শনিবার ● ২৩ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » রাজনীতি » আশাশুনি প্রেসক্লাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এড: পিন্টুর মতবিনিময়
আশাশুনি প্রেসক্লাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এড: পিন্টুর মতবিনিময়
আশাশুনি : আশাশুনি প্রেসক্লাবের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু।
শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী এড. শহিদুল ইসলাম পিন্টু বলেন, আমি সাবেক চেয়ারম্যান
মরহুম শাহজাহান আলীর ছোট ভাই। আমি আশাশুনি সদর ইউনিয়নে ২০০৩ সাল থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত ১৪ বছর নির্বাচিত চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। আমি ২০০৩ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেছি। ৩১ বছর আমি আইনজীবি ও আইনজীবি সমিতির নিষ্ঠার সাথে নেতৃত্ব দিয়েছি। আমি আশাশুনি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করার সময় ৫০ বছরে সদরের যে অবকাঠামোর উন্নয়ন হয়নি, সেটি আমার হাত দ্বারা রুহুল হক সাহেব মন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে হয়েছে। আমি নিজের অর্থায়নে সাড়ে ১৬ বিঘা জমি ক্রয় করে বলাবাড়িয়া যে স্লুইস গেট নির্মাণ হয়েছিল তার সাথে কোন সংযোগ খাল ছিল না। দুইটা ইউনিয়নের মানুষ পানি পেত না । বর্ষার সময় সকল এলাকা ঘের ডুবে যেত। আমি আমার নামে জমি ক্রয় করে দুইটা ইউনিয়ন আশাশুনি এবং শ্রীউলা ইউনিয়নের পানি নিষ্কাশনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করেছি। ওই দলিলে উল্লেখ আছে এই জমি আমি ও আমার পরিবারের কেউ বন্দক বা বিক্রি করতে পারবে না। আপনারা জানেন ২০০৩ সালে ৪ দলীয় জোট ক্ষমতা ছিল আমি তখন নিজের টাকা খরচ করে তদবির করে খারাপ গোয়াল ঘরের মতো বললে ভুল হয় না একটি ইউনিয়ন পরিষদ ছিল এটাকে আমি একটি দৃশ্যমান সরকারের মডেল অনুযায়ী একটি ইউনিয়ন পরিষদ উপহার দিয়েছি। অনেক এলাকায় রাস্তা ছিলনা, আমি ইট দিয়ে রাস্তা করার ব্যবস্থা করেছি। এমনকি কোথাও কোথাও জমি কিনেও রাস্তা করে দিয়েছি। আমি ক্ষমতায় থাকাকালীন কখনো কারোর হক নষ্ট করিনি।
তিনি আরো বলেন আমার চোখ অপারেশন করার কারণে আমি একটু দেরিতে প্রচারণা শুরু করেছি প্রথমে গুনাকরকাটি এবং পরে নলতা শরীফ মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আমি নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছি। গত কয়দিন সাধারণ মানুষের সাথে মিশে বুঝেছি তারা এখনো পর্যন্ত আমাকে কতটা ভালবাসে এবং আমি তাদের ভালোবাসায় মুগ্ধ হয়েছি। তিনি আরো বলেন আমি আ’লীগের দায়িত্ব থাকাকালীন এবং সরকার ক্ষমতা থাকাকালীন অনেককেই বলাবাড়িয়া এলাকায় ভিজিডি কার্ড ধারী পরিবারের সন্তান থেকে শুরু করে বহু ছেলের চাকুরির ব্যবস্থা করেছি, কিন্তু কোন বিনিময় নয়, এমনকি এক কাপ চাও না। আজকে যদি আমি টাকা নিয়ে চাকরি দিতাম তাহলে কোটি কোটি টাকা নিতে পারতাম কিন্তু আমি কখনো অসৎ পথ অবলম্বন করিনি। তিনি এমপি মহোদয়ের বরাত দিয়ে বলেন, ইতোপূর্বে যারা উপজেলা চেয়ারম্যানের চেযারে আসিন আছে তারা কখনও একটি ডিও লেটার নেননি কোন রাস্তা বা নদীর পানি রক্ষা বাঁধ নির্মানের জন্য। আমি দায়িত্বে আসলে এমপি সাহেবের নিকট থেকে ডিও লেটার সহ অতিরিক্ত বরাদ্ধ নিয়ে উন্নয়ন বেগবান করতে পারব বলে মনে করি। তিনি আরো বলেন সরকার দলীয় কেউ যদি নির্বাচিত না হয় তাহলে এই উপজেলার কোন উন্নয়ন হবে না। তিনি বলেন, আমাকে ভাই বা উকিল সাহেব বলে সন্মোধন করলে খুশি হন। এড. পিন্টু সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, উপজেলা পরিষদে কাবিখা ও কাবিটা দুটি বরাদ্ধের মধ্যে একটি বরাদ্ধ পান। সেটি ইউপি চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদে ভাগ করে দেয়া হয়। আমি ইউপি চেয়ারম্যান থাকাকালিন কম বেশী পেয়েছি এবং কমবেশী কাজও করেছি। আর এডিবির বরাদ্ধ উপজেলা প্রকৌশলীর দ্বারা টেন্ডারের মাধ্যমে কাজ করা হয়। তিনি আগামী উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে উপজেলাবাসীর দোয়া ও সমর্থন কামনা করেন। মত বিনিময় কালে শ্রীউলা ইউনিয়ন আ’লীগ সভাপতি নুর মোহাম্মদ, সদর ইউনিয়ন আ’লীগ নেতা আব্দুল্লাহেল বাকী বাচ্চু, সাবেক ছাত্রলীগের সম্পাদক মনিরুজ্জামান বিপুল, যুবলীগ নেতা সাজ্জাদুর রহমান কালু, মিজানুর রহমান মিজান, সাবেক ব্যাংকার শাহজান আলী সহ আ’লীগ নেতা ও গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।