সোমবার ● ২২ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » স্বাস্থ্যকথা » নড়াইলে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যশিক্ষা চক্ষু ক্যাম্প ও স্যানিটারি প্যাড বিতরণ অনুষ্ঠিত
নড়াইলে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্যশিক্ষা চক্ষু ক্যাম্প ও স্যানিটারি প্যাড বিতরণ অনুষ্ঠিত
ফরহাদ খান, নড়াইল ; নড়াইলে বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা, স্যানিটারি প্যাড বিতরণ, বিনামূল্যে চক্ষু ক্যাম্প ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সিভিল সার্জন অফিসের আয়োজনে ও জেলা প্রশাসনের সহযোগিতায় সোমবার (২২ জানুয়ারি) সকাল ১০টার দিকে নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজ মিলনায়তনে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন-জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশফাকুল হক চৌধুরী।
বিশেষ অতিথি ছিলেন-নড়াইল সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ বিশ্বজিৎ কুমার ভৌমিক, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আক্তার ও সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানির কর্মকর্তা শাহীন আহসান।
এছাড়া বয়ঃসন্ধিকালীন স্বাস্থ্য শিক্ষা, চক্ষু ক্যাম্প, স্যানিটারি প্যাড ব্যবহারে উদ্বুদ্ধকরণ বিষয়ে আলোচনা করেন ডাক্তার ফৌজিয়া ইয়াসমিন লিজা, ডাক্তার শুভাশীষ বিশ্বাস, ডাক্তার আসিফ আকবর, ডাক্তার শামীমুর রহমান, ব্র্যাকের জেলা সমন্বয়কারী মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম, সোস্যাল মার্কেটিং কোম্পানির কর্মকর্তা মাসুম ইমতিয়াজসহ অনেকে।
অনুষ্ঠানে ছাত্রীদের মাঝে এসএমসি’র সহযোগিতায় স্যানিটারি প্যাড বিতরণ করা হয়। এছাড়া বিনামূল্যে চক্ষু পরীক্ষা করে ব্র্যাক ভিশন সেন্টার।
আলোচকরা বলেন, স্বাস্থ্য বিভাগের হিসাব মতে ১০ থেকে ১৯ বছর পর্যন্ত সময়টা কৈশোরকাল। এ বয়সে হরমোন পরিবর্তন হয়। এ কারণে শারীরিক ও মানসিক পরিবর্তন হয়ে থাকে। ওজন ও উচ্চতা বাড়ে, হাড়ের গঠন হয়, পুষ্টিকর খাবারের প্রয়োজন হয়। এ সময়ে তাদের ‘গাইড’ করার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। কৈশোরকালটা সামলে নিতে না পেরে অনেকে বিপথে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। অনেকে ধুমপানে আসক্ত হয়। বাল্যবিয়ের প্রবণতা বেড়ে যায়। নীতি-নৈতিকতার অভাব দেখা দেয়। কৈশোরবান্ধব প্রকল্পের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা কৈশোরকালের স্বাস্থ্য সচেতনতা সম্পর্কে জানতে পারছে। স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে প্রতি সপ্তাহে শিক্ষার্থীদের কৈশোরকালের স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টিসহ চিকিৎসাসেবা প্রদান করা হচ্ছে।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের দিকে ‘কৈশোরবান্ধব স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্ণার’ এর কাজ শুরু করেন সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিন। তবে ওই বছরের (২০২৩) ১৬ আগস্ট এ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন নড়াইল-২ আসনের সংসদ সদস্য ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মর্তুজা। একইদিনে নড়াইল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং লোহাগড়া উপজেলার লক্ষীপাশা আদর্শ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এ কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন মাশরাফি।
সিভিল সার্জন ডাক্তার সাজেদা বেগম পলিনের উদ্যোগে নড়াইলের বিভিন্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ এবং কমিউনিটি কেন্দ্রে ব্যতিক্রমী এ স্বাস্থ্য ও পুষ্টি কর্ণার চালু হয়েছে।