শিরোনাম:
পাইকগাছা, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪, ১৭ আষাঢ় ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২৯ জুন ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » অবৈধ দখলদারদের ক্ষমতায় আটকে গেছে পাইকগাছা কাটিপাড়া ব্রীজের সংযোগ সড়কের কাজ
প্রথম পাতা » অপরাধ » অবৈধ দখলদারদের ক্ষমতায় আটকে গেছে পাইকগাছা কাটিপাড়া ব্রীজের সংযোগ সড়কের কাজ
৪২ বার পঠিত
শনিবার ● ২৯ জুন ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অবৈধ দখলদারদের ক্ষমতায় আটকে গেছে পাইকগাছা কাটিপাড়া ব্রীজের সংযোগ সড়কের কাজ

---
পাইকগাছা কাটিপাড়া ব্রীজের নির্মাণ শেষ হলেও অবৈধ দখলদারদের ক্ষমতায় আটকে গেছে সংযোগ সড়কের কাজ। খুলনা বিভাগীয় পল্লী অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় পাইকগাছা উপজেলার রাড়ুলী ইউনিয়নের কাটিপাড়া বাজার চ্যারিটেবল ডিসপেনসারী সড়কে ১২৬০ মি. চেইনেজে ৫০ মিটার দীর্ঘ পিএসসি গার্ডার ব্রীজ নির্মাণ সম্পন্ন হলেও ১৪৫ মি. দৈর্ঘ্যের সংযোগ সড়কের কাজ অবৈধ দখলদারদের দৌরাত্ম্যের কারণে থমকে গেছে। গত দুই বছর যাবত বার বার বলা সত্বেও কোন কর্ণপাত না করায় নির্মিত ব্রীজের কোন সুফল পাচ্ছে না এলাকাবাসী। জনদুর্ভোগ বেড়েই চলেছে। আশ্চর্যের বিষয় ব্রীজের সংযোগ সড়কের ১৪৫ মি. জমি সম্পূর্ণ সরকারি খাস সম্পত্তি। নদীর চরভরাটি। ব্রীজ সংলগ্ন চরভরাটি সরকারি জমি অবৈধ ভাবে মৎস্য ঘের করে আসছেন রাড়ুলীর নিজাম উদ্দিনের ছেলে রমজান মোড়ল । উপজেলা প্রকৌশলীর কর্মকর্তা, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ গত দুই বছর থেকে ওই ঘের মালিক কে অ্যাপ্রোচ সড়কের অংশে পানি না উঠানোর জন্য বার বার নিষেধ করলেও তিনি তা মানছে না।। দখলত্ব বজায় রাখতে মুখে পানি সরানোর কথা বলেও বিভিন্ন অজুহাতে সময়ক্ষেপণ করছে। এছাড়া উপজেলা প্রশাসন থেকে প্রত্যেক ঘের মালিক কে সরকারি রাস্তা থেকে ১০ ফুট দুরত্বে রিং বাঁধ দিয়ে মৎস্য ঘের করার কথা থাকলেও কোন নির্দেশনার ধার ধারে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। রমজান শুধু ওই অংশটুকু নয় নদীর চরভরাটি অনেক সরকারি জমি অবৈধ ভাবে দখল নিয়ে মৎস্য ঘের করে আসছেন বলে স্থানীয়রা জানান। এব্যাপারে স্থানীয় সংসদ সদস্য, ইউএনও মহোদয়কে অবহিত করেও কোন প্রতিকার পাইনি বলে জানিয়েছেন উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাফিন শোয়েব।

ব্রীজটির কার্যাদেশ ২০১৯ সালে অক্টোবর মাস এবং ১৯২০ সালের অক্টোবরে কাজ সম্পন্ন করার কথা থাকলেও করোনা ভাইরাস সহ অন্যান্য সমস্যার জন্য দুই দফা সময় বাড়িয়ে এবছরের জুন মাসে শেষ করার কথা। সেই হিসেবে মেসার্স জিয়াউর ট্রেডার্স ব্রীজটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন। খেশরার উপর অংশের ১৩০ মিটার সংযোগ সড়কের কাজও শেষ করেছেন। কিন্তু কাটিপাড়া অংশ ১৪৫ মিটার সংযোগ সড়কের কাজ অবৈধ দখলদারদের জন্য আজও শুরু করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন মেসার্স জিয়াউর ট্রেডার্সের ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম। তিনি আরও বলেন, বর্ষা মৌসুমে এখনই ওই স্থানের পানি সড়ানো না হলে এবছর সংযোগ সড়কের কাজ করা সম্ভব না। আমরা এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দরখাস্ত দিয়েছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য পীযূষ কান্তি দাশ বলেন, আমি যতদূর জানি বিষয়টি নিরসনে স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. মজিদ গোলদার এর দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আজও কোন সুরাহা হয়নি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক স্থানীয়রা জানান, সরিষার মধ্যে ভূত। আমাদের সমাজে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরকারি খাস সম্পত্তি এরকম বহু রমযানেরা জবরদখল করে রয়েছে। প্রশাসন কড়া পদক্ষেপ নিলে আমাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হতো না। সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে ঘের মালিক রমজান বলেন, এব্যাপারে আমার সাথে কেউ কথা বলেননি। ইঞ্জিনিয়ার সাহেব একদিন কথা বলছিলেন। আমি সবসময় মাটি দিতে প্রস্তুত। ঠিকাদাররা কাজ ঠিকমত করে না। তালবাহনা করে। উপজেলা প্রকৌশলী মো. শাফিন শোয়েব বলেন, জুন মাসে ব্রীজটির কাজ শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ব্রীজটির পাইকগাছা অংশের সংযোগ সড়কটি প্রতিবন্ধকতার কারণে নির্দিষ্ট সময় শেষ করা সম্ভব হয়নি। যার কারণে এলাকাবাসী ব্রীজটির সুফল থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। বিষয়টি অবগত হওয়া মাত্রই সমাধানের জন্য রাড়ুলীর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. মজিদ গোলদার এর কাছে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বলে জানান স্থানীয় সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান। সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আ. মজিদ গোলদার জানান, বিয়ষটি নিয়ে দু’পক্ষের সাথে কথা হয়েছে। আশাকরি দ্রুত নিষ্পত্তি হবে।---

সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার খেশরা ও খুলনা জেলা পাইকগাছা উপজেলাধীন সীমান্তবর্তী কাটিপাড়া ব্রীজটি অত্যন্ত জনগুরুত্বপূর্ণ। কাটিপাড়া ব্রীজ চালু হলে অবহেলিত এ জনপদের যোগাযোগ ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটবে। দু’উপজেলার মধ্যে ব্যবসা-বাণিজ্য সম্প্রসারণ আরো বৃদ্ধি পাবে। এ অঞ্চলের মানুষের সাথে জেলা ও রাজধানীতে যেতে সময় এবং অর্থ দুই বাঁচবে। সকল প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে বর্ষা মৌসুমের আগেই সংযোগ সড়ক নির্মাণ করে ব্রীজটি চালুর জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।





আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)