বৃহস্পতিবার ● ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » কৃষি » পাইকগাছায় আমনের আবাদ পুরাদমে এগিয়ে চলেছে
পাইকগাছায় আমনের আবাদ পুরাদমে এগিয়ে চলেছে
পাইকগাছায় রোপা আমন ধানের চারা রোপন পুরাদমে এগিয়ে চলেছে। কৃষকরা আমনের আবাদ নিয়ে ব্যস্ত সময় কাঁটাচ্ছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও আবহাওয়া জনিত কারণে উপকূল এলাকায় কৃষির মৌসুম দেরিতে শুরু হয়। এ জন্য লবণাক্ত উপকূল এলাকার পানি ও মাটি আমন চাষের তৈরী করতে কিছুটা সময় বেশি লাগে। তাছাড়া মৎস্য লীজ ঘের গুলো কিছুটা নিচু হওয়ায় আমন চাষের উপযোগি করতে আরো বেশি সময় লাগে। সে কারণে উপকূলের এ অঞ্চলে কৃষির আবাদ অন্যান্য এলাকা থেকে ২০ থেকে এক মাস পরে আবাদ শুরু হয়।
উপজেলা কৃষি অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি আমন মৌসুমে উপজেলায় ১৭ হাজার ৪২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আমন আবাদের জন্য ৯৭০ হেক্টর বীজতলা তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যে প্রায় ১০ হাজার ৬শ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ সম্পন্ন হয়েছে। কৃষকরা জমি তৈরি ও চারা রোপন নিয়ে ব্যস্ত দিন পার করছে। উপজেলার গদাইপুর গ্রামের কৃষক রফিকুল বলেন, অতি বৃস্টিতে এ বছর অনেক বীজতলার ক্ষতি হয়ছে। নতুন করে বীজতলা তৈরি করতে হয়েছে। তার জন্য অধিক মূল্যে বীজ ধান ক্রয় করতে হয়েছে। তাতে খরচের পরিমান বেড়ে গেছে। বৃস্টির কারণে আউশ ধান কাটতে দেরী হওয়ায় আমনের চাষও দেরিতে শুরু হয়েছে। গোপালপুর গ্রামের কৃষক শহিদুল বলেন, এলাকায় চাহিদার তুলনায় ধানের চারা কম থাকায় বিভিন্ন এলাকা থেকে অধিক মূল্য দিয়ে ধানের চারা ক্রয় করতে হচ্ছে।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ অসিম কুমার দাশ জানান, উপকূলের পাইকগাছা অঞ্চলের চাষাবাদ কিছুটা আবহাওয়ার উপর নির্ভর করে। অন্য এলাকার তুলনায় এ এলাকার কৃষি কাজ কিছুটা দেরিতে শুরু হয়। দেলুটি ইঊনিয়ানের কালিনগর এলাকায বেড়িবাধ ভেঙ্গে বিস্তৃন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় কৃষকরা নতুন করে বীজতলা তৈরি করছে। এ এলাকার কৃষকদের কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে ধান বীজ দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া কয়েক দিনের ভারী বৃস্টিতে কিছু বীজতলার ক্ষতি হয়েছে।কৃষকরা আমনের আবাদে পুরাদমে কাজ করছে।দেলুটির প্লাবিত এলাকা বাদে কয়েকদিনের মধ্যে উপজেলায় আমন আবাদ সম্পন্ন হবে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় আমনের আবাদ ভাল হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যাক্ত করেন।