বুধবার ● ১৩ ডিসেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ » পাইকগাছা আদালতের বিচারকের এজলাসে অগ্নিসংযোগ: ডিসি-এসপি’র ঘটনাস্থল পরিদর্শন
পাইকগাছা আদালতের বিচারকের এজলাসে অগ্নিসংযোগ: ডিসি-এসপি’র ঘটনাস্থল পরিদর্শন
পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত এর এজলাসে দুর্বত্তদের দ্বারা অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। ১৩ ডিসেম্বর ঙ্গলবার শেষ রাতে দুর্বত্তরা জানলার বাইরের ভাঙ্গা কাচের ফাক দিয়ে পেট্রোল বোমা জাতীয় বা দাহ্য জাতীয় দ্বারা অগ্নিকান্ড ঘটায়। আদালতের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত করতে নাশকতার অংশ হিসেবে দুর্বৃত্তরা বুধবার ভোররাতে এ অগ্নিসংযোগ করে। এতে এজলাস কক্ষের সোফা সহ অন্যান্য জিনিসপত্র পুড়ে গিয়ে অনেকটাই ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে পুলিশ ও প্রশাসন জানিয়েছে। থানা পুলিশ ও স্থানীয় আইনজীবীরা জানান পাইকগাছা আদালতের দুই পাশে দুই ধরনের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হয়ে থাকে। ভবনের পূর্ব পাশে রয়েছে সিনিয়র সহকারী জজ আদালত এবং পশ্চিম পাশে রয়েছে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের এজলাস কক্ষের সামনে জানালার একটি গ্লাস ভাঙ্গা রয়েছে। দুস্কৃতিকারীরা বুধবার ভোররাতের দিকে জানালার ওই ফাঁকা জায়গা দিয়ে পেট্রোল জাতীয় পদার্থ দিয়ে কক্ষের ভিতরে অগ্নিসংযোগ করে পালিয়ে যায়। পরে উপজেলা মডেল মসজিদের মুসল্লীরা ফজরের নামাজ পড়ে ফিরে যাওয়ার সময় আদালতের এজলাস কক্ষ থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখে। এরপর বিষয়টি আদালত কতৃপক্ষের নজরে আসলে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে এজলাসের ভিতরে থাকা সোফা ও আসামীর কাঠগোড়া পুড়তে থাকে। খবর পেয়ে আদালত এর বিচারক মো: আনোয়ারুল ইসলাম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আল- আমিন, সহকারী পুলিশ সুপার সাইফুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার ভুমি মো: আরিফুজ্জামান,ডিবির ওসি নাছির উদ্দীন, পাইকগাছা থানার ওসি ওবায়দুর রহমানসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। বুধবার ভোরের এ ঘটনায় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্টরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আদালত পাড়ায় অতিরিক্ত পুলিশ, বিজিপি, ডিবি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। তদন্ত অব্যাহত আছে। আশপাশের সিসি টিভির ফুটেজ দেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ভোর রাতে মোটরসাইকেলে করে আইনজীবী ভবনের পাশে আসা চোখ-মুখ ঢাকা এক আরোহীকে সনাক্তের চেষ্টা চলছে। পুলিশ মোহাম্মদ সাঈদুর রহমান জানান, স্বাভাবিক কর্মকার্ডে বাঁধাগ্রস্ত করতে নাশকতার পরিকল্পনা স্বরুপ দুর্বত্তরা এ ঘটনা ঘটিয়েছে। জেলা প্রশাসক খন্দকার ইয়াসির আরেফিন বলেন, এই ধরনের ঘটনা যাতে ভবিষ্যতে আর না ঘটে এ জন্য আমরা শক্তভাবে নজর রাখবো পাশাপাশি খুব শক্তিশালী ভাবে তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি নিশ্চিত করা হবে।
বিকালে জেলা ও দায়রা জজ মাহমুদা খাতুন, জীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সুনন্দ বাগচী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।এ ঘটনায় আদালত অঙ্গনে রাতে ডিউটিরত সহকারী উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এএসআই) সোহেল রানা ও পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামানকে তাৎক্ষণিক জেলা পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করা হয়েছে।