শুক্রবার ● ১ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় লাউ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষক হারুণ গাজী
পাইকগাছায় লাউ চাষে সফলতা পেয়েছে কৃষক হারুণ গাজী
প্রকাশ ঘোষ বিধান, পাইকগাছাঃ সবুজ ক্ষেত জুড়ে লাউ আর লাউ। মাচার উপরে গাছ আর নিচে ঝুলছে শত শত লাউ। মাচায় লাউয়ের সবুজ ক্ষেত আর লাউ দেখলে যেন চোখ জুড়িয়ে যায়। এই লাউয়ের আবাদ করেছে পাইকগাছার হারুণ গাজী।
লাউ একটি লতানো উদ্ভিদ। লাউ শীত কালিন সবজিগুলোর মধ্যে অন্যতম। কাঁচা অবস্থায় সবজি হিসাবে খাওয়া যায় আর পরিপক্ক অবস্থায় বতল, পাত্র হিসাবে ব্যবহার করা হয়। কচি লাউয়ের রং সবুজ ও ভিরতে সাদা রঙের শাস হয়। লাউয়ের ডোগা সবজি হিসাবে খাওয়া যায়। আঞ্চলিক ভাষায় লাউকে কদু বলা হয়। লাউ পৃথিবীর অন্যতম পুরোনো সবজি। এর জন্ম আফ্রিকায়।
কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলায় ২৫ হেক্টর জমিতে লাউয়ের আবাদ হয়েছে। গদাইপুর, তকিয়া,হরিঢালি, মালথসহ বিভিন্ন ব্লকে পরিকল্পিত কিছু লাউয়ের ক্ষেত আছে। তাছাড়া বিভিন্ন বাড়ীতে ছোট ছোট লাউয়ের বাগান গড়ে উঠেছে।
উপজেলা গদাইপুর ইউনিয়নেরগদাইপুর গ্রামের লাউ চাষী হারুন গাজী ১৬ কাটা জমিতে মাচা করে লাউয়ের আবাদ করেছেন। প্রতিদিন ক্ষেত থেকে ৬০-৭0টি লাউ তুলছেন। প্রতিটি লাউয়ের ওজন প্রায় দুই থেকে আড়াই কেজি। স্থানীয় বাজারে ২৫-৩০ টাকা মুল্যে প্রতিটি লাউ পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। প্রতিদিন প্রায় ২ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করছেন। তিনি জানান, ১৬ কাঠা জমিতে ডায়না জাতের লাউয়ের বিজ বপন করেন কার্ত্তিক মাসের ১৫ তারিখে। ২ মাস পর গাছে ফুল ও ফল ধরা শুরু করেছে। ২ দিন পর পর ক্ষেতে পানির সেচ ও সার ঔষধ প্রয়োগ করা হচ্ছে।এবার প্রথম লাউয়ের চাষ করেছেন, প্রথম ভূল কিটনাশক প্রযোগ করায় সব লাউ পচে যায়।গদাইপুর ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা ডলটন রায় তার ক্ষেত পরিদর্শন করে বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে থাকেন।ফাল্গুন মাস পর্যন্ত লাউ উত্তোলন করবেন। লাউয়ের মাচা তৈরিসহ বিভিন্ন খরচ হয়েছে প্রায় ২৫ হাজার টাকা। লাউয়ের আবাদ থেকে প্রায় ৫০ হাজার টাকামত লাভ হবে বলে তিনি জানান। শুধু লাউ চাষ নয়, মাচার নিচে বেগুন, টমেটো,পালনসহ নানা ধরনের সবজির আবাদ করেছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ বলেন, লাউ শীত কালিন সবজির মধ্যে লাভ জনক একটি ফসল। লাউ বারো মাস চাষ করা যায়। লাউ চাষীদের কৃষি বিভাগ থেকে উন্নত প্রযুক্তির ব্যবহারসহ জৈব পদ্ধতীতে চাষাবাদে পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।