শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪, ১৯ আষাঢ় ১৪৩১

SW News24
রবিবার ● ২ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » নড়াইলে ৩ মাস অবরুদ্ধ একটি পরিবার !
প্রথম পাতা » অপরাধ » নড়াইলে ৩ মাস অবরুদ্ধ একটি পরিবার !
৫৬ বার পঠিত
রবিবার ● ২ জুন ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নড়াইলে ৩ মাস অবরুদ্ধ একটি পরিবার !

---

নড়াইল প্রতিনিধি; নড়াইল সদর উপজেলার মাইজপাড়া ইউনিয়নের চারিখাদা গ্রামে একটি পরিবারকে তিন মাস ধরে অবরুদ্ধ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাড়ির সামনে দু’টি বাঁশের বেড়া দিয়ে চারিখাদা গ্রামের নজরুল ইসলাম মোল্যার (৮০) পরিবারকে অবরুদ্ধ করে রাখা হয়েছে। এ কারণে তারা ঘর থেকে ঠিকমত বের হতে পারছেন না। বাধ্য হয়ে অন্যের বাড়ির চিপাচাপা গলি দিয়ে নিজেদের বাড়িতে যাতায়াত করছেন। প্রতিপক্ষের সঙ্গে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নজরুল মোল্যার পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করেন।

এদিকে, মাইজপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অশোক কুমার সেন উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৩০ মে সরেজমিনে তদন্তে গেলে তার সামনেই নজরুল মোল্যার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা চালিয়েছে প্রতিপক্ষ হাসান মোল্যা, জিন্নাত মোল্যাসহ তাদের লোকজন। এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।  

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন-বয়োবৃদ্ধ নজরুল ইসলাম, তার দুই ছেলে বাশিরুল ইসলাম ও মহিউল ইসলাম এবং পুত্রবধূ পাখি বেগম। এর মধ্যে পাখিকে নড়াইল জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

ভুক্তভোগী নজরুল মোল্যাসহ তার পরিবারের সদস্যরা বলেন, প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের প্রায় ২০ শতক জমি জবর-দখল করে বাঁশের বেড়া দিয়ে তিন মাস ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। এ জমি আমাদের নামে থাকলেও তারা অবৈধ ভাবে দখল করতে চায়। এ কারণে গত তিন মাস ধরে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি। আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেওয়ায় অন্যের বাড়ির চিপাচাপা গলি দিয়ে কোনো ভাবে যাতায়াত করছি।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত জিন্নাত মোল্যাসহ তাদের লোকজন দাবি করে বলেন, জমিটা মূলত আমাদের। নজরুল মোল্যারা ভোগদখল করছে। এজন্য জমিটা ঘিরে দিয়েছি। হামলার ব্যাপারে তিনি বলেন, কথা প্রসঙ্গে একটু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে। হাত ধরে ঝাকাঝাকি হয়েছে। মাইজপাড়া ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা অশোক কুমার সেন বলেন, উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে গত ৩০ মে সরেজমিন তদন্তে গিয়েছিলাম। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে একটু কথা কাটাকাটি, ঠেলাঠেলি হয়েছে। বিষয়টি সুষ্ঠু সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।

নড়াইল সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)