শনিবার ● ২৭ এপ্রিল ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » কাঁচা আম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে
কাঁচা আম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে
বাজারে কাঁচা আম চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে। কাঁচা আমের চাহিদা বেশি থাকায় বাগান মালিকরা এখনই গাছ থেকে অপুস্ট আম পেড়ে বিক্রি করছে। অন্য যে কোন বছরের তুলনায় এবার কাঁচা আমের দাম ও চাহিদা বেশি।ফলে কাঁচা আমে ভরে গেছে বাজার। বাজারগুলোতে বাণিজ্যিকভাবে কাঁচা আম কেনা-বেচা শুরু হয়েছে।উপজেলায় পাইকারদের আনাগোনা বাড়ায় প্রতিদিন শত শত মণ আম বেচাকেনা হচ্ছে। প্রতি মণ আম ১২ শত টাকা থেকে দেড় হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।কাচা আমের দাম ভালো পাওয়ায়আম চাষিরা খুশি।
তীব্র দাবদাহে গোটা জেলার মানুষ বিপর্যস্ত। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সব ধরনের ফসল। তবে বেশি শঙ্কায় আম চাষিরা।গরমে আম ঝরে পড়ছে। কোনো উপায় না পেয়ে কাঁচা আম বিক্রি করছেন ।আম চাষিরা বলছেন, কালবৈশাখিসহ উপকূলীয় এলাকায় ঝড়ের শঙ্কা বেশী।তারা যেন লোকসানের মুখে না পড়ে তাই কাঁচা আম বিক্রি করে কিছুটা পুশিয়ে নিচ্ছে। এ আম আচার ও চাটনির জন্য বিক্রি করা হচ্ছে। এবছর বাজারে কাঁচা আমের পরিমাণ যেমন বেশি তেমনি দামও চড়া। প্রতিদিন পাইকগাছা থেকে থেকে ২-৩ ট্রাক কাঁচা আম দেশের বিভিন্ন বাজারে সরবরাহ করা হচ্ছে।নুর ইসলাম জানান, কাঁচা আম কিনে বিভিন্ন কোম্পানি আচার, চাটনি, জেলি, কাঁচা আমের জুসসহ বিভিন্ন ধরনের সুস্বাদু খাবার তৈরি করে। তাই বিভিন্ন জেলার ব্যবসায়ীরা পাইকগাছা থেকে আম কিনে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাঠাচ্ছেন। আম ব্যবসায়ী রহমান বলেন, বর্তমানে যে আমগুলো ভেঙে বাজারে বিক্রি করছি, সেগুলো দিয়ে বিভিন্ন ধরনের আচার তৈরি করা হয়। বিভিন্ন কোম্পানি এই আম আমাদের থেকে সংগ্রহ করছে। আর তীব্র গরমে আমের চাটনির জন্য কাচা আমের চাহিদা বেড়েছ।
পুষ্টি বিশেজ্ঞরা বলছেন, কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণ থাকে। বিশেষ করে, ওজন কমাতে, বমি ভাব দূর করতে, ডায়াবেটিস প্রতিরোধে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে, চুল ও ত্বক উজ্জ্বল করতে। এছাড়া ভিটামিন সি, ভিটামিন ই ও একাধিক অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। যা শ্বেত রক্তকণিকার কার্যকারিতা বৃদ্ধি করতে ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে।
এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ বলেন, দাবদাহে আম ঝরেপড়া রোধ করতে চাষিদের সেচসহ বিভিন্ন পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।