বৃহস্পতিবার ● ৯ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » বিবিধ » ডুমুরিয়া, কয়রা ও পাইকগাছায় ১৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ জন কোটিপতি
ডুমুরিয়া, কয়রা ও পাইকগাছায় ১৪ চেয়ারম্যান প্রার্থীর ৭ জন কোটিপতি
আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সারাদেশের ১১২টি উপজেলার সাথে খুলনার ডুমুরিয়া, কয়রা ও পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ তিনটি উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ১৪ জন প্রার্থী লড়ছেন। তাদের ৭ জন কোটিপতি। তবে সম্পদ বেশি জেলা আ’লীগের সদস্য ডুমুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগর বিশ্বাস তারার। আর সর্বাধিক আয় পাইকগাছার আনন্দ মোহন বিশ্বাসের, বছরে প্রায় ৩১ লাখ টাকা। উপজেলা চেয়ারম্যান পদ প্রার্থীদের হলফনামা বিশ্লেষণে এসব তথ্য জানা গেছে।
প্রার্থীদের হলফনামায় দেখা গেছে, বিশ্বাস প্রপার্টিজসহ পাঁচ প্রতিষ্ঠানের মালিক ডুমুরিয়ার চেয়ারম্যান প্রার্থী আজগর বিশ্বাস তারা। প্রায় ৪ কোটি টাকার সম্পদের মালিক তারা বিশ্বাস কৃষি থেকে বছরে ১ লাখ ও ব্যবসা থেকে ২০ লাখ টাকা আয় দেখিয়েছেন। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা ৫০ লাখ, ব্যাংকে ৩৫ লাখ, ৬০ লাখ টাকা মূল্যের দু’টি প্রাইভেটকার, ১৫ লাখ টাকা মূল্যের ৫০ ভরি স্বর্ণ দেখিয়েছেন। এ উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান আ’লীগ নেতা এজাজ আহমেদের সম্পদ এক কোটি ৬৫ লাখ টাকার। বছরে কৃষি থেকে ২০ হাজার, ব্যবসা থেকে ৮ লাখ ৩৫ হাজার ও চেয়ারম্যানের সম্মানী পান ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ ৩৫ লাখ ৫০ হাজার, ব্যাংকে দেড় লাখ, এক কোটি ২৫ লাখ টাকা মূল্যের ট্রাক ও উপহার হিসেবে ৪৫ তোলা স্বর্ণ দেখিয়েছেন তিনি। ডুমুরিয়ার আরেক প্রার্থী আ’লীগ নেতা মোস্তফা সরোয়ারের ২ কোটি ১৪ লাখ টাকার সম্পদ রয়েছে। বছরে কৃষি থেকে ৫৬ হাজার ও ব্যবসা থেকে ৭ লাখ টাকা আয় তাঁর। অস্থাবর সম্পদের মধ্যে নগদ টাকা এক কোটি ৪ লাখ, ৩ হাজার ৫০০ ইউএস ডলার, ২৩ লাখ ৭০ হাজার টাকা মূল্যের প্রাইভেটকার, ২৫ ভরি স্বর্ণ, স্ত্রীর কাছে নগদ ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা, ১৬ লাখ টাকার সঞ্চয়পত্র ও ১৫ ভরি স্বর্ণ দেখিয়েছেন মোস্তফা সরোয়ার।
পাইকগাছা উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম-সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাসের বছরে আয় কৃষি থেকে ২ লাখ ২০ হাজার, ব্যবসা থেকে ৫ লাখ ২০ হাজার, ব্যাংক মুনাফা ২০ হাজার ও মৎস্য চাষ থেকে ২৪ লাখ টাকা। তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৭২ লাখ টাকা। এখানে আরেক প্রার্থী উপজেলা আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুল হাসানের বছরে আয় কৃষি থেকে ৮০ হাজার, বাড়ীভাড়া থেকে ৯০ হাজার ও ব্যবসা থেকে ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। হলফনামায় মোট ১ কোটি ৮৬ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন শেখ কামরুল হাসান।
কয়রা উপজেলার বর্তমান চেয়ারম্যান যুবলীগের থানা সভাপতি এসএম শফিকুল ইসলামের বছরে আয় কৃষি থেকে ৩ লাখ ও ব্যবসা থেকে ২৩ লাখ টাকা। নগদ ৭ লাখ, ব্যাংকে ৯০ লাখ, ১ লাখ ৩৫ হাজার টাকা মূল্যের মোটরসাইকেল, ছেলের ৩ লাখ ৮০ হাজার টাকা মূল্যের মোটরসাইকেলসহ হলফনামায় মোট এক কোটি ৫৮ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর অন্যতম প্রতিদ্ব›দ্বী উপজেলা আ’লীগের সভাপতি জিএম মোহসিন রেজার বছরে আয় কৃষি থেকে ২ লাখ ও ব্যবসা থেকে ১ লাখ ৭০ হাজার টাকা। মোট এক কোটি ৬২ লাখ টাকার সম্পদ দেখিয়েছেন তিনি।