শনিবার ● ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » আঞ্চলিক » মাগুরা মুক্ত দিবসে র্যালী,আলোচনা সভা ও মোমবাতি প্রজ্জলন
মাগুরা মুক্ত দিবসে র্যালী,আলোচনা সভা ও মোমবাতি প্রজ্জলন
মাগুরা প্রতিনিধি : মাগুরা মুক্ত দিবসে মাগুরা প্রেসক্লাব র্যালী,আলোচনা সভা ও মোমবাতি প্রজ্জলন করেছে । গতকাল শনিবার দুপুরে মাগুরা প্রেসক্লাব চত্বর থেকে একটি র্যালী বের হয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে। এ র্যালীতে মাগুরার প্রেসক্লাবের সদস্যরা অংশ নেয় । র্যালী শেষে মাগুরা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় । সভায় মাগুরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাইদুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন মাগুরা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শফিক ,সাংবাদিক ও মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউর রহমান । সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে ১ মিনিট নিরাবতা পালন করা হয় । উল্লেখ্য, ১৯৭১ সালের এই দিনে মহান মুক্তিযুদ্ধে পাকহানাদার মুক্ত হয় মাগুরা। পাক বাহিনীর বিরুদ্ধে তৎকালিন মাগুরা মহাকুমায় ব্যাপক প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলার ক্ষেত্রে সর্বদলীয় সংগ্রাম পরিষদ অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। এ উপলক্ষে সন্ধ্যায় মাগুরা প্রেসক্লাব ভবনে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে মোমবাতি প্রজ্জলন করা হয় । উল্লেখ্য, মাগুরাকে শত্রু মুক্ত করতে শ্রীপুরের আকবর হোসেন মিয়ার নেতৃত্বাধীন শ্রীপুর বাহিনী, মহম্মদপুরের ইয়াকুব বাহিনী, মহম্মদপুর-ফরিদপুর অঞ্চলের মাশরুরুল হক সিদ্দিকী কমল বাহিনী, মাগুরা শহরের খন্দকার মাজেদ বাহিনী এবং লিয়াকত হোসেনের নেতৃত্বে মুজিব বাহিনীসহ বীর মুক্তিযোদ্ধারা ব্যাপক সাহসী ভূমিকা নিয়ে পাক সেনা ও স্থানীয় রাজাকার আল বদর বাহিনীর সাথে প্রাণপণ যুদ্ধ করে। গেরিলা বাহিনীর ব্যাপক আক্রমনের মুখে পাক বাহিনী পিছু হটতে শুরু করে। ৬ ডিসেম্বর মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনী নিজনান্দুয়ালী গ্রামসহ বিভিন্ন পাকিস্তানী ক্যাম্পে আক্রমণ চালায়। একই সাথে মিত্রবাহিনীর আগ্রাসনের ভয়ে পাকিস্তানী সেনারা রাতারাতি মাগুরা শহর ত্যাগ করতে বাধ্য হয়। ৭ ডিসেম্বর মাগুরা শত্রুমুক্তির আনন্দে মুক্তিকামি মানুষের ঢল নামে সারা শহরে। জয় বাংলা শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে গোটা মাগুরা এলাকা। মাগুরা নোমানী ময়দানে মুক্তি বাহিনী ও মিত্র বাহিনীর সম্মিলিত কুজকাওয়াজের মাধ্যমে আনুষ্ঠনিকভাবে মাগুরাকে পাকহানাদার মুক্ত বলে ঘোষণা করা হয়।