শুক্রবার ● ৫ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » মাগুরায় ভোট কেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি গ্রেফতার
মাগুরায় ভোট কেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি গ্রেফতার
মাগুরা প্রতিনিধি : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সন্ত্রাসমূলক কর্মকান্ডের মাধ্যমে বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে মাগুরায় বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ সজিব শেখকে (৩১) গ্রেফতার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। সজিব শেখ শহরের পুলিশ লাইন এলাকার মোসলেম শেখের ছেলে। গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২ টায় পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ সুপার মশিউদ্দৌলা রেজা সাংবাদিকদের জানান, বৃহস্পতিবার দুপুর ১টা ৩০ মিনিটের দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি সজিব শেখকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারের পর তার মোবাইল ফোন বিশ্লেষণ করে ও তার বর্ণনা মতে নির্বাচনের দিন কেন্দ্র ভিত্তিক নাশকতার পরিকল্পনা পায়। এছাড়া বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার দিকে তার মোবাইল ফোন একটি গ্রুপ কল থেকে জানা যায়, বিএনপির সকল নেতাকর্মীদের ঢাকা থেকে মাগুরায় চলে আসা, হরতাল জোরদার করা, নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে ভোটকেন্দ্রে যেতে না পারে সে লক্ষ্যে মানুষের মাঝে ভীতি সৃষ্টির জন্য সাউন্ড গ্রেনেড, চকলেট বোমা, পটকা, নিজস্ব প্রযুক্তিতে তৈরি হাত বোমা সংগ্রহ, গুরুত্বপূর্ণ স্থানসহ প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে কমপক্ষে তিনটি করে হাত বোমা ব্যবহার নিশ্চিত করা, গুলটি দিয়ে কাঁচের বল ব্যবহার করা, আতঙ্ক সৃষ্টি করার লক্ষ্যে প্রশাসন বিশেষ করে পুলিশের উপর গুপ্ত হামলা করার পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ কাজের জন্য ২ লক্ষ টাকা কেন্দ্রে থেকে পাওয়া গেছে। বাকি টাকা মনোয়ার হোসেন খান ও আলী আহমদ ব্যবস্থা করবেন। এছাড়া তার মোবাইলে হোয়াটসঅ্যাপে অন্যান্য গ্রুপে ও ব্যক্তিগত চ্যাটে আরো নাশকতার পরিকল্পনা সংক্রান্ত অনেক তথ্য পাওয়া যায়।
গ্রেফতারকৃত সজিবের বিরুদ্ধে দুটি মামলা বিজ্ঞ আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। সম্প্রতি সে জামিনে মুক্তি পায়। সে সহ তার সহযোগী নেতাকর্মীরা এলাকায় প্রবেশ করতে শুরু করেছে। সজিবকে গ্রেফতার করার সময় তার সাথে তার ব্যবহৃত মোবাইলটি পাওয় যায়।
পুলিশ সুপার আরো জানান, নির্বাচনে জনগণ নির্বিঘেœ ও উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট দিতে পারবেন। এ জন্য ৬ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। যেকোনো ধরণের নাশকতা মোকাবেলায় জেলা পুলিশ ও অন্যন্য আইনশৃঙ্খলাবাহিনী সক্ষম ও সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে ৫ হাজার ৬৮ জন আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য কাজ করবে বলে তিনি জানান।