রবিবার ● ১৭ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » বিবিধ » পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা সংবাদ সম্মেলনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন
পাইকগাছায় বীর মুক্তিযোদ্ধার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট সংবাদ সম্মেলন করার প্রতিবাদে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেছেন বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হোসেন। ১৭ নভেম্বর রবিবার দুপুরে প্রেসক্লাব পাইকগাছা এর কার্যলয়ে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ জামাল হোসেন বলেন, গত চার নভেম্বর সোমবার সকাল ১১ টায় পাইকগাছা থানাধীন দরগামহল নিবাসী শানিয়ার হোসেনের ছেলে শেখ মোস্তফা জামান আমার নামে মিথ্যা ও বানোয়াট। যে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন শেখ মোস্তফা জামান তাহা সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট ও আমার জন্য সামাজিক মান-মর্যাদা ক্ষুন্নসহ মানহানিকর। প্রকৃত ঘটনা হলো, রামনাথপূর মৌজায় বিআরএস দাগ নং-৮৭ ও ৯০ দাগে সর্বমোট ২.৪৪ একর জমির মধ্যে হইতে আমি দশমিক ৯১৫ একর জমি খরিদ সূত্রে ভোগ দখলে আছি। উক্ত দাগদ্বয় অন্তর্বত্নী বিআরএস ৩৮৬ খতিয়ানের মালিকের নিকট হইতে দশমিক ৪৭৮ একর জমি মোস্তফা জামান আমার অজ্ঞাতসারে খরিদ করেন। উক্ত জমি খরিদের পর আমি জানতে পেরে মোস্তফা জামানকে তাহার খরিদকৃত জমিতে ডেকে আনি। এসময়ে দলিলের পন মূল্যে আমি খরিদ করিতে চায় এবং নগদ টাকা প্রদানের জন্য সঙ্গে সঙ্গে প্রস্তাব রাখি। মোস্তফা জামান পন মূল্য নিতে অস্বীকার করায়, গত ২৮ ফেব্রুয়ারী ২৪ আমি সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানি ৫০/২০২৪ নং অগ্র ক্রয় বাবদ মামলা দায়ের করি। উক্ত মামলার পদাতিক সমন অক্টোবর মাসের প্রথম সপ্তাহে জারি হওয়ার পর গত ৮ অক্টোবর শেখ মোস্তফা জামান তাহার পরিবারের লোকজন সহ ৮/১০ জন মিলে সন্ধ্যার আগ মুহূর্তে আমার খরিদকৃত জমি হইতে আমাকে জোর পূর্বক ধরিয়া এনে বাদামতলা নামক স্থানে হোসেন ডাক্তারের ঘরে আটক রেখে মান অপমান করা, শারীরিকভাবে নির্যাতনসহ উল্লেখিত মামলা পত্যাহারের জন্য চাপ সৃষ্টি করেন। এবং ১০ দিনের মধ্যে মামলা তুলে না নিলে জীবন নাশের হুমকি দিতে থাকাকালীন সময়ে আমার ছেলে জানতে পেরে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসে তাদের প্রতি অনুনয় - বিনয় প্রকাশ করে আমাকে মুক্ত করেন। এছাড়াও পরবর্তীতে গত ৩১ অক্টোবর স্থানীয় মাহমুদকাটি মজিদ মোড়লের ইট ভাটায় আমি ইট খরিদ করিতে গেলে শেখ মোস্তফা জামান জানতে পেরে তাহার পরিবারের লোকজন নিয়ে সংবদ্ধভাবে আমাকে মান অপমান সহ হেনস্তা করিতে থাকে। এসময়ে ইট ভাটার লোকজন এসে আমাকে মুক্ত করে স্থান ত্যাগ করার সুযোগ করে দেন। পাশাপাশি মোস্তফা জামান মুক্তিযোদ্ধার দাপট দেখিয়ে থানায় ঝুলিয়ে রাখার হুমকিসহ অস্ত্র দিয়ে গুলি করার মিথ্যা ও বানোয়াট যে বিষয়গুলো উপস্থাপন করেছেন তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। প্রকৃতপক্ষে আমার লাইসেন্সধারী পিস্তল ও গুলি গত ২৯ আগস্ট ১০৮৬ নং জিডি মুলে পাইকগাছা থানায় জমা প্রদান করি। এমতাবস্থায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিনি উল্লেখিত বিষয় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের দৃষ্টিগোচর করার আবেদন জানিয়েছেন।