শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » পরিবেশ » সাদা বক আর পাখির কিচিরমিচিরে মুখর পাইকগাছা ফ্যান্টাসি গার্ডেন এন্ড পার্ক
প্রথম পাতা » পরিবেশ » সাদা বক আর পাখির কিচিরমিচিরে মুখর পাইকগাছা ফ্যান্টাসি গার্ডেন এন্ড পার্ক
১৮৭ বার পঠিত
রবিবার ● ২৮ জানুয়ারী ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

সাদা বক আর পাখির কিচিরমিচিরে মুখর পাইকগাছা ফ্যান্টাসি গার্ডেন এন্ড পার্ক

   ---পাখিদের কলকাকলিতে মুখর হয়ে উঠেছে পাইকগাছা উপজেলার এক মাত্র বিনোদন কেন্দ্র ফ্যান্টাসি গার্ডেন এন্ড পার্ক। নানা প্রজাতির রং-বেরঙের পাখিদের কিচিরমিচির শব্দে মুখর গোটা পার্ক এলাকা। শীতের সকালে গায়ে কুয়াশা মেখে পাখিরা উড়ছে আপন মনে।পার্কের চারদিকে গাছে পাখিদের কিচির-মিচির মাতিয়ে রাখে সকাল-বিকেল।

ফ্যান্টাসি গার্ডেন এন্ড পার্কে যেন সাদা বকের মেলা বসেছে। পুরা পার্ক জুড়ে গাছের ডালে পাখিদের বসা ও পাখিদের উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য পর্যটক ও পথ চারীদের মুগ্ধ করো তোলে। পার্কের সামনে মেইন সড়কে দাড়িয়ে পাখির  উড়ে বেড়ানোর দৃশ্য উপভোগ করতে ঘন্টার পরে ঘন্টা দাড়িয়ে থাকে পথচারীরা। অনেকেই এই দৃশ্য স্মৃতি করে রাখতে  ভিডিও এবং ছবি উঠিয়ে রাখছেন। সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সকালে খাবারের সন্ধানে বেরিয়ে পড়া নানান প্রজাতির  পাখিরা সন্ধ্যার আগেই পার্কে  ফিরতে শুরু করছে। ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে আসা এসব পাখিরা বসছে পার্কেও চারি পাশে অবস্থিত ছোট-বড় গাছের ডালে। পাখিদের ডালে বসার নয়নাভিরাম দৃশ্য, ডানা ঝাপটানি ও কিচির মিচির শব্দে মাতিয়ে তোলে।  ফ্যান্টাসি গার্ডেন এন্ড পার্ক এর দায়িত্বরত জি এমন খালেকুজ্জামান বলেন, ২০২২ সালে আনুষ্ঠানিক ভাবে পার্কটি চালু করা হয়। এটি প্রাকৃতিক পরিবেশে গড়ে ওঠা একটি পূর্ণাঙ্গ পার্ক। এখানকার সবচেযে বড় বৈশিষ্ট্য এখানকার পাখি। প্রায় নয় থেকে দশ মাস এখানে বিভিন্ন দেশি এবং বিদেশি পাখির সমন্বয় ঘটে।তিনি আরো বলেন,পার্কের চারিপাশে লাগানো হয়েছে বাইন,কেওড়া,গোল,গোরান,গেওয়া,ওড়া,কাকড়াসহ বিভিন্ন প্রজাতির গাছ। এ খানে বিকাল হলেই দেখা যায় হাজার হজার দেশীয় ও শীতের পাখি দলে দলে উড়ে বেড়াচ্ছে ।যার মধ্যো,বিল বাকচু,পানি কামড়ি,হাঁসপাখি,কুচবক,পুটিবক,ঢালীবক,শালিখ,চড়ুইপাখি সহ অনেক প্রকার পাখির আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা পার্কের এলাকা। পাখি হারাচ্ছে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। কমেছে পাখির আনাগোনা। তার পরও প্রতিবছর শীত মৌসুমে আমাদের অঞ্চলে ঝাঁক বেঁধে আসছে অতিথি পাখিসহ দেশীয় প্রজাতির বিভিন্ন পাখি।

পরিবেশবাদী সংগঠন বনবিবির সভাপতি প্রকাশ ঘোষ বিধান বলেন, প্রতিবছরের মতো এ বছরও হাজার হাজার পরিযায়ী পাখি শীত থেকে বাঁচতে ও খাবারের আশায় আমাদের এলাকায় এসেছে। আর নিরাপদ আশ্রয়ের অভাবে তারা জড়ো হচ্ছে নদীর কাছাকাছি বড় বড় বনঞ্চলে। নদীর পাড়ে গাছপালা বেশি থাকায় এটাকে পাখিরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল মনে করে। তাই পাখির একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল তৈরি করতে আমি গাছে গাছে মাটির পাত্র বেধে দিচ্ছি।আমাদের উপকূলীয় এলাকার অতিথি পাখিদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ স্থান হলো বড় বড় বাগান যেখানে বেশি পরিমান গাছ আছে। এখানে অনেক নির্জন এলাকা রয়েছে, যাতে পাখিদের নিজস্বতা রক্ষা পায়। এ সময়ে সারাবিশ্বে বিপন্ন এমন অনেক পাখি এ অত্রঞ্চলে দেখা যায়। প্রকৃতি ভালো রয়েছে বলেই পাখিরা আসছে। তাই পাখিরা যাতে বিরক্ত না হয়, সে ব্যাপারে সবাইকে আরও বেশি সচেতন হতে হবে।এ বছর মৌসুমের শুরু থেকেই এখানে অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। পাখি সংরক্ষণ ও বিচরণ নির্বিঘেœ করতে আমার সংঠনের পক্ষ থেকে লিফলেটসহ বিভিন্ন সচেতনতামূলক কার্যক্রম চালানো হচ্ছে।

এ ব্যাপারে পাইকগাছা বন কর্মকর্তা প্রেমানন্দ রায় বলেন, পৃথিবীতে ১০ হাজারেরও বেশি প্রজাতির পাখি রয়েছে। এদের মধ্যে প্রায় ২ হাজার প্রজাতির পাখি পরিযায়ী বা অতিথি পাখি। এরা নিজ দেশের তীব্র শীত থেকে বাঁচতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে আসা-যাওয়া করে থাকে। সাইবেরিয়া, ইউরোপ, এশিয়া, হিমালয় থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বিভিন্ন প্রজাতির পরিযায়ী পাখি নভেম্বর-ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে আমাদের দেশে আসে। শীত মৌসুম শেষ হলে আবার তারা পাড়ি জমায় নিজ নিজ দেশে। পাখিদের উপস্থিতিতে প্রকৃতিতে আসে নতুন রূপ। প্রতিবছরের মতন এবারও আমাদের এলাকাতে বিপুল পরিমাণ অতিথি পাখির আগমন ঘটেছে। এসব পাখিদের অবাস্থল যাতে কেউ বিনষ্ট করতে না পারে সে ব্যাপারে আমাদের বন কর্মীসহ সবাই সচেষ্ট রয়েছে। তবে আশার কথা হলো মানুষ এখন অনেক সচেতন হয়েছে। তারা পখি শিকার থেকে নিজেদের বিরত রাখছে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)