শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ৫ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » পাইকগাছায় খাটি মধু পেতে বারিকই ভরসা; চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে ক্রেতার সামনে বিক্রি
প্রথম পাতা » সুন্দরবন » পাইকগাছায় খাটি মধু পেতে বারিকই ভরসা; চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে ক্রেতার সামনে বিক্রি
৩৬৫ বার পঠিত
শুক্রবার ● ৫ এপ্রিল ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় খাটি মধু পেতে বারিকই ভরসা; চাক থেকে মধু সংগ্রহ করে ক্রেতার সামনে বিক্রি

   ---প্রাকৃতিক মৌমাছির চাক থেকে মধু আহরণ করেন আব্দুল বারিক। মধু বিক্রি করে  সংসার চালাচ্ছেন।তবে প্রতিদিনই মধু সংগ্রহ না। বৈশাখ থেকে জ্যৈষ্ঠ মাসে বেশি মধু সংগ্রহ করা যায়।গ্রামে বিভিন্ন গাছে মৌমাছি চাক তৈরি করে বিভিন্ন ফুলের মধু সংগ্রহ করে জমা করে। সে চাক কেটে প্রাকৃতিক মধু সংগ্রহ করা হয়।

সবাই খাটি ভালো মধু চায়। ভেজাল মুক্ত মধু পেতে ক্রেতার বিড়ম্বানার শেষ নেল। তাই ভেজাল মুক্ত খাটি মধু পেতে সবাই বারিকের উপর আস্থা।বারিক চাক কেটে বাগানে বসে ক্রেতাকে মধু দিচ্ছে। কেহ চাইলে চাক সহ মধু নিতে পারে। তাই খাটি মধু পেতে বারিকের উপর ভরসা।

খুলনা জেলার পাইকগাছার মটবাটি গ্রামে আব্দুল বারিকের বাড়ি। এলাকায় মধু বারিক নামে পরিচিত। তিনি এলাকার  বিভিন্ন গাছ বা বাসা বাড়িতে মৌমাছির চাক কেটে মধু সংগ্রহ করেন। সেই মধু বিক্রি করে যে অর্থ আয় করেন তাই দিয়েই চলে তার সংসার।মধু আহরণের পাশাপাশি সংসার চালাতে বিভিন্ন কাজ করেন। বারিক বলেন, আমি প্রায় ২০ -২৫ বছর যাবৎ মৌমাছির চাক থেকে মধু সংগ্রহ করি। মৌচাক কেটে মালিকদের অর্ধেক আমি অর্ধেক নিয়ে থাকি। মৌমাছি চাকের প্রতি কেজি মধু ৭০০ থেকে৮০০ টাকা দরে বিক্রি করি।

কোথাও মৌচাকের সন্ধান পেলেই মৌয়াল বারিককে ডাকা হয়। অত্যন্ত যত্নসহকারে মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ করেন। বারিক মৌচাক থেকে কীভাবে মধু সংগ্রহ করেতে হয় তার কৌশল আয়ত্ত করেছেন । মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহের  পেশাদার মৌয়াল হয়ে ওঠেছেন তিনি। কয়েক বছর সুন্দরবনের মধু আহরণে মৌয়ালদের সাথে মধু আহরণ করেছেন। সুন্দরবনের পার্শবর্তি উপকূল এলাকায় বড় বা দাশ মৌমাছির চাক বেশী পাওয়া যায়।

চাক থেকে মধু সংগ্রহের আগে কয়েকটি ধাপ রয়েছে। শুরুতে মৌয়াল বা মধু সংগ্রহকারীরা বেশ কিছু খড় জড়ো করে শুকনা কাচা পাতা পেচিয়ে মশালের মতন তৈরি করা হয়। একে কোনো কোনো এলাকায় বোলেন বা বুন্দা বলা হয়। এ মশাল জ্বালিয়ে ধোয়া তৈরি করে মূলত মৌমাছি তাড়ানো হয়। আগুনে সৃষ্ট ধোঁয়া একেবারে কাছাকাছিতে নিয়ে গেলে মৌমাছিগুলো চাক ছেড়ে আশপাশে উড়তে থাকে।এ সময় চাকের কিছু অংশ রেখে মৌয়াল দা বা কাঁচি দিয়ে চাক কেটে বালতিতে রাখেন। এরপর সে চাক থেকে মধু হাত দিয়ে চিপে আলাদা করা হয়। চাক কাটা হয়ে গেলে কিছুক্ষণ পর মৌমাছি আবার চাক বানাতে তৈরি শুরু করে ।---

চাক মধুতে পূর্ণ হয়েছে কি না, সেটা বোঝার বিষয়ে বারিক  তার ভাষ্য বলেন, বেশিরভাগ মৌচাকে মধু থাকে উপরের অংশে। যখন মৌচাকটির উপরের দিক বেশ ভারী এবং নিচের দিক সরু হয়ে যায় তখনই সেটি মধুতে পূর্ণ হয়ে যায়। নিয়মিত যারা মধু সংগ্রহ করেন, তারা সেটি বোঝেন।

মৌয়াল বারিক আরও জানান,  উপজেলার বিভিন্ন এলাকার গ্রামে-গ্রামে ঘুরে মধু সংগ্রহ করতে হয়। জলবায়ুর পরিবর্তনজনিত কারণ ও তাপমাত্রা বেশী হওয়ায় চাকের সংখ্যাও কম হয়েছ। তাছাড়া এ বছর এই অঞ্চলে সে রকম বৃষ্টি হয়নি। বৃষ্টি না হওয়ায় ফুল শুকিয়ে ঝরে যায়, তাই মধু জমে কম। বর্তমানে পর্যাপ্ত মৌচাক না পাওয়ার কারণে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। ফাল্গুন মাস থেকে আষাড় মাস পর্যন্ত চাকে মধু বেশী পাওয়া যায়। এসময় প্রায় সকল গাছে ফুল ফোটে। আর বাকী মাস গুলোতে চাকে তেমন মধু  পাওয়া যায় না।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)