শুক্রবার ● ৮ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » আশাশুনির রুইয়ারবিল কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চরে ভয়াবহ ভাঙ্গন ; আতঙ্কিত এলাকাবাসী
আশাশুনির রুইয়ারবিল কপোতাক্ষ নদের বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চরে ভয়াবহ ভাঙ্গন ; আতঙ্কিত এলাকাবাসী
আহসান হাবিব, আশাশুনি : আশাশুনির রুইয়ারবিল কপোতাক্ষ নদের পাউবোর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন চরে ভয়াবহ ভাঙ্গনে আবারও ধ্বংস নামতে শুরু করেছে। আতঙ্কিত এলাকাবাসীর রাত কাটছে এখন নির্ঘুম। ভাঙ্গন রোধে জরুরী ভিত্তিতে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি এলাকাবাসীর।
গত বুধবার রাতের ভাটার টানে উপজেলার প্রতাপনগর ইউনিয়নের রুইয়ারবিল কপোতাক্ষ নদের পাউবোর বেড়িবাঁধ সংলগ্ন প্রায় ৩০০ ফুট চরে ভয়াবহ ভাঙ্গনে ধ্বংস নামতে শুরু করেছে। বেড়িবাঁধ চর ভাঙ্গন ধ্বংস রোধে জরুরী ভিত্তিতে বালু ভর্তি জিও বস্তা ডাম্পিং সহ স্থায়ী টেকসই ভাঙ্গন রোধ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে যে কোন মুহুর্তে নদের বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে আবারও বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হতে পারে। নদের লোনা পানিতে তলিয়ে যেতে পারে হাজার বিঘা মাঠ ভরা ধানের ফসল, ফসলী খামার, মৎস্য চাষ প্রকল্প, পুকুর, স্কুল, মাদ্রাসা, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ কয়েক মত বসতভিটা। এলাকায় সিমাহীন জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হতে পারে। সকাল সন্ধ্যা ভাটার টানে ভাঙ্গনে দ্রুত ও বড় এলাকাজুড়ে ধ্বংস নামতে শুরু করেছে। এমতাবস্থায় জরুরী ভিত্তিতে ভাঙ্গন রোধ সময়ের দাবি। ইউপি চেয়ারম্যান আল. আবু দাউদ ঢালী ও ইউপি সদস্য সোহরাব হোসেন ভাঙ্গন স্থান পরিদর্শন করেছেন। এসময় তারা বলেন বিগত আইলা, সিডর সহ বিভিন্ন ঘূর্ণিঝড় ও প্রাকৃতিক দূর্যোগে উল্লেখিত স্থান সহ ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্ট দিয়ে ভাঙ্গনে কপোতাক্ষ নদের পানি ভেতরে প্রবেশ করে এলাকা প্লাবিত হয়ে হাজার হাজার মানুষ পানি বন্ধি হয়ে পড়ে গৃহহারা হযে পড়েছিল। ক্ষয়ক্ষতির পরিমান এতো বেশী ছিল যে এলাকাবাসি পার্শ্ববর্তী এলাকা থেকে ১০/১৫ বছর উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়েছে। একুনি পানি উন্নয়ন বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হলে অদ্যবদি কার্যকর পদক্ষেপ করা হয়নি বা এগিয়ে আসেনি। এমতাবস্থায় দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহনে কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভূক্তভোগী এলাকাবাসিসহ জনপ্রতিনিধিবৃন্দ।