বুধবার ● ২৭ জুলাই ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » তালায় পাটের বাম্পার ফলন সোনালী স্বপ্ন দেখছে চাষিরা
তালায় পাটের বাম্পার ফলন সোনালী স্বপ্ন দেখছে চাষিরা
মো. রিপন হোসাইন,পাটকেলঘাটা ॥
ধন্য রাজার পূর্ন দেশ, প্রাকৃতির এই বাংলাদেশ। যদিও বর্ষে মেঘের প্রায় শেষ তবুও প্রকৃতি এ বছরে তা জানান দিয়েছে পাটকেলঘাটাসহ তালা উপজেলায়। সময়মতো বর্ষা হওয়ার কারনে সকল বৃক্ষরাজীগুলো শুধু ফুলে ফুলে ভরে যায়নি। শস্য,শ্যামল, সবুজে ঘেরা তালা উপজেলার কৃষকেরা পিছিয়ে থাকেনি তাদের বিভিন্ন ফসলাদি উৎপাদনের ক্ষেত্রে। গ্রামীন ঐতিহ্য বজায় রাখার দৃড় পত্যয় নিয়ে মাঠে নামলেও পরপর বেশ কয়েক বছর নানান প্রতিকুলতার কারনে এ সকল চাষাবাদ যেন তাদের কাছে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাড়িয়েছিলো। বর্তমানে সে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে অনুকুল পরিবেশে এবার পাট চাষ করেছে কৃষকেরা।
এক সময়ের সোনালী আঁশ পাটের সুদিন আবার ফিরে আসেছে তালা উপজেলায়। আর কৃষকেরা দেখছে সোনালী স্বপ্ন ,জলবায়ু পরিবর্তনে প্রাকৃতিক পরিবেশ বাঁচতে পরিবেশবাদ্ধব পাটের গৌরব ফিরে আসার উজ্বল সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। যাতে করে এ এলাকার সোনালী আঁশ পাট ফিরে পাবে তার হারানো যৌবনকে। পাট ও পাট শিল্পের উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা। এবছর সাতক্ষীরা জেলার তালা উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে পাটের আশাম্বিত ফলন হয়েছে। এখানকার গ্রামের মেঠো পাথের দু পাশ দিয়ে পাট চাষের সারি সারি মেলা চোখে মেলে। পাট মৌসুমের প্রায় শেষ সময় এখন। ব্যস্ততা বাড়তে শুরু করেছে কৃষকদের। তাদের মুখে একটি কাথা, গত কয়েক বছর লোকসান হলেও এবছর বাজারে পাটের ভালো দাম পাবো।
স্থানীয় কৃষকদের সঙ্গে কথা বল্লে সুজনশাহ গ্রামের রবিউল ইসলাম জানান, গতবছর বৃষ্টির অভাবে পাটের অবস্থা খুব খারাপ হয়ে পড়েছিলো। তাছাড়া পাটের বাজার দামও খুব কমছিলো। কিন্তু এবছর যথা সময়ে পানি পেয়েছি যে কারনে পাটের ফসলও ভালো হয়েছে পাশাপাশি এবার পাটের বাজার দরও খুবভালো পাবো বলে আশা করছি।
উপজেলা কৃষি অফিসের সূত্রে জানা যায়, তালা উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে এ বছর প্রায় ৩ হাজার ২শত হেক্টর জমিতে পাটের চাষ করা হয়েছে। এ সব পাটের বয়স তিন থেকে চার মাস। চাষীরা পাট বীজ বপনের পরপরই প্রাকৃতিক অনুকুল পারিবেশ পেয়েছে। যে কারনে অন্যান্ন বছরেরর তুলনায় এবার পাট অত্যান্ত ভালো হয়েছে।
তালা উপজেলার জুজখোলা গ্রামের পাটচাষী হাবিবুর জানান, আমি এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে পাট চাষ করেছি। সেঁচ সুবিধা যথা সময় বৃষ্টির কারনে পাট ভাল হয়েছে। আশা করি এবার পাট বিক্রয় করে গত বছরের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে পারবো।
তালা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সামছুল আলম বলেন, তালা উপজেলার পাট চাষের লক্ষমাত্র ১শত ৫০ হেক্টর থাকলেও তা ছাড়িয়ে গেছে। গত বছরের তুলনায় এবার চাষিরাও পাট চাষের জন্য অনুকুল পরিবেশ পেয়েছে। যে কারনে তার অন্যান্ন বছরের তুলনায় এবার বেশি লাভবান হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।