শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
মঙ্গলবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » পরিবেশ » তীব্র শীতে উপকূলের পাইকগাছার জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে
প্রথম পাতা » পরিবেশ » তীব্র শীতে উপকূলের পাইকগাছার জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে
২২৮ বার পঠিত
মঙ্গলবার ● ১৬ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

তীব্র শীতে উপকূলের পাইকগাছার জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে

---

 মাঘের তীব্র শীতে পাইকগাছাসহ উপকূল এলাকার স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশার প্রভাব অব্যাহত রয়েছে।শীত জেকে বসেছে প্রকৃতিতে। ফলে বিপর্যস্থ হয়ে পড়েছে প্রাণীকূল। রাত থেকে ঘন কুয়াশায় প্রকৃতি ঢাকা পড়ছে। ভোরবেলা যেন ঘন কুয়াশার  চাদরে ঢাকা পড়ে। ভোর যেন হয়েও হয় না। সূয্যের আলো দেখা যায় না। সকাল ১১ টার পর সূর্যের ক্ষিন আলো প্রকৃতির উপর আচড়ে পড়তে শুরু করে।কোন কোন দিন সূর্যের আলোও দেখা যাচ্ছে ন্। ঘন কুয়াশার কারণে প্রতিদিনের কাজকর্ম কিছুটা দেরিতে শুরু হচ্ছে। এতে করে শ্রমজীবি মানুষের কাজ শুরু করতে দেরি হওয়ায় আয় রোজগার তেমন হচ্ছে না। তাতে সংসারে টানাটানি লেগে আছে। শৈত প্রবাহের বিশেষ করে দরিদ্র ও শ্রমজীবি মানুষ বেশি দূর্ভোগ পোয়াচ্ছেন। আর শীতের বেলা ছোট হওয়ায় সাথে কাজ করে তো এগোনই যাচ্ছে না। সে কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে।  

মাঘ মাস শুরু হওয়ার পর থেকে তীব্র শীত আর কূয়াশার গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে মানুষ কাবু হয়ে পড়েছে।বিকেলের আলো থাকতেই কুয়াশা শুরু হচ্ছে। রাত বাড়তেই ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ে প্রকৃতি। রাত ১১ টার পর থেকে বৃষ্টি পড়ার মতো কুয়াশা পড়া গাছের পাতার পানি পড়তে থাকে সকাল পর্যন্ত। ঘন কুয়াশায় রাস্তায় যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যানবাহন হেডলাইট চালিয়ে চলাচল করছে। নদীতে ট্রলার নৌকা সহ নৌ জাহান চলাচলে মারাত্মক বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে। ঘন কুয়াশায় খেয়া পারাপারে যাত্রীরা বিড়ম্বনার পড়ছে। এতে করে তারা কর্মস্থানে পৌছাতে সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে।তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশার প্রভাবে শিশু ও বৃদ্ধরা স্বর্দি জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। শ্বাস কষ্টের রোগীদের কষ্ট বেড়ে যাচ্ছে। সব মিলিয়েই রোগ বালাই বাড়ছে।সকাল-বিকাল বিভিন্ন স্থানে আগুন জ্বালিয়ে তীব্র শীতে উষ্ঞতা পেতে আগুন পোহাতে দেখা যাচ্ছে। এ ব্যাপারে পাইকগাছা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও প প কর্মকর্তা ডাঃ নীতিশ চন্দ্র গোলদার জানান, শীত ও কুয়াশার মধ্যে শিশু ও বৃদ্ধদের বের না হওয়া ভাল, গরম কাপড় ব্যবহার করতে হবে এবং ঠান্ডা পানিতে গোসল করা যাবে না। কুয়াশার মধ্যে গরম কাপড় ব্যবহার করে সাবধানে চলাচল করতে হবে।---

তীব্র শীত আর কুয়াশার প্রভাবে শাক সবজি সহ কৃষি কাজ কর্মের উপর প্রভাব পড়েছে। কুয়াশার কারণে আলু ক্ষেত, পান ও বোরো বীজতলার কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। পান গাছ থেকে পান হলুদ হয়ে ঝরে পড়ছে, এতে করে পান চাষীরা ক্ষতি শিকার হচ্ছে। এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, ঘন কুয়াশায় শাক সবজির কিছুটা ক্ষতি হচ্ছে। বোরো ধানের বীজতলার চারা বড় হয়ে যাওয়ায় তেমন একটা ক্ষতির সম্ভবনা নেই। তবে রোপনকৃত বোরো ক্ষেতের চারা সূর্যের আলো ঠিকমত না পাওয়ায় খাদ্য তৈরী করতে পারছে না। এতে করে চারা হলুদ বর্ণ ধারণ করছে। এব্যাপারে কৃষকদের তীব্র শীতের মধ্যে বোরো চারা রোপন করতে নিষেধ করা হয়েছে। শীত একটু কমলে বোরো আবাদ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া উপজেলার বিভিন্ন ব্লকে কৃষি অফিসের মাধ্যমে কুয়াশার প্রভাব থেকে সবজি ক্ষেত ও বোরো ক্ষেত কুয়াশার প্রভাব থেকে রক্ষা করার জন্য বিভিন্ন প্রকার পরামর্শ প্রদান করা হচ্ছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)