বুধবার ● ১৩ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » বিবিধ » উপকূলের টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসে বিশেষ আলোচনা ও মানববন্ধন
উপকূলের টেকসই উন্নয়ন ও সুরক্ষা নিশ্চিত করতে উপকূল দিবসে বিশেষ আলোচনা ও মানববন্ধন
প্রেস বিজ্ঞপ্তি: ১৩ই নভেম্বর ২০২৪ রোজ বুধবার উপকূল দিবস উপলক্ষে উপকূলীয় অঞ্চলের সুরক্ষা ও টেকসই উন্নয়নের গুরুত্ব তুলে ধরতে সুন্দরবন প্রেসক্লাবে লিডার্সের আয়োজনে আয়োজিত হলো বিশেষ আলোচনা সভা ও মানববন্ধন। অনুষ্ঠানের মূল উদ্দেশ্য ছিল উপকূল এলাকার পরিবেশগত বিপর্যয় রোধ, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলা, এবং স্থানীয় জনগণের টেকসই জীবনমান নিশ্চিত করার জন্য সমন্বিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার বর্মন। আলোচনা সভায় সভাপতি হিসেবে ছিলেন ফরেস্ট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আইয়ুব আলী। আরো উপস্থিত ছিলেন লিডার্সের প্রোগ্রাম অফিসার এ বি এম জাকারিয়া, ইউপি সদস্য নিপা চক্রবর্তী, সুন্দরবন প্রেসক্লাবের সভাপতি মোঃ বেলাল হোসেন, অ্যাডভোকেসি অফিসার তমালিকা মল্লিক সহ প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তারা উপকূল অঞ্চলের চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করেন। বিশেষ করে, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, ঝড়-জলোচ্ছ্বাস, মাটি ক্ষয়, এবং পানির লবণাক্ততা বৃদ্ধির ফলে এই অঞ্চলে জীবন-জীবিকার ওপর যে প্রভাব পড়ছে, সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে জোর দেওয়া হয়। বক্তারা বলেন, উপকূলীয় এলাকাগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ, এবং এ সমস্যা সমাধানে টেকসই উন্নয়ন কৌশল প্রয়োগের কোনো বিকল্প নেই।
লিডার্সের ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী পরিচালক রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন, সঠিক পরিকল্পনা ও কার্যকরী উদ্যোগের মাধ্যমে উপকূলীয় এলাকার সুরক্ষা সম্ভব। উপকূলবাসীর জীবনমান উন্নয়ন, কৃষি ও মৎস্য খাতের টেকসই উন্নয়ন, এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে সুরক্ষার জন্য আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার প্রয়োজন। তিনি উপকূলের সংকট নিরসনে উপকূলীয় উন্নয়ন বোর্ড গঠন করার দাবি জানান।
আলোচনা সভার পাশাপাশি মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা উপকূলের মানুষের অধিকারের সুরক্ষা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষায় কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানান। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, “উপকূলীয় এলাকার মানুষের টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে আমাদের এখনই কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। এজন্য সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, স্থানীয় প্রশাসন ও সাধারণ মানুষকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।”