শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
বৃহস্পতিবার ● ৩০ মে ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » মে ফ্লাওয়ার
প্রথম পাতা » প্রকৃতি » মে ফ্লাওয়ার
১৫১ বার পঠিত
বৃহস্পতিবার ● ৩০ মে ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মে ফ্লাওয়ার

---  আগুনের পিন্ড ফায়ার বল। নানা নাম তার। বল লিলি, মে লিলি, মে ফ্লাওয়ার।মে ফ্লাওয়ারের আদি নিবাস আফ্রিকা। গোলাকার দেখতে হওয়ায় ফুলটিকে ফুটবল লিলিও বলা হয়। একই কারণে বলা হয় গ্লোব লিলি। পাউডার পাফ লিলি, আফ্রিকান ব্লাড লিলি নামেও পরিচিত। সবসময় দেখা মেলে না তার। শুধু মাত্র মে মাসেই আসে আগুনের সৌন্দর্য নিয়ে। মূলত এই কারনে এই লিলির নাম মে লিলি বা ফায়ার বল। ফায়ার বল নামটার পিছনেও একটা কারন- এই দেখতে আগুনের গোলার মতোই। মনে হয় ছোট্ট একটা আগুনের পিন্ড। আগুনের পিন্ড বললেও দেখতে কিন্তু ভারি মিষ্টি।

প্রায় সারা বছর গাছ ও ফুলের অস্তিত্ব থাকে না। বসন্তে দু-এক পশলা বৃষ্টি হলেই মাটির নিচে ঘুমিয়ে থাকা কন্দটি জেগে ওঠে। উজ্জ্বল গোলাকার ফুলটি ফোটে পাতাহীন। মে ফ্লাওয়ার কন্দজাতীয় ফুল গাছ। গ্রীষ্মের আগমনে মাটি ভেদ করে ফুলের ডাঁটা বের হয়, ফুলের কলি জন্মে আর মে মাসের শুরু থেকেই উজ্জ্বল লাল রঙের মাঝে হলুদ-সাদা আভার মিশ্রণে গোলাকার বল আকৃতির ফুল ফোটে। গড়নের দিক থেকে কদম ফুলের মতো। তবে আকারে আরও বড়। ফুল গন্ধহীন। ফুটন্ত ফুল দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। যে কারও মন জয় করতে পারে।লম্বা ডাঁটার আগায় বলের মতো গোলাকার পুষ্পস্তবক, লাল রঙের। অনেকটা কদমের মতো। ফুল ফোটার পর পাতা ধীরে ধীরে মাটি ফুঁড়ে বের হয়। এরা বর্ষজীবী। পাপড়ি ও পুংকেশর অসমান। ফুল শেষে গাছে ফল ধরে। ফল গোলাকার থেকে লম্বা। রং গাঢ়-ধূসর ও শক্ত। এর অপর একটি প্রজাতির সাদা রঙের ফুল ফোটে। তবে সাদা রঙের ফুল সচরাচর আমাদের ভারতীয় উপমহাদেশে দেখা যায় না। ফুলের ডাঁটা ও গাছের গড় উচ্চতা প্রায় ১০ থেকে ১২ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ছোট গাছ দেখতে অনেকটা ছাতার মতো। ফুলের ডাঁটা গোলাকার, ডাঁটা ও গাছের পাতার রং সবুজ, রসাল এবং নরম প্রকৃতির হয়।

কোন ফুল তার গন্ধ ছড়িয়ে আমাদের মন জয় করে আবার কোন ফুল তার সৌন্দর্য্য দিয়ে আমাদের মন জয় করে । তেমনি একটি নির্গন্ধি ফুল তার সৌন্দর্য্য দিয়ে আমাদের চোখে স্বস্তি এনে দেয় ও সেই সাথে নিঃসন্দেহে নজর কেড়ে নেয়, যার নাম মে ফ্লাওয়ার। সারা বছর টবে এই গাছের অস্তিত্ত্ব টের পাওয়া যায়না । কিন্তু মার্চ শেষ হতেই নতুন করে মাথা তুলে দাঁড়ায় এই গাছ। এপ্রিলে গাছে যেন নতুন প্রাণের সঞ্চার হয়। পাতা আর কলির দেখা মেলে এই সময়।আর মে মাসের শুরুতেই ফুটে যায় ফুল। পুরো মে মাস জুড়ে ছড়িয়ে থাকে এর মুগ্ধতা।  ফুলের দিকে তাকালে বোঝা যায় মে মাস এখন।আবার মাস শেষ হলে নিস্তেজ হয়ে যায় ধীরে ধীরে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)