মঙ্গলবার ● ১৬ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » পাইকগাছায় পুলিশের বৃদ্ধিমত্তা ও নছিমন চালকের সততায় ৭০ হাজার টাকা ফেরৎ পেল কুমারেশ
পাইকগাছায় পুলিশের বৃদ্ধিমত্তা ও নছিমন চালকের সততায় ৭০ হাজার টাকা ফেরৎ পেল কুমারেশ
পাইকগাছায় পুলিশের বুদ্ধিমত্তায় ও নছিমন চালকের সততায় সত্তর হাজার টাকাফেরৎ পেল কুমারেশ। কুমারেশ বৈরাগী উপজেলার দেলুটির কৃষ্ণপদ বৈরাগীর ছেলে। সে মঙ্গলবার নদীপথে সোলাদানা খেয়াঘাটা নেমে সকাল সাড়ে ৮ টার ইঞ্জিন চালিত নছিমনে চড়ে পাইকগাছায় ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসছিল। নছিমন চালক ছিল সোলাদানা ইউপি’র বয়ারঝাপা গ্রামের হালিম খাঁর ছেলে নাঈম খাঁ।
পথিমধ্যে পারিশামারী থেকে সাবেক প্রধান শিক্ষক কুমুদ রঞ্জন ঢালী যাত্রী হয়ে ঐ নছিমনে উঠে। পুর্ব পরিচিত হওয়ায় কুমারেশ বৈরাগী কুমুদ রঞ্জন ঢালীকে সামনের ছিটে বসার সুযোগ দিয়ে পিছনে গিয়ে বসেন।
এ সময় সম্রাট সু-স্টোরের একটি কাপড়ের ব্যাগে থাকা নিজের ব্যবহৃত মোবাইলসহ ৭০হাজার টাকার ব্যাগটি নছিমনের হুকে ঝুঁলিয়ে রাখে। সকাল ৯ টার দিকে কুমারেশ ও তার সঙ্গী মুকুল বিশ্বাস কোর্টের সামনে নেমে পড়লেও টাকার ব্যাগটি কিন্তু নছিমনে ঝুলানো থাকে।
পরবর্তীতে ব্যাংকে টাকা জমা দিতে গিয়ে কুমারেশ বৈরাগীর টাকার ব্যাগের কথা মনে পড়ে। কিন্তু ততখনে অপরিচিত নছিমন চালক নাঈম কাঁঠ আনতে তালার উদ্দেশ্য রওনা দেয়। তবে নাঈমও জানতো না তার নছিমনে টাকার ব্যাগ ঝুঁলানো রয়েছে।
কুমারেশ বৈরাগী থানায় এসে বিষয়টি মৌখিকভাবে জানালে অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমানের নির্দেশে এএসআই গৌতম রায় সঙ্গীয় ফোর্স সহ নছিমন চালককে সনাক্তপূর্বক তার নিকট থেকে উক্ত ৭০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও চেক বই উদ্ধার করেন।
জানা যায়, পুলিশের এএসআই গৌতম রায় কুমারেশ বৈরাগীর মোবাইলে বার-বার ফোন দেয়। কিন্তু ইঞ্জিনের শব্দে সে কিছু বুঝতে পারেনি। এক সময় তালা ব্রীজের কাছে পৌছে নাঈম তার মোবাইলে টাকা রিসার্জ করতে নামে। এসময় নছিমনের পিছনে ঝুঁলানো ব্যাগের মধ্যে মোবাইল রিংটন বেজে উঠলে সে রিছিভ করেন। পুলিশ তার পরিচয় সনাক্ত করে ঘটনাস্থলে তাকে দাড়াঁতে বলে এবং এএসআই গৌতম ৭০ হাজার টাকা, মোবাইল ফোন ও চেক বই উদ্ধার করেন।পরবর্তীতে ওসি মোঃ ওবাইদুর রহমান ৭০ হাজার টাকাসহ মোবাইল কুমারেশ বৈরাগীর কাছে তুলে দেন। টাকা ফেরত পেয়ে কুমারেশ পুলিশ ও নছিমন চালকের কাছে কৃতজ্ঞতা স্বীকার করেন।