রবিবার ● ১৫ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » জনউদ্যোগের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা.. সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে জনবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে
জনউদ্যোগের সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা.. সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে জনবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে হবে
সরকারের নানামুখী উদ্যোগ সত্ত্বেও ডাক্তার-নার্স অপর্যাপ্ততা, দক্ষ টেকনিশিয়ান ও পরীক্ষাগারের সংখ্যার অভাব, উপকরণের অপ্রাপ্যতা, চিকিৎসাসেবায় মধ্যস্বত্বভোগীদের দৌরাত্ম্য এবং স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাবে স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের আস্থাহীনতা বাড়ছে। ফলে দেশে ধনী-দরিদ্র ও লিঙ্গবৈষম্য বাড়ছে। করোনা মহামারি ও ডেঙ্গুর প্রাদুর্ভাবে এই বৈষম্য আরো প্রকট হয়ে উঠেছে। সমগ্র চিকিৎসাব্যবস্থায় কর্মীবাহিনীর দক্ষতা, আচরণগত সমস্যা, রোগীর প্রতি মমত্ববোধের অভাব, কমিশন বাণিজ্য, ওষুধের মান ও মূল্য, রোগ নির্ণয়ের পরীক্ষার মান ও খরচ এবং হাসপাতাল ব্যবস্থাপনা (সরকারি ও বেসরকারি) নিয়ে অভিযোগ রয়েছে। এসব অভিযোগের বাস্তবসম্মত সমাধানের উদ্যোগ নেই। খুলনা মেডিকেল কলেজ (খুমেক) হাসপাতালে ক্যানসার চিকিৎসার জন্য ‘লিনিয়ার এক্সিলেটর’ নামের মেশিনটি চালুসহ ক্যানসার চিকিৎসার জন্য বিশেষায়িত হাসপাতাল চালু করতে হবে। নগরীতে শতাধিক ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নবায়ন হয়নি। এই অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়গনস্টিক সেন্টার বন্ধ করতে হবে। এভাবে বললেন জনউদ্যোগ,খুলনার সংবাদ সম্মেলন ও মতবিনিময় সভায় বক্তারা।
আজ রোববার বিকাল ৪টায় কনসেন্স মিলনায়তনে জনউদ্যোগ,খুলনার উদ্যোগে সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে জনবান্ধব স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দাবিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আফম মহসিন। লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জনউদ্যোগের কেন্দ্রীয় সদস্য সচিব তরিক হোসাইন। সভা পরিচালনা করেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব সাংবাদিক মহেন্দ্রনাথ সেন। সভায় বক্তৃতা করেন বীরমুক্তিযোদ্ধা মোড়ল নূর মোহামদ, ওয়ার্কার্স পার্টির মহানগর কমিটির সভাপতি শেখ মফিদুল ইসলাম, জনউদ্যোগ নারী সেলের আহবায়ক এ্যাড: শামীমা সুলতানা শীলু, বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার সমন্বয়কারী এ্যাড: মোমিনুল ইসলাম, শাহনাওয়াজ আলী, সিপিবির মহানগর কমিটির সভাপতি মিজানুর রহমান বাবু, বাসদের জনার্দন দত্ত নান্টু, সমাজসেবক মাছুদ মাহামুদ, পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির মহাসচিব এস এম সোহরাব হোসেন, নারীনেত্রী সিলভী হারুণ, কনসেন্সের নির্বাহী পরিচালক সেলিম বুলবুল, পরিবর্তনের নির্বাহী পরিচালক নাজমুল আজম ডেভিড,ডা: সৈয়দ মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু,বৃহত্তর আমরা খুলনাবাসীর সভাপতি ডা: নাসির উদ্দীন, নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব এ্যাড: বাবুল হাওরাদার,কবি রুহুল আমীন সিদ্দিকি, আমরা বৃহত্তর খুলনাবাসীর সাধারণ সম্পাদক সরদার আবু তাহের, শিক্ষক মানস রায়, সাবেক ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফুল হক মিঠু, সৈয়দ আলী হাকিম, আইনুল হক, জয় বৈদ্য,দীপ কুমার বৈদ্য,প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, উপজেলা, জেলা, এমনকি মেডিক্যাল কলেজ পর্যায়ে প্রচুর চিকিৎসক ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীর পদ শূন্য থাকায় স্বল্প জনবল নিয়েই অনেক প্রতিষ্ঠানকে সেবা ও শিক্ষা দিতে হচ্ছে। অনেক সরকারি হাসপাতালে প্রয়োজনীয় যন্ত্রপাতির অভাব রয়েছে। আবার কোনো কোনো জায়গায় জনবল না থাকায় দামি যন্ত্রপাতি অবহেলায় পড়ে আছে। এমনকি প্রয়োজনীয় অর্থসংকটের এবং অনেক ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার কারণে ত্রুটিপূর্ণ যন্ত্রপাতি সময়মতো মেরামত না হওয়ায় রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসাসেবা ব্যাহত হচ্ছে। ফলে সাধারণ মানুষকে বেসরকারি হাসপাতালের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে।
লিখিত বক্তব্যে বলেন, অন্যদিকে, ঔষধ শিল্পে মধ্যস্বত্বভোগীর দৌরাত্ম্য বেড়ে চলেছে। সবার জন্য স্বল্পমূল্যে ওষুধ সরবরাহ নিশ্চিত করতে না পারায় অনেকে রোগে আক্রান্ত হয়ে না ফেরার দেশে চলে যাচ্ছে। দেশে দক্ষ টেকনিশিয়ানের অভাব, পরীক্ষাগারের সংখ্যা বৃদ্ধি ও উপকরণের প্রাপ্যতা নিশ্চিত করতে হবে। বিভিন্ন দপ্তরের সমন্বয় এবং স্বাস্থ্য খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা শক্তিশালী করতে হবে। সব সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালে মনোসামাজিক স্বাস্থ্যসেবা, চিকিৎসা গবেষণা ও প্রযুক্তি খাতে বিনিয়োগ এবং সবার জন্য চিকিৎসাপণ্য নিশ্চিত করতে হবে।