মঙ্গলবার ● ২৬ মার্চ ২০২৪
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় টেইলার্স কারিগরদের ঈদের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ততা বেড়েছে
পাইকগাছায় টেইলার্স কারিগরদের ঈদের পোশাক তৈরীতে ব্যস্ততা বেড়েছে
পাইকগাছার টেইলার্স কারিগররা ঈদ-উল-ফিতরের আগে পোশাক ডেলিভারী দিতে নিঃঘুম রাত কাটাচ্ছে। ঈদের পোশাক তৈরীতে কারিগররা ব্যস্ত সময় পার করছে। মেশিনের ‘ঘটর ঘটর’ শব্দ চলেছে বিরমহীন। একটানা কাজ করে চলেছে দর্জিরা। এতটুকু যেন দম ফেলার ফুসরত নেই। ঈদ বলে কথা। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সব কাজ শেষ করতে হবে। তাইতো মেশিনের সঙ্গে সমান তালে চলেছে হাত-পা। মেশিনের ‘ঘটর ঘটর’ শব্দের তালে তৈরী হচ্ছে নানা ডিজাইনের পোশাক পাঞ্জাবী, জামা, শার্ট, সেলোয়ার কামিজ, ফতুয়া, প্যাণ্ট, সুট্য সহ নানা ধরণের পোশাক।
খোজ নিয়ে জানাগেছে, উপজেলার কপিলমুনি, বাঁকা বাজার, চাঁদখালী বাজার, কাটিপাড়াসহ বিভিন্ন বাজারে টেইলাসের দোকান রয়েছে। পাইকগাছা পৌর বাজারে ২০/২৫টি টেইলার্সের দোকান আছে। এর মধ্যে কপোতাক্ষ মার্কেট, আল-মদিনা মার্কেটে হাসান টেইলার্স, স্টুডেন্ট টেইলার্স, সানমুন টেইলার্স, জেণ্টস টেইলার্স, ফেমাস টেইলার্স, শরীফ টেইলার্স, সুন্দরবন টেইলার্স, মুক্তা টেইলার্স, বর্ণা টেইলার্স এছাড়া শুধুমাত্র মহিলাদের পোশাক তৈরীর রাজমনি লেডির্স টেইলার্স, স্মার্ট ফ্যাশান সহ ৩/৪ টি টেইলার্স রয়েছে। দর্জির কারিগরা জানান, তারা সকাল ৮টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত একটানা কাজ করে যাচ্ছে। স্টুডেন্ট টেইলর্সের স্বত্তাধিকারী মোমিনুর রহমান জানান, ঈদ বলে কাজের চাপ অনেক বেশী। প্রতিদিন নতুন নতুন পোশাকের অর্ডার নিতে হচ্ছে। জানা গেছে, দর্জির দোকানে ডিজাইন অনুযায়ী প্রতি পিস প্যান্ট সেলাই হচ্ছে ৪০০-৫০০ টাকা,শার্ট ৩০০-৩৫০ টাকা, মেয়েদের লেহেঙ্গা ৮০০-৯০০ টাকা, থ্রি পিস প্রকারভেদ অনুযায়ী ২৫০-৪০০ টাকা, ব্লাউজ পেটিকোট ২০০-৩০০ টাকা, বাচ্চাদের পোশাক ডিজাইনের ওপর নির্ভর করে মজুরি নেওয়া হয়।তিনি আরো জানান নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পোশাক ডেলিভারী দেওয়ার জন্য কারিগররা দিন-রাত কাজ করছে। তবে ঘন ঘন বিদ্যুতের লোড শেডিং এর কারণে কাজের প্রচন্ড রকমের ব্যাঘাত ঘটছে। শরীফ টেইলার্সের মালিক মোশাররফ হোসেন মুন্না জানান, প্যান্ট ও শার্টের নতুন অর্ডার নিচ্ছে না তারা, আগের অর্ডার নেওয়া পোশাক সময়মত ডেলিভারী দেওয়ার জন্য দিন-রাত কাজ করছে।আপন টেইলার্সের কাটিং মাস্টার ফয়সাল আহমেদ বলেন, গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার অর্ডার ভালো পাচ্ছি।কাজের চাপে নতুন অর্ডার নেওয়া বন্ধ করব। প্রতিদিন অনেক কাপড়ের অর্ডার পাচ্ছি। আল-মদিনা মার্কেটের রাজমনি লেডির্স টেইলর্সের মালিক রতন কুমার বিশ্বাস জানান, মেয়েদের বিভিন্ন পোশাকের মুজরী থ্রি-পিছ কাপড় হিসাবে ৩শ টাকা থেকে সাড়ে৩শ টাকা, টু-পাট ৩০০, প্লাজু ২০০, লেহাঙ্গা ৪০০, ফ্লোর টার্চ ৫০০ টাকা। মহিলা ও বাচ্চাদের পোশাক তৈরীর চাপ বেড়ে গেছে। নিখুত ভাবে পোশাক তৈরী করার জন্য সময় একটু বেশী লাগে। এ জন্য কারিগররা র্নিঘুম কাজ করে চলেছে। টেইলর্স মালিকদের সবার একই অভিযোগ বিদ্যুতের লোড শেডিং এর কারণে তারা ঠিক মত কাজ করতে পারছে না। ঈদের আগেই অর্ডার নেওয়া পোশাক ডেলিভারী দেওয়ার জন্য দর্জিপাড়ার কারিগররা পোশাক তৈরীতে দিন-রাত কাজ করে চলেছে।