাউদ্দিন গাজী কবিতা দাশকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে খুন জখম করতে উদ্যত হয় ও অজ্ঞাতনামা লোকজন দিয়ে কবিতা দাশকে যেখানে পাবে সেখানে অপমান অপদস্ত সহ সন্মানহানী ও খুন জখম করবে মর্মে হুমকি দেয়।তারা আরো বলে, তুমি সমিতির টাকা আত্মাসাৎ করেছো- তোমাকে দেড় কোটি টাকা দিতে হবে। তখন কবিতা দাশ বিবাদীদের কাছে দেড় কোটি টাকার হিসাব চাইলে বিবাদীদ্বয় বলে হিসাব নিকাশ বুঝি না টাকা চাই টাকা দিতে হবে। সবশেষে বিবাদী মোহাম্মদ আলী গাজী ও আলাউদ্দিন গাজী আস্ফালন করে বলেন, আজ হোক কাল হোক কবিতার কাছ থেকে টাকা আদায় করবে নইলে খুন জখম করবে। সে ঘটনায় কবিতা দাশ ও তার পরিবার পরিজনসহ স্বাক্ষীরা বিবাদী পক্ষের হুমকিতে ভীত হয়ে পড়েছে।