শিরোনাম:
পাইকগাছা, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ন ১৪৩১

SW News24
শুক্রবার ● ১৪ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে
প্রথম পাতা » ব্যবসা-বাণিজ্য » পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে
১৭৫ বার পঠিত
শুক্রবার ● ১৪ জুন ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

পাইকগাছায় কোরবানীর পশুর হাট জমে উঠেছে

---

পাইকগাছার ঐতিহ্যবাহী গদাইপুর কোরবানীর পশুর হাট  জমে উঠছে।হাটে প্রচুর পরিমাণ কোরবানীর পশুর উঠেছে। কোরবানীর পশুর হাটে ক্রেতার উপছে পড়া ভীড় পড়েছে। উপজেলার চাঁদখালী, গদাইপুর,  পৌরসভা বালির মাঠ, কাশিমনগর ও রাড়ুলী’র শ্রীকন্ঠপুর ঈদগাহ মাঠে কোরবানীর পশুর হাট বসেছে। ঈদের আগের দিন পর্যন্ত প্রতিদিনই হাট বসবে।

প্রচন্ড গরমের মধ্যে ক্রেত-বিক্রেতার ভীড়ে সবাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়ছে।। পর্যাপ্ত গরু ছাগল উঠলেও ক্রেতা সংকটের কারণে গরুর মালিকদের মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে। ক্রেতা সংকটের কারণে তাদের সে আশা পূরণ হচ্ছে না। বাজারে প্রচুর পরিমাণে গরু-ছাগল উঠলেও বিক্রি তেমন হচ্ছে না এমনটি জানান বিক্রেতারা।

গদাইপুর কোরবানীর পশুর  হাটে ছোট-বড়, মাঝারি সাইজের গরু হাটে উঠেছে।এ বছর গরু-ছাগরের দাম বেশী বলছেন ক্রেতারা। তবে দাম নিয়ে খুঁশি না কোন পক্ষই।খামার মালিক ও বিক্রেতারা বলছেন,বর্তমানে গো-খাদের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় তাদেরকে বেশী দামে গরু বিক্রি করতে হচ্ছে।তবে গৃহস্থদের পালা দেশী জাতের গরু ক্রেতা ও ব্যাপারীদের কাছে চাহিদা বেশি।যাহা স্থানীয় হাটগুলোতে টাইট গরু হিসাবে পরিচিত।বড় সাইজের গরুর চাহিদাও রয়েছে বিক্রিও হচ্ছে বেশি দামে।পশুর হাটে সব থেকে বড় গরু কালোষাড়। গরু বিক্রেতা ছহিল উদ্দিন  জানান, তার গরুর দাম চেয়েছেন  ৫ লাখ টাকা। ক্রেতারা বলেছে ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। গরু লালন পালন করতে খরচ হয়েছে প্রায় ৩ লাখ টাকা।এতে করে গরুর যে দাম উঠেছে তাতে আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো।আর বিক্রি না হলে পালতে গেলে আরোও খরচ হবে। এদিকে ক্রেতারা গরুর দাম বেশী বলে সময় নিয়ে দেখে বুঝে গরু কিনছে।

উপজেলার চাঁদখালী ও কাশিমনগর দুটি স্থায়ী এবং গদাইপুর, বাকা শ্রীকন্ঠপুর ও পৌরসভা শিববাটি মাঠে পশুর হাট বসেছে। হাট গুলোতে ছোট ট্রাকে করে ফড়িয়ারা গরু নিয়ে আসছে। এ সব বাজারে ছোট গরু সর্বনিন্ম ৬০ হাজার টাকা ও সর্বোচ্চ ৪ লাখ  টাকায় গরু বিক্রি হচ্ছে। বিগত বছর গুলোতে বিদেশী জাতের গরুর চাহিদা বেশি থাকলেও এ বছর দেশীয় জাতের ছোট ও মাঝারি আকারের গরুর চাহিদা বেশি। দেশি জাতের ৬০ হাজার টাকার  মধ্যে ছোট গরুর চাহিদা বেশি। তাছাড়া ৭০ থেকে ৯০ হাজার টাকা দামের গৃহপালিত গরুর বিক্রি হচ্ছে প্রচুর পরিমাণ। বড় গরু  ১ লাখ ২০ হাজার টাকা থেকে ৪ লাখ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। ছাগল ১৫  থেকে ৫০ হাজার টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

পশুর হাট কর্তপক্ষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার  ও সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী মাইকিং করে বাজারে ক্রেতা ও বিক্রেতাদেরকে উদ্ভুদ্ধ করছে। গদাইপুর পশুর হাটের ইজারাদার জানান, ক্রেতাদের সুবিধার্থে পুলিশের পাশাপাশি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। তাছাড়া পশুর স্বাস্থ পরিক্ষার জন্য ডাক্তার এর তদারকি রয়েছে। ক্রেতারা সাচ্ছন্দের সহিত হাট থেকে পছন্দের পশুটি ক্রয় করতে পারছেন।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)