শুক্রবার ● ১ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » মিডিয়া » ২ নভেম্বর সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ শামসুর রহমান এর ১৬তম মৃত্যু বার্ষিকী
২ নভেম্বর সাংবাদিক ও রাজনীতিবিদ শামসুর রহমান এর ১৬তম মৃত্যু বার্ষিকী
২ নভেম্বর সাংবাদিক ও প্রথিতযশা রাজনীতিবিদ পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সাবেক সদস্য শামসুর রহমান এর ১৬তম মৃত্যু বার্ষিকী। তিনি বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক সিনিয়র নায়েবে আমীর ছিলেন। তিনি খুলনা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। সাপ্তাহিক তাওহিদ পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক ছিলেন।
তিনি ৫মে ১৯১৫ সালে খুলনা জেলার পাইকগাছা উপজেলার গদাইপুর ইউনিয়নের মটবাটি গ্রামে সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন। তার পিতা মৃত কফিল উদ্দিন সরদার ছিলেন একজন স্কুল শিক্ষক ও মাতা মৃত শরিফাতুন্নেসা গৃহিনী। তিনি চার পুত্র ও তিন কন্যা সন্তানের জনক ছিলেন। বড়পুত্র খুরশিদুল ইসলাম ও মেঝপুত্র মশিউল আযম উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ব্যবসা করছেন। সেজ পুত্র ডাক্তার শরিফুল ইসলাম আমেরিকা প্রবাসী এবং ছোট পুত্র মেজর মেসবাহুল ইসলাম। তিন কন্যার মধ্যে মাহমুদা শিরিন ও হুমায়রা পারভীন দেশে এবং বড় কন্যা ফিরোজা বেগম লন্ডনে বসবাস করেন।
১৯৪০ সালে অবিভক্ত বাংলায় রিলিফ কমিটির তিনি সেক্রেটারি ছিলেন। তিনি খুলনা টাউন মসজিদ, খুলনা আলিয়া মাদরাসা, বোয়ালিয়া সরকারি বীজ উৎপাদন খামার, পাইকগাছা সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়, সরকারি কলেজ, তোকিয়া গোলাবাটী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মঠবাটী দাখিল মাদ্রাসা, আল হেরা জামে মসজিদ, সিরাতুল হুদা ইয়াতিম খানা ও চিকিৎসা কেন্দ্রসহ সারা দেশে অসংখ্য দ্বীনি প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা রাখেন। তিনি নিজ উদ্যোগে পাইকগাছায় সিরাতুল হুদা নামক সমাজ সেবামূলক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন এবং তার চেয়ারম্যান হিসাবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১-২০০৩ সাল পর্যন্ত তিনি আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থা মুসলিম এইড বাংলাদেশ শাখার দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ও পরে উপদেষ্টা পরিষদ সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। মানুষের কল্যাণে তিনি সিরাতুল হুদা ট্রাষ্ট প্রতিষ্ঠা করেন। তার লেখা প্রকাশিত বই মানব জীবনের মূলমন্ত্র। ১৯৭৯ থেকে ৮১ পর্যন্ত তিনি ছিলেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল ও পরবর্তীতে নায়েবে আমীর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০০৮ সালে ২ নভেম্বর তিনি ৯৩ বছর ৫ মাস ২৯ দিন বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। তার গ্রামের বাড়ি পাইকগাছার গদাইপুর ইউনিয়নের মটবাটিতে তাকে সমাহিত করা হয়।