শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
সোমবার ● ২০ নভেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » দুবলার চরে রাস উৎসবে যেতে পূর্ণার্থী ও দর্শনার্থীদের প্রস্তুতি
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » দুবলার চরে রাস উৎসবে যেতে পূর্ণার্থী ও দর্শনার্থীদের প্রস্তুতি
২৩২ বার পঠিত
সোমবার ● ২০ নভেম্বর ২০২৩
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দুবলার চরে রাস উৎসবে যেতে পূর্ণার্থী ও দর্শনার্থীদের প্রস্তুতি

 


সুন্দরবনের দুবলারচরে রাস উৎসব ঘিরে উপকূল অঞ্চলে উৎসবের আমেজ বিরাজ করছে। রাস উৎসবে যেতে পূর্ণার্থী ও দর্শনার্থীদের প্রস্তুতি চলছে। প্রতি ---বছর কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের ভরা পূর্ণিমায় সুন্দরবনের দুবলারচর আলোরকোলে ৩ দিন ব্যাপী রাস মেলা অনুষ্ঠিত হবে। সুন্দরবন-সংলগ্ন দুবলার চরের আলোরকোলে ২৫ নভেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী শত বছরের ঐতিহ্যবাহী রাস উৎসব। তবে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণের স্বার্থে এবারও পুণ্যার্থী ছাড়া অন্যদের ওই সময় সুন্দরবনে ভ্রমণ বন্ধ থাকবে। খোজ নিয়ে জানা গেছে, উ্পকুলীয় এলাকার শিকারীরা উৎসবে শুরু হওয়ার ১০/১৫ দিন আগে জেলে ও  বনজীবী সেজে বিভিন্ন কৌশলে বনের মধ্যে প্রবেশ করে। আবার রাস উৎসব শুরু হলে শিকারীরা তীর্থযাত্রীদের সাথে একত্রিত হয়ে মিশে যায়। মেলার আনন্দে মেতে উঠা দর্শনার্থী ও নিরাপত্তা কর্মীদের চোখ ফাকি দিয়ে হরিণ শিকারে মেতে উঠে। 

প্রতি বছরের মতো এবারও রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে সুন্দরবনের দুবলার চরে আগামী ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ‘রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুর্ণস্নান’ অনুষ্ঠিত হবে। পুর্ণস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। এ সকল পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে। অনুমোদিত পাঁচটি পথ হলো ১. বুড়িগোয়ালিনী, কোবাদক থেকে বাটুলানদী-বল নদী-পাটকোষ্টা খাল হয়ে হংসরাজ নদী হয়ে দুবলার চর ২. কয়রা, কাশিয়াবাদ, খাসিটানা, বজবজা হয়ে আড়–য়া শিবসা, অতঃপর শিবসা নদী-মরজাত হয়ে দুবলার চর ৩. নলিয়ান স্টেশন হয়ে শিবসা-মরজাত নদী হয়ে দুবলার চর ৪. ঢাংমারী অথবা চাঁদপাই স্টেশন-তিনকোনা দ্বীপ হয়ে দুবলার চর ৫. বগী-বলেশ্বর-সুপতি-কচিখালী-শেলার চর হয়ে দুবলার চর। রাস পূর্ণিমা পুর্ণস্নান উপলক্ষ্যে ২৫ থেকে ২৭ নভেম্বর এ তিন দিনের জন্য সনাতন ধর্মাবলম্বী দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের অনুমতি প্রদান করা হবে। প্রবেশের সময় প্রতিটি এন্ট্রি পয়েন্টে লঞ্চ, ট্রলার ও নৌকার প্রবেশ ফি, অবস্থান ফি, লোকের সংখ্যা অনুযায়ী বিধি মোতাবেক রাজস্ব আদায় পূর্বক পাশ প্রদান করা হবে এবং জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপিসহ তীর্থযাত্রীদের আবেদন করতে হবে। প্রতিটি অনুমতিপত্রে সিল মেরে পথ-রুট উল্লেখ করা হবে ও যাত্রীরা নির্ধারিত রুটগুলোর মধ্যে পছন্দমতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন, ২৫ নভেম্বর তারিখ দিনের ভাটায় যাত্রা শুরু করতে হবে এবং নৌযানগুলো কেবল দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে। বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে অথবা স্টিকার দিয়ে বিএলসি, সিরিয়াল নম্বর, তীর্থযাত্রী, পূর্ণ্যার্থীর সংখ্যা উল্লেখ করতে হবে। সুন্দরবনে প্রবেশকালে তীর্থযাত্রী,পুণ্যার্থীকে একটি করে টিকেট, টোকেন প্রদান করা হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন টোকেন ও টিকেট নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে আলোরকোলে স্থাপিত কন্ট্রোলরুমে রিপোর্ট করতে হবে। রাসপূর্ণিমা পুর্ণস্নানের সময় কোন বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। কারো কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, হরিণ মারার ফাঁদ, দড়ি, গাছ কাটা কুড়াল, করাত ইত্যাদি অবৈধ কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রলারে কোন প্লাস্টিকের খাবারের প্লেট বহন করা যাবে না। লঞ্চ, ট্রলার, নৌকায় এবং পুর্ণস্নানস্থালে মাইক বাজানো, পটকা, বাজি ফোটানোসহ কোন প্রকার শব্দ দূষণ করা যাবে না। রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূলকপি সাথে রাখতে হবে। সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা এ সকল তথ্য জানিয়েছেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)