রবিবার ● ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ » আশাশুনিতে অবৈধভাবে জমি জবর দখলকারীদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনিতে অবৈধভাবে জমি জবর দখলকারীদের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন
আশাশুনি : আশাশুনির লাঙ্গলদাড়িয়া ক্রয়সূত্রে ভোগ দখলীয় সম্পত্তি থেকে জবর দখলকারী এক চক্রের ষড়যন্ত্র থেকে রক্ষা পেতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে।
রোববার দুপুরে আশাশুনি প্রেসক্লাবে উপজেলার শ্রীউলা ইউনিয়ন যুবদলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম লিখিত বক্তব্য ও বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জানান, তার আপন সহোদর ইয়াছিন আলি ও আব্দুল হাকিম সরদার কোবলা দলিল মূলে আব্বাছ আলী দিং এর নিকট থেকে লাঙ্গলদাড়িয়া মৌজার এসএ ২৯৪ নং খতিয়ানে সাবেক ১১০০ ও হাল ২৫৮৮ নং দাগে এবং খাল শ্রেনীর ৮০১ নং দাগে ৪৮ শতক জমি ১৯৮৮ সালে ক্রয় করে মালিক হয়েন। সে থেকে শান্তিপূর্ণ ভাবে ওই সম্পত্তিতে ভোগদখলে থাকাবস্থায় ২০১৬ সালে মাড়িয়ালা গ্রামের ইবাদুল গাজীর ছেলে আ’লীগ নেতা ইনছান আলী, আমির হোসেন জোয়ার্দ্দারের ছেলে মাদক সেবী মাস্টার শামিমুজ্জামান পলাশ, আবুল কালাম মোড়ল, আবু হাসান মোড়ল, মফিজুল মোড়ল ও ওহিদুল্লাহ কামাল দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সম্পূর্ণ বেআইনি ভাবে তাদের সম্পত্তি প্রকাশ্য দিবালোকে এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করে জবরদখল করে সেখানে বালি ভরাট দিয়ে আ’লীগ অফিস, মুক্তিযোদ্ধা অফিস ও আ.ফ.ম রুহুল হক পাঠাগার স্থাপন করে। এখবর ২ জুন’১৭ ও ২ এপ্রিল’১৮ তারিখে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় প্রকাশিত হয়। তাছাড়া জমির উপরে থাকা ৩টি দোকান ঘর ও মালিক পক্ষের ২০ হাজার ইট লুটপাট করে ট্রলিতে করে নিয়ে আত্মসাৎ করে। ওই জমি রক্ষার্থে জমি রক্ষার্থে কাজ করতে গেলেই ঝগড়া বিবাদ ও হুমকি ধামকি দেয়া হয়েছে। বাধ্য হয়ে আমি ও আমার ভাই বাদী হয়ে আব্দুল হাকিম সাতক্ষীরা (আশাশুনি) আমলি আদালতে সিআর ৯২/১৬ নং মামলা দায়ের করি। যা চলমান রয়েছে। মামলা দায়ের করায় তারা আরো ক্ষিপ্ত হয়ে বেপরোয়া আকার ধারন করে এবং দলীয় প্রভাব ও বাবা আমির জোয়াদ্দার মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সমস্যায় দালালি ও মুক্তিযোদ্ধার পরিচয়ে প্রশাসনের ভয় দেখিয়ে গত ২৮ এপ্রিল’১৮ তারিখে আমাদের দায়ের করা মামলার আসামীরা আমাদের উপর হমলা চালিযে আমার মেঝ ভাই আব্দুল হাকিমকে হত্যার উদ্দেশ্য পিঠের বাম পাশে শাবল দিয়ে স্বজোরে আঘাত করলে পাজরের হাড় কেটে ফুসফুস ছিদ্র হয়ে যায়। এঘটনায় চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২৮ এপ্রিল’১৮ তারিখে সিআর ৯২/১৮ নং মামলা দায়ের করি। উল্লেখিত মামলাটিও বিচারাধীন রয়েছে।
আমাদের ওই সম্পত্তির সমুদয় কাগজপত্র বৈধ থাকায় এবং জবর দখলকারীদের দখল অবৈধ হওয়ায় ২০২১ সালে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী মৌাজিস্ট্রেট মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে অবৈধ দখল উচ্ছেদের ব্যবস্থা করেন। কিন্তু দলীয় প্রভাব খাটিয়ে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে ত্রাস সৃষ্টি করে পরবর্তীতে মাষ্টার পলাশের নেতৃত্বে পুনরায় ওই জমি জবর দখল নিয়ে দুটি ঘর নির্মান করে বহাল তবিয়তে রামরাজত্ব কায়েম করতে থাকে। গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ত্যাগের পর এলাকার ত্রাস ও অবৈধ দখলকারীরা গ্রেপ্তার এড়াতে ভয়ে এলাকা ছেড়ে আত্মগোপন চলে । আমরা ৫ আগস্ট যখন বিজয় মিছিলে ছিলাম তখন ২০১৬ সালের জবর দখলকারী চক্র এলাকার ত্রাস ইয়াছিন ও তার বাহিনীর লোকজন সাতক্ষীরায় বসে আমাদের জমিতে জোরপূর্বক বানানো দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের সাজানো কাহিনী ও অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলন করে, আশাশুনিতে যুবদল নেতার দখল থেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ফিরে পাওয়ার দাবি জানিয়ে ষড়যন্ত্রের জাল বুনার অপচেষ্টা চালায় এবং দোকান ভাংচুর ও লুটপাটের মিথ্যা অভিযোগ করে বিভিন্ন পত্রিকায় খবর প্রকাশ করিয়েছে। অথচ আমরা কোন ভাংচুর লুটপাট করিনি, এমন কোন ঘটনাও সেখানে ঘটেনি। আমরা ভূমি দস্যু মাস্টার পলাম, ইয়াছিন ও তার বাহিনীর অবৈধ দখলদারিত্ব, ত্রাসের রাজত্বের পাশাপাশি মিথ্যাচার ও ষড়যন্ত্র প্রতারোধ এবং আইনের আওতায় নিয়ে উপযুক্ত শাস্তির দাবী জানিয়ে প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
সংবাদ সন্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, ইউনিয়ন যুবদল যুগ্ম-আহবায়ক হাবিবুর রহমান ও নূর ইসলাম সরদার, যুবদল আহবায়কের ভাই আব্দুর হাকিম, আব্দুল্লাহ সহ নেতা কর্মীবৃন্দ।