বুধবার ● ২১ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » কপিলমুনিতে দোকান লুটপাটকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন
কপিলমুনিতে দোকান লুটপাটকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলুকে জড়িয়ে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশ প্রতিবাদে সংবাদ সন্মেলন
ছাত্র আন্দোলন ও দেশের গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী কপিলমুনিতে দোকান লুটপাটের ঘটনায় ১৯ আগস্ট জাতীয় ও আঞ্চলিক কিছু দৈনিকে ” বন্ধের পথে কপিলমুনি ঐতিহ্যবাহী বাজার, চাঁদা ছাড়া দোকান খুলতে পারছেনা ব্যবসায়ীরা” শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদটিতে কপিলমুনি এলাকার জনপ্রিয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু ও তার রাজনৈতিক সহকর্মীদের জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। উক্ত সংবাদের প্রতিবাদে বিএনপি নেতা শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু ২১ আগস্ট বুধবার দুপুর ১২ টায় তার নিজস্ব বাসভবনে সাংবাদ সন্মেলন করেছেন। সেখানে তিনি তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগগুলি সম্পর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবী করেছেন। পাশাপাশি সংবাদ সন্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পাঠকালে তিনি বলেন, আমি মোঃ শাহাদাৎ হোসেন ডাবলু আপনাদের এলাকার সন্তান। সুখে-দুঃখে এলাকার মানুষের পাশে ছিলাম, আছি ও থাকব। বলা বাহুল্য যে, কখনও ইউ,পি চেয়ারম্যান আবার রাজনৈতিক পদে থেকে এলাকায় গণমানুষের সেবা করেছি। আমি দীর্ঘ ৩৭ বৎসর যাবৎ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির সাথে সম্পৃক্ত। আমার পরিবারের সকল সদস্য জাতীয়তাবাদী চেতনায় উদ্ভুদ্ধ। আমার অন্য কোন রাজনৈতিক দল বা নিষিদ্ধ ঘটিত দলের সাথে কোন সম্পৃক্ত ছিল না বা নেই। কিন্তু অত্যান্ত পরিতাপের বিষয় হলো গত ইং ১৯ আগস্ট দৈনিক যুগান্তর, দৈনিক সময় খবর ও দৈনিক পূর্বাঞ্চল পত্রিকায়, “বন্ধের পথে কপিলমুনি ঐতিহ্যবাহী বাজার চাঁদা ছাড়া দোকান খুলতে পারছে না ব্যবসায়ীরা” শিরোনামে যে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে যাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্য প্রণোদিত। প্রকাশিত এই সংবাদের আমাকে ও আমাদের নেতাকর্মীদেরকে জড়িয়ে যে বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রকাশিত হয়েছে তাহার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়। প্রকাশিত সংবাদে উল্লেখিত সন্তোষ সরকার, সরদার তোফাজ্জেল হোসেন, জুলফিকার আলী জুলু, মাসুম হাজরা ও রায়হান আমার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহকর্মী। তারা কোনভাবেই এই ধরণের অন্যায় কাজে জড়িত না। এমনকি সরদার তোফাজ্জেল হোসেন ঐ দিন এলাকাতে ছিলেন না। মূলত আমার জনপ্রিয়তা ও রাজনৈতিক কর্মকান্ডে ঈর্ষান্বিত হয়ে সমাজের কাছে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে। খাল দখল, ঘের লুট ও হাজার হাজার মণ চিংড়ি মাছ জাল টেনে মারার যে কল্পকাহিনী তুলে ধরা হয়েছে তা আদৌও সত্য নহে। সংবাদের এক অংশে কপিলমুনি বাজারে দোকান দখল, লুটপাট ও চাঁদা নেওয়ার বিষয়ে যেটা বলা হয়েছে যাহা আদৌও সত্য নই বা তাহার সাথে আমাদের কোন সম্পৃক্ততা নেই। মূলত আমরা যতটুকু শুনেছি জনৈক ফারুক এর নেতৃত্বে অসীম রায়ের মিষ্টির দোকান ও জনৈক গৌরাঙ্গ সাধুর নেতৃত্বে নির্মাণ বিপণী ও বিশ্বজিৎ সাধুর চাউলের আড়ৎ সহ কয়েকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করেছে তারা। বরং বাজার লুটপাটকালে নির্মাণ বিপণীর মালিক বিপ্লব সাধু আমাকে ফোন দিলে আমি নিজে দ্রুত সেখানে গিয়ে লুটপাট ঘটনায় বাঁধা হয়ে দাঁড়িয়ে প্রতিরোধ করি। এরপর বিশেষ কাজে আমি পাইকগাছায় চলে যায়। পাইকগাছায় যাওয়ার পর অপর আরেক ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ সাধুর চাউলের আড়ৎতে ভাংচুর ও লুটের খবর পায়। তখন তাৎক্ষণিক আমি কপিলমুনি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শেখ আনোয়ারুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক সন্তোষ সরকার সহ আমাদের দলীয় নেতাকর্মীদের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তা দেওয়া ও হামলা, লুটপাট বন্ধের জন্য বিশ্বজিৎ সাধুর দোকানে যেতে বলি। শুধু তাই নয় ঐদিন থেকে কপিলমুনি বাজারের ব্যবসায়ীদের নিরাপত্তার স্বার্থে প্রতিদিন রাত জেগে আমি সহ আমাদের দলের নেতাকর্মীরা অদ্যাবধি পর্যন্ত রাতে পাহারার ব্যবস্থা করাসহ তাদের পাশে রয়েছি। তবে সর্বশেষ তিনি অখ্যাত তিনটি সাদা পেজ বিশিষ্ঠ কাগজের উপর স্বাক্ষরবিহীন কুখ্যাত, কাল্পনিক লেখা আবেদনপত্রটি দেখে মর্মাহত হয়েছেন। পাশাপাশি তিনি উক্ত ঘটনার সত্য ও অন্তরালের খবর গণমাধ্যমে তুলে ধরার জন্য স্থানীয় সংবাদকর্মীসহ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।