সোমবার ● ৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনি প্রেসক্লাবে হত্যার বিচার চেয়ে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি প্রেসক্লাবে হত্যার বিচার চেয়ে চেয়ারম্যান ও তার বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি : আশাশুনির বুধহাটা ইউনিয়নের উত্তর চাপড়ায় হত্যা, হামলা ও ক্ষয়ক্ষতির বিচার চেয়ে আশাশুনি প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উত্তর চাপড়া গ্রামের মৃত. আব্দুর রাজ্জাক সরদারের ছেলে ইউনুছ আলী সরদারের পক্ষে নয়াখালী গ্রামের মৃত. আয়জদ্দিনের ছেলে আতাউর রহমান লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন। সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব ও লিখিত বক্তব্যে তারা বলেন, পাশের বেতনা নদীর তীরবর্তী এসএ ও ডিএস রেকর্ডীয় মালিক ছোরমান সরদার দিং এর সম্পত্তি নদী ভাঙ্গনের কারনে আরএস রেকর্ডে খাস খতিয়ানভুক্ত হয়েছে। পরবর্তীতে চর ভরাটি হওয়ায় ছোরমান সরদারের পুত্র ফজলুল হক রেকর্ড সংশোধনের জন্য দেওয়ানী মামলা রুজু করেন। যা বিচারাধীন রয়েছে। ওই জমিতে প্রতিপক্ষ উত্তর চাপড়া পশ্চিম পাড়া জামে মসজিদের নামে আওয়ামীলীগ সমর্থিত একটি পক্ষ সাইন বোর্ড স্থাপন করে জবর দখলে চেষ্টা চালায়। মসজিদের কমিটির সম্পাদক আব্দুস ছালামসহ কমিটির অধিকাংশ সদস্য ও মুসল্লিগন মসজিদের নামে নি:কন্ঠ জমি দান না করে বিরোধপূর্ণ জমিতে কমিটির অধিকাংশের অমতে সাইন বোর্ড স্থাপন করায় বিরোধীতা করেন। এক পর্যায়ে গত ৮ সেপ্টেম্বর সকাল ৯ টার দিকে ইউপি চেয়ারম্যান মাহবুবুল হক ডাবলু ও তার ভাই সাজ্জাদুল হক লাভলুর হুকুমে তাদের বাহিনী নজরুল ইসলাম লাল্টু, মিঠু সরদার, আবুল কাশেম, মুনছুর, বিল্লাল, জয়নাল, গাউছুল, ইয়াছিন, আজহারুলসহ ২১ জন ও অজ্ঞাত আরও ৪০/৫০ জন দা, লোহার রড, চাইনিজ কুড়াল, জিআই পাইপ, বাঁশের লাঠি ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত আচমকা ইউনুছের চাচাত ভাই আব্দুস সালামের বসত বাড়িতে হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ও আসবাবপত্র ভাংচুর লুটপাট করে অনুমান ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি করা হয়। ইউনুছ আলী সরদার সহ আব্দুল আজিজ সরদার, রেজাউল সরদার ও জাকারিয়া সরদার হামলাকারীদের বাঁধা দিতে গেলে জাকারিয়াকে চাইনিজ কুড়াল ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে মাথা সহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম করা হয়। গুরুতর আহত জাকারিয়াকে প্রথমে সাতক্ষীরা মেডিকেল নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা ৫শ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই দিন রাতেই জাকারিয়া মৃত্যু বরণ করেন। হামলার শিকার আব্দুল আজিজ, রেজাউল, হায়দার আলী, ইউনু্ছ, আজিজুর, কাদের, হাফিজুল, মুজাহিদ আরও ১০/১২ জন আহত হন। ওই দিন বেলা সাড়ে ১০ টার দিকে মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটে হামলার হুকুমদাতাদের কুট কৌশলে একটি মিছিল করা হয়।
এঘটনায় আশাশুনি থানা ও আদালতে মামলা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিল বলে ইউনুচ আলী জানান। সংবাদ সম্মেলনে হত্যা কান্ডের সাথে জড়িত ও হুমুকদাতাদের অতিদ্রুত গ্রেপ্তার পূর্বক আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবী জানান।
এদিকে, মুত. জাকারিয়ার লাশ খুলনা থেকে বাড়ী ফিরলে সোমবার বাদ আছর জামায়াত নরতা মাওঃ আফছার উদ্দীন মর্তুজার ঈমামতিতে নামাজে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।