শুক্রবার ● ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনির জামালনগরে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট
আশাশুনির জামালনগরে বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাপকের বাড়িতে হামলা ভাংচুর লুটপাট
আশাশুনি : আশাশুনির জামালনগরে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাংচুর, লুটপাট ও ঘেরাবেড়া দিয়ে জমি জবর দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এব্যাপারে সেনাবাহিনী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে। পরিবারের সদস্যরা চরম নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন।
দায়েরকৃত অভিযোগ জানাগেছে, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির সুযোগে জামালনগর গ্রামের মৃত. ছহিল উদ্দীনের ছেলে মাদকসেবী আব্দুল সালামের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই আলম সরদার, ভ্রাতুষ্পুত্র আমিরুল, খেড়ুয়ারডাঙ্গা গ্রামের মিজানুর ফকির, মামুন গাজী, চয়ন সরদার, রামীম সরদার, বাপ্পি ও মামুন গাজী, সালাম সরদারের বাড়িতে বসে পরিকল্পনা করে ৭ ও ৮ আগস্ট জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. জিএম তরিকুল ইসলামের গ্রামের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলাকারীরা অধ্যাপকের বাড়ীর সীমানা ঘেরা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে বাড়িতে থাকা নারী সদস্যদের অশ্লীল ভাষায় গালীগালাজ ও ভয়ভীতি দেখায়। অধ্যাপকের বৃদ্ধ মা (৭০), ছোট ভাইয়ের স্ত্রী ও দুটি শিশু কন্যাকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয় এবং রান্নাঘর ভাংচুর করে গুড়িয়ে দেয়, টিউবওয়েল উপড়ে নেয়, অসংখ্য মূল্যবান গাছগাছালী কেটে ফেলে, বাড়ির মাঝখান বরাবর ঘেরাবেড়া দিয়ে পথ তৈরি করে প্রায় ২ বিঘা জমি ও পুকুর জবর দখল করে নেয়। এরপর থেকে পুকুরের মাছ ধরে ও গাছের ফলফলাদি পেড়ে নিচ্ছে।
পরবর্তীতে নারী সদস্যরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে একপাশে অবস্থিত বসবাসের ঘরে উঠলেও ঘরের পানি সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকা, টিউবওয়েল না থাকা, রান্নাঘর না থাকা ও পুকুর বেদখল থাকায় সেখানে বসবাস অসম্ভব হয়ে পড়েছে। নানা হুমকি ধামকী ও নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে বসবাস কঠিন হয়ে পড়েছে।
অধ্যাপক ড. জিএম তরিকুল ইসলাম জানান, আমি ও আমার ছোট ভাই ঢাকায় বিগত ২/৩ বছর আমার অসুস্থ মেয়ের চিকিৎসা নিয়ে ব্যস্ত আছি। হামলাকারী সন্ত্রাসীরা পরিকল্পিত ভাবে রান্নাঘর গুড়িয়ে দিয়ে, টিউবওয়েল তুলে নিয়ে, পুকুর ও প্রায় ২ বিঘা জমি দখল করে, পানি বন্ধ করে দিয়ে খুবই অমানবিক কাজ করেছে। এমনকি আমার মৃত পিতা ও দাদীর কবর তুলে নেয়ার হুমকী দিচ্ছে। এব্যাপারে ন্যায় বিচার ও প্রতিকার পেতে আশাশুনি উপজেলায় দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর মেজর বরাবর ১১ আগস্ট আবেদন করি। থানা পুলিশের কার্যক্রম স্বাভাবিক না হওয়ায় থানায় অভিযোগ দেয়া সম্ভব হয়নি। আমরা ন্যায় বিচার প্রত্যাশা, সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী এবং অসুস্থ বৃদ্ধা মাতা ও পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তা দাবী করছি।