বৃহস্পতিবার ● ১৮ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » প্রধান সংবাদ » কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান আইনমন্ত্রীর
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান আইনমন্ত্রীর
কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের আলোচনায় বসার আহ্বান জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক এমপি।
তিনি ১৮ জুলাই দুপুরে জাতীয় সংসদের টানেলে সাংবাদিকদের সাথে এক ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান।
এ সময় শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
আনিসুল হক বলেন, ‘কোটা সংস্কারের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চায় সরকার। কোটা সংস্কারের ব্যাপারে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সরকার নীতিগতভাবে একমত।’
আইনমন্ত্রী বলেন, আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে তারা আন্দোলনের পাশাপাশি আলোচনার জন্যও প্রস্তুত। তাদের এ অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছে প্রধানমন্ত্রী। আনিসুল হক বলেন, আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আলোচনা করার জন্য তাকে এবং শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরীকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। আমরা তাদের বসবো। তারা যখনই আলোচনায় বসতে চায়, সেটা যদি আজকে হয়, আজই আমরা বসতে রাজি আছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, আগামী ৭ আগস্ট কোটা নিয়ে মামলার শুনানির জন্য সুপ্রিম কোর্টে শুনানির তারিখ রয়েছে। ইতোমধ্যে এটর্নি জেনারেলকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে মামলাটি শুনানি এগিয়ে আনার জন্য যেন চেষ্টা করেন।
আইনমন্ত্রী আরো বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বিচার বিভাগীয় তদন্তের ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্টের বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানকে দিয়ে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রধান বিচারপতির কাছে যাবে।
কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের উদ্দেশ্যে আইনমন্ত্রী বলেন, পিতৃতুল্য নাগরিক হিসেবে আমি তাদের আহ্বান ও অনুরোধ করছি আন্দোলন প্রত্যাহার বা স্থগিত করতে।
আইনমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে আইনের শাসন আছে। আদালতে যখন কোন প্রশ্ন আসে তখন তা আদালতেই নিষ্পত্তি হয়। কোটা বিষয়ে যখন মামলাটির শুনানি শুরু হবে তখন সরকার পক্ষ কোটা বিষয়ে সংস্কারের প্রস্তাব দেবে। আদালতেই তা নিষ্পত্তি হবে। তিনি বলেন, ২০১৮ সালের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোটা বাতিল করে দিয়েছিলেন। কোটা বাতিলের ওই পরিপত্রের বিরুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধার সন্তানরা হাইকোর্টের রিট পিটিশন দায়ের করে। এই মামলায় শিক্ষার্থীরা পক্ষভুক্ত হয়নি। এই রিটে রায়ের পর কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন শুরু করে। এটি আদালতে বিচারাধীন থাকায় আমরা তাদেরকে মামলায় পক্ষভুক্ত হবার আহ্বান জানাই। শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে আদালতে পক্ষভুক্ত হয়ে আবেদন দায়ের করা হয়েছে।
আমরা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করতে অনুরোধ করেছি।
সরকার কি আদর্শিকভাবে কোটা সংস্কারের পক্ষে যাচ্ছে কি-না জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, মামলাটি আদালতে আছে। তাও সর্বোচ্চ আদালতে। আদালতে যখন মামলার শুনানি শুরু হবে সরকার পক্ষ কোটার ব্যাপারে একটা প্রস্তাব দেবে। আমার মনে হয় আমরা যেহেতু সংস্কারের পক্ষে কোটা সংস্কার করার জন্য প্রস্তাব দেব। সেজন্য আপনারা বলতে পারেন আমরা (সরকার) কোটা সংস্কারের পক্ষে।
মন্ত্রী আরও বলেন, আন্দোলনকারীদের সাথে আমরা বসব, তারা যখনই বসবে আমরা রাজি আছি। আজকে বসলেও আমরা বসবো। (বাসস)