রবিবার ● ১৭ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » সর্বশেষ » ডুমুরিয়ায় শিক্ষা অফিসের অবহেলায় শতভাগ উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা
ডুমুরিয়ায় শিক্ষা অফিসের অবহেলায় শতভাগ উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত শিক্ষার্থীরা
ডুমুরিয়া প্রতিনিধি
ডুমুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের অবহেলায় ২১৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩৬ হাজার শিক্ষার্থী এ বছর শতভাগ উপবৃত্তির টাকা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। এ ঘটনায় অভিভাবক ও শিক্ষকদের মাঝে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সকলের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সরকার সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থীকে প্রতিমাসে ১’শ টাকা হারে উপবৃত্তি প্রদান করছে। এক বছরের জন্য ডুমুরিয়া উপজেলার ২১৩টি প্রাথমিক ও ৫টি এবতেদায়ী মাদ্রাসার ৩৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য সাড়ে ৪ কোটি টাকা বরাদ্দ আসার কথা। কিন্তু উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের দায়িত্বহীনতার কারণে মোট বরাদ্দ থেকে ৮১ লাখ ১৫০ টাকা কম এসেছে। এরফলে শিক্ষার্থীদের মাঝে ১২’শ টাকার পরিবর্তে ৮’শ টাকা করে প্রদান করা হচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে উপজেলার পশ্চিম বিলপাবলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক তপন কুমার রায় বলেন, খুলনার অন্যান্য উপজেলায় শতভাগ উপবৃত্তি প্রদান করা হচ্ছে বলে শুনেছি। কিন্তু আমাদের উপজেলা থেকে উপবৃত্তির টাকা কম দেওয়ায় আমরা শিক্ষার্থীদের কম দিতে বাধ্য হচ্ছি। খরসন্ডা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সভাপতি মাসুদ পারভেজ বলেন, ডুমুরিয়া উপজেলায় উপবৃত্তি নিয়ে যে অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তারজন্য শিক্ষা অফিসাররা দায়ী। ডুমুরিয়া সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সম্পাদক আসফর হোসেন জোয়াদ্দার বলেন, উপবৃত্তির টাকা আনতে উপজেলা শিক্ষা অফিস দায়িত্বহীনতার পরিচয় দিয়েছে। এ জন্য তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
বিয়য়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার অহিদুল ইসলামের দপ্তরে যেয়ে বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি কোনো প্রকার তথ্য না দিয়ে নানা রকম অজুহাত তুলে সময় ক্ষেপন করতে থাকেন। প্রায় ১ ঘন্টা অপেক্ষা শেষে তিনি সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বলেন, শিক্ষা অফিসের গাফিলতির কারণে এটা ঘটেছে কী না, তা আমি জানিনা। তবে আমরা চাহিদার থেকে ৮১ লাখ ১৫০ টাকা কম পেয়েছি বলে কম দিচ্ছি। আর বাকী টাকা চাওয়া হয়েছে। তবে ডুমুরিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার সিফাত মেহনাজ বলেন, টাকা কম আসার খবরটি জেনে আমি প্রকল্প পরিচালক বরাবরে আমি লিখেছি। আর আমি শুনেছি শিক্ষা অফিসের চাহিদার ভুলে এ ঘটনা ঘটেছে। উপজেলা চেয়ারম্যান ও শিক্ষা কমিটির সভাপতি খান আলী মুনসুর বলেন, শিক্ষা অফিসের গাফিলতির কারণেই আজ শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তির টাকা কম পাচ্ছে। খুলনা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার পারভিন জাহান ডুমুরিয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসের গাফিলতির অভিযোগ এড়িয়ে গিয়ে বলেন, আমি ঢাকায় যোগাযোগ করেছি, যাতে টাকাটা পাওয়া যায়।