মঙ্গলবার ● ১১ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » রাজনীতি » ভোটে হেরে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন
ভোটে হেরে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন
পাইকগাছায় উপজেলা নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে এখনো গুজব ছড়ানো হচ্ছে। পাইকগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন গত ৯ জুন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এ নির্বাচনে ভোটে হেরে জনগণের মাঝে বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করছেন একটি মহল। নির্বাচন পরবর্তী কয়েকটি কেন্দ্রের ভোটের ফলাফলে শতকরা হার নিয়ে এলাকার জনগনের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৫ টি কেন্দ্রে অস্বাভাবিক ভোট বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও ওই কেন্দ্র গুলোতে পুনঃরায় ভোট গ্রহনের দাবীতে সংবাদ সম্মেলন করেছে পরাজিত প্রার্থী শেখ কামরুল হাসান টিপু । সোমবার দুপুরে তার নিজস্ব কার্যালয়ে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান। সংবাদ সম্মেলনের সংবাদটি বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হযেছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কয়েকটি কেন্দ্রে ৮০% এর উপরে ভোট কাস্টিং এর কথা বলা হয়েছে। এটি দেখে অনেকে হতবাক হয়েছেন। আবার কিছু ব্যাক্তি এ সমস্ত ফলাফল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে জনগণের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করছেন। প্রকৃত তথ্যে দেখা গেছে, উপজেলার কে আর আর মানিক তলা কেন্দ্রে মোট ভোটার ৬১৩৮ জন, সেখানে ভোট পড়েছে ২২২২ ভোট, যা শতকরা হার ৩৬.২০%।কিন্তু সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ৮৪% এর কথা বলা হয়েছে। কপিলমুনি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৫০৭৫ জন, প্রয়োগ হয়েছে ২৪১২টি, যা শতকরা ৪৭.৫২ %। কিন্তু বলা হয়েছে ৮০% ভোট পড়েছে। হাউলি কেন্দ্রে মোট ভোটার ৩৭০৫ জন। সেখানে ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১৩৮০টি, যা শতকরা ৩৭.২০%। রেজাকপুর কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৩৪৯ জন, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১১১৮ টি, যা শতকরা ৪৭.৫৯ %। নাবা কেন্দ্রে মোট ভোটার ২৭১১ জন, ভোট প্রয়োগ হয়েছে ১২৯৫ টি, যা শতকরা হার ৪৭.৭৬%। অথচ কয়েকটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কাস্টিং ভোট শতকরা ৮০% থেকে ৮৪% ইত্যাদি লিখে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট করে সাধারণ মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে। সঠিক তথ্য প্রচার না করার কারণে মানুষের মধ্যে চাঞ্চল্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয় থানা অফিসার ইনচার্জ মোঃ ওবাইদুর রহমান বলেন, নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী খুবই তৎপর ছিল। ভোটে কোথাও কারচুপি হয়েছে কিংবা অস্বাভাবিক ভোট পড়েছে এসব অভিযোগ গুজব মাত্র।
সহকারী রিটার্নিং অফিসার ও উপজেলা নিবার্হী অফিসার মাহেরা নাজনীন জানিয়েছেন সুষ্ঠু ভাবে উপজেলা পরিষদের নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। কাউকে কোন গুজবে কান না দিতে অনুরোধ করেছেন। কোথাও কোন অনিয়ম হয়নি এমনকি প্রত্যেক ভোট কেন্দ্রের ফলাফল ঘোষনার পর প্রত্যেক প্রার্থীর এজেন্টরা প্রিজাইডিং অফিসারদের কাছ থেকে রেজাল্ট সিট বুঝে নিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে কেউ যদি লিখিত অভিযোগ করেন তাহলে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।