শনিবার ● ১৩ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনির পল্লীতে প্রতিপক্ষকে মারপিট, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে বসত ঘর ভষ্মিভূত, আটক-১
আশাশুনির পল্লীতে প্রতিপক্ষকে মারপিট, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগে বসত ঘর ভষ্মিভূত, আটক-১
আহসান হাবিব, আশাশুনি: আশাশুনির পল্লীতে জমিজমা কেন্দ্রিক বিরোধে প্রতিপক্ষকে মারপিট করে বসত ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগ করে ভূস্মিভূত করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১ জনকে আটক করেছে। আটককৃত ব্যক্তির নাম রবিউল সরদার। সে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়নের কাঁকড়াবুনয়িা গ্রামের আজিজ সরদারের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৫টায় শ্রীউলা ইউনিয়নের কাকড়াবুনিয়া গ্রামে। প্রতিপক্ষকে মারপিট করে ঘর ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নি সংযোগের ঘটনার নেতৃত্ব বা হুকুম দেওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে কাঁকড়াবুনিয়া গ্রামের মৃত. সোহরাব উদ্দীন সরদারের ছেলে পার্শ্ববর্তী গাজীপুর কুড়িকাহনীয়া মাদ্রাসার সুপার মিজানুর সরদার (৫০) এর বিরুদ্ধে। এজাহারকারী একই গ্রামের মৃত. আব্দুর রহমান গাজীর ছেলে মোস্তাক গাজীর (৩১)। এজাহার সূত্রে জানাগেছে, জমিজমা সংক্রান্তে বিরোধের জের ধরে মাদ্রাসার সুপার মিজানুর সরদারের নেতৃত্বে ঘটনার দিন ২৫-৩০ জন মোস্তাকের বসবাড়িতে ঢুকে ঘরবাড়ি ভাংচুর করতে থাকে। বাঁধা দিতে গেলে সংঘবব্ধ লাঠিয়ালেরা মোস্তাকের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের মারপিট করে। যাবার সময় তারা মোস্তাকের ভাই আশরাফুল ও মায়ের ঘরে অগ্নিসংযোগ করে চলে যায়। এতে দুটি বসত ঘর পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে যায়।
এদিকে শ্রীউলা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক দিপংকর বাছাড় দীপু জানান, মাদ্রাসার বেদখলীয় জমিজমা উদ্ধার কেন্দ্রিক এ ঘটনার সূত্রপাত হয়েছে বলে শুনেছি। থানায় অভিযোগকারী মোস্তাকের নিজের ভাই খলিলুর রহমান দীর্ঘদিন ধরে ডিসিআর নিয়ে খাসজমির সাথে মাদ্রাসার ১ বিঘা জমি চাষাবাদ করলেও হারীর টাকা পরিশোধ করতো না বলে শুনেছি। ২০২২ সালে গাজীপুর গ্রামের মৃত. বসির উদ্দীনের ছেলে মুকুল গাজী ওই খাস জমি ইজারা নিয়ে এলে মাদ্রাসার জমিও তাকে ডীড দেওয়া হয়। এতে ইব্রাহিম খলিলের সাথে মাদ্রাসা সুপারের মতবিরোধ হয়। সুষ্ঠ তদন্ত হলে অগ্নিসংযোগের ঘটনার আসল কাহিনী বের হয়ে আসবে বলে আমি মনে করি।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মাদ্রাসা সুপার মিজানুর সরদারের সাথে ০১৭১৭-২৫০১৩০ নং মুঠোফোনে বারং বার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সুইস্ড বন্ধ থাকায় সম্ভব হয়নি।
স্থানীয় অনেকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছিক আমাদের এ প্রতিবেদককে জানান, প্রতিপক্ষকে ফাসাতে নিজেরাই অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটিয়েছে বলে আমরা মনে করি। কারন পূর্বের হুমকি তাই প্রমান করে।
এ ঘটনায় আশাশুনি থানা অফিসার ইনচার্জ বিশ্বজীৎ কুমার অধিকারী জানান, অভিযোগের ভিত্তিতে ১৭ জনকে আসামী ও ১০/১২ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করে ০৮(০১)২৪ নং মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। এ ঘটনায় এজাহার নামীয় রবিউল সরদার নামে একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। তদন্ত কার্য অব্যহত রয়েছে, অচিরেই আসল ঘটনা জানা যাবে।