শিরোনাম:
পাইকগাছা, রবিবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৫ পৌষ ১৪৩১

SW News24
শনিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » কপিলমুনিতে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ছোট ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত
প্রথম পাতা » বিশেষ সংবাদ » কপিলমুনিতে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ছোট ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত
৩১ বার পঠিত
শনিবার ● ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

কপিলমুনিতে জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে ছোট ভাইকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত

 --- পাইকগাছার কপিলমুনিতে ছোট ভাইকে বঞ্চিত করে বড় ভাই জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে তঞ্চকতামূলক কাগজপত্র সৃষ্টি করে দোকান ঘরের দখল নেওয়ায় ছোট ভাইয়ের দায়ের করা মামলায় বড় ভাই সুকুমার কর্মকার এখন জেল-হাজতে রয়েছে।

এদিকে বাবা জেলে থাকায় তার ছেলে পলাশ কর্মকার বর্তমানে আরো বেপরোয় হয়ে উঠেছে। কাকা পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে রামপ্রসাদ কর্মকারের বিরুদ্ধে নিজ বাড়িতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে নানা কুৎসা রটনার পাশাপাশি নানাবিধ হুমকি-ধামকি অব্যাহত রেখেছে। এমনকি বাবাকে জেল থেকে ছাড়িয়ে আনার পর তাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন উ: সলুয়ার রামপ্রসাদ কর্মকার।

অভিযোগে বলা হয়, উপজেলার হরিঢালীর উত্তর সলুয়া গ্রামের মৃত গোষ্ট কর্মকার তার জীবদ্দশায় গত ১০ ডিসেম্বর ৯৫ তারিখে নিয়মানুযায়ী এককালীণ ৫০ হাজার টাকা জমা দিয়ে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরের মালিকানাধীন সম্পতিতে নির্মিত মার্কেটের (স্বর্ণ পট্টির) একটি পজিশন বন্দোবস্ত নেন। বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ১৫০ টাকার ননজুডিশিয়াল একটি লিখিত চুক্তিপত্রের মাধ্যমে এককালীণ টাকা পরিশোধ ও মাসিক ভাড়া চুক্তিপত্রে গোষ্ট কর্মকার জাতীয় পরিচয়পত্র অনুযায়ী নিজ নাম স্বাক্ষর করেন। এরপর ২০১৬ সালের ১ জানুয়ারী গোস্ট কর্মকারের মৃত্যু হলে তার বড় ছেলে সুকুমার কর্মকার বাবার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাগডেটে ১৬ সেপ্টেম্বর ৯৯ সালে একটি তঞ্চকতাপূর্ণ হস্তান্তর পত্র প্রস্তুত করে ঐ দোকান ঘরের দখল নিয়ে সেখানে ছেলে পলাশ কর্মকারকে দিয়ে জুয়েলারীর ব্যবসা শুরু করান।

উল্লেখ থাকে যে, মালিকানা হস্তান্তরে স্কুল কর্তৃপক্ষের দেওয়া শর্তাবলীর ৫নং শর্তানুযায়ী পজিশন বা দোকান ঘর হস্তান্তরে প্রথম পক্ষ অর্থাৎ স্কুল কতৃপক্ষকে জানিয়ে নতুন ভাড়াটিয়া উদ্বৃত্ত এগ্রিমেন্টবাবদ আরো ১০ হাজার টাকা প্রদান পূর্বক স্কুল কতৃপক্ষের সাথে নতুন চুক্তিপত্রে আবদ্ধ হবেন। তবে তঞ্চকতাপূর্ণ হস্তান্তর পত্রে স্কুল কতৃপক্ষের শর্ত ভঙ্গ করা হয়েছে। এছাড়া অভিযোগে আরো বলা হয়, গোষ্ট কর্মকারের নিকট থেকে স্কুল কতৃপক্ষ ২০০৬ সাল পর্যন্ত ভাড়া গ্রহন করে রশিদ প্রদান করেন। যদি ৯৯ সালে গোষ্ট কর্মকার সুকুমারকে দোকান হস্তান্তর করেন তবে, ২০০৬ সাল পর্যন্ত স্কুল কতৃপক্ষ গোষ্ট কর্মকারের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে রশিদ দেন কিভাবে? হস্তান্তর পত্র বৈধ হলে তো স্কুল কতৃপক্ষ সুকুমারের কাছ থেকে ভাড়া গ্রহন করবেন। এছাড়া ৯৯ সালের হস্তন্তরপত্রে ৩ জন স্বাক্ষীর ২ জনের স্বাক্ষরে পৃথক তারিখ উল্লেখ থাকে যথাক্রমে ২০/৯/৯৯ ও ২৫/৯/৯৯। ইতোমধ্যে ৩ জন স্বাক্ষীর একজন ধনঞ্জয় সাধু নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এফিডেভিট করেন যেখানে তিনি উল্লেখ করেন, সুকুমার কর্মকারের ছেলে পলাশ কর্মকার একটি স্ট্যাম্প নিয়ে তাতে স্বাক্ষর করতে বলায় তিনি স্বাক্ষর করেছিলেন তবে সেখানে গোষ্ট কর্মকার উপস্থিত ছিলেন না।

অভিযোগে আরো বলা হয়, গোষ্ট কর্মকার তার নিজ নাম স্বাক্ষরে বরাবর আইডি অনুযায়ী গোষ্ট কর্মকার লিখলেও তঞ্চকতাপূর্ণ চুক্তিপত্রে তার স্বাক্ষর হিসেবে গোষ্ট বিহারী কর্মকার দেখানো হয়েছে। এছাড়া চুক্তিপত্রের ১০০ ও ৫০ টাকার স্ট্যাম্প দুটি পাশাপাশি সিরিযাল অনুসরণ না করে যথাক্রমে ১৫৩৮৬১৫ ও জ ৫৫৫৮৪৩২ দেখানো হযেছে।

সর্বশেষ গোষ্ট কর্মকারের ছোট ছেলে পঙ্কজ কর্মকার তার বড়ভাই সুকুমারের কাছে গত ২৭ নভেম্বর ২২ সালে বাবার ত্যক্ত সম্পত্তির ভাগ চাওয়ায় শুরু হয় বিপত্তি। উল্টো তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও হুমুক-ধামকি দিলে বাধ্য হয়ে পঙ্কজ গত ৩০ নভেম্বর ২২ সালে পাইকগাছা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সুকুমারকে প্রধান করে তিনজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন। যার নং ১৩২৩/২২। আদালত মামলায় ৮/১২/২২ তারিখে বিষয়টি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য সিআইডি খুলনাকে নির্দেশ দেন। যার স্মারক নং-৬৭০/২২।

যার প্রেক্ষিতে সিআইডি মেট্টো এন্ড জেলা মামলাটি তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১/১/২০২৩ তারিখে এসএস/খুলনা/কোর্ট/১৭১- ২০২২/৫/১(৩) নং স্মারকে সিআইডির উপ-পুলিশ পরিদর্শক (নি:) অমিতাভ সন্যাসীকে তদন্তকারী অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেন। তিনি গত ২৪/১০/২৪ তারিখে ৩০৪১ নং স্মারকে সরেজমিন তদন্ত, ফরেনসিক বিভাগের সহযোগীতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে পর্যালোচনা করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন। যেখানে বাবার রেখে যাওয়া সম্পত্তি সুকুমার কর্মকার নিজে আত্নসাৎ করতে মিথ্যা স্বাক্ষী প্রস্তুত ও জালিয়াতির মাধ্যমে তঞ্চকতাপূর্ণ কাগজপত্র সৃষ্টি করে।

মামলায় সিআইডির প্রতিবেদন বিপক্ষে চলে যাওয়ায় জালিয়াতির মূল হোতা সুকুমার কর্মকার ও হস্তান্তর চুক্তিপত্রের কথিত স্বাক্ষী গোপাল চন্দ্র দাশসহ আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারী হলে বৃহস্পতিবার গত ২১ নভেম্বর রাতে থানা পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে। যাদের একজন গোপাল চন্দ্র দাশের জামিন হলেও সুকুমার এখনো জেলে রয়েছে।

এদিকে ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সুকুমার কর্মকারের ছেলে পলাশ কর্মকার ২৮ ডিসেম্বর শনিবার নিজ বাড়িতে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন। যেখানে পঙ্কজ কর্মকার ও তার ছেলে সাংবাদিক রামপ্রসাদ কর্মকারসহ সংশ্লিষ্ট সিআইডি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মনগড়া কল্পকাহিনী মঞ্চস্থ করেন। যেখানে রামপ্রসাদ কর্মকারকে ছাত্রলীগের ক্যাডার হিসিবে অভিহিত করা হলেও মূলত তিনি কোন দিন কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন না। বর্তমানে তিনি দৈনিক চৌকস পত্রিকার কপিলমুনি প্রতিনিধি ও কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সদস্য।

অভিযোগে বলা হয়, পলাশ কর্মকার পঙ্কজ ও তার ছেলে রামপ্রসাদসহ গোটা পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নস্থানে দেখলে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও জীবরননাশের হুমকি দিচ্ছে। তার ভয়ে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে। এ সংক্রান্তে এর আগে থানায় সাধারণ ডায়েরী করা হয়েছে। সর্বশেষ পলাশগং পঙ্কজের দায়ের করা মামলায় বাদী ও স্বাক্ষীদেরও জীবননাশের হুমুকি অব্যাহত রেখেছে।

অভিযোগে বলা হয়, পলাশ কর্মকার ও তার পিতা সুকুমার বরাবরই সুযোগ সন্ধানী ও পরসম্পদলোভী। স্বীয়স্বার্থ হাসিলের জন্য পলাশ বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সরকারের জনপ্রতিনিধিদের সাথে হাত মিলিয়ে চলে। গত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে সে স্থানীয় এমপির চিহ্নিত দোসর হিসেবে চিহ্নিত ছিল। এরপরও তার নেতৃত্বে গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের সুযোগ নিয়ে ঐদিন বিকেল ৪ টার দিকে পঙ্কজের লোহার দোকান লুট করিয়ে দেয়। যাতে তার প্রায় ৮ লক্ষ টাকার ক্ষতিসাধন হয়। বর্তমানে রাতারাতি ভোল পাল্টে আওয়ামী বিরোধী হওয়ার ভান ধরছে।





বিশেষ সংবাদ এর আরও খবর

বাড়ি ছেড়েছেন লাঞ্ছিত সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা বাড়ি ছেড়েছেন লাঞ্ছিত সেই বীর মুক্তিযোদ্ধা
পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে ৪ গ্রামের ভিটে মাটি বিলিন হতে চলেছে পাইকগাছায় কপোতাক্ষ নদের ভাঙ্গনে ৪ গ্রামের ভিটে মাটি বিলিন হতে চলেছে
বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা বিশেষ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ৯ দফা নির্দেশনা
বাংলাদেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে: জাতিসংঘ বাংলাদেশে ৪ কোটি ১৭ লাখ মানুষ চরম দারিদ্র্যে: জাতিসংঘ
পেলেন না মুক্তিযোদ্ধার অন্তিম সম্মান; বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামীর কবরে শায়িত মতিয়া চৌধুরী পেলেন না মুক্তিযোদ্ধার অন্তিম সম্মান; বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে স্বামীর কবরে শায়িত মতিয়া চৌধুরী
পাইকগাছায় দুর্গা পূজার সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় অনুষ্ঠান বন্ধের হুমকি ! পাইকগাছায় দুর্গা পূজার সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানে অতিথি না করায় অনুষ্ঠান বন্ধের হুমকি !
অস্তিত্ব সংকটে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী অস্তিত্ব সংকটে খুলনা বিভাগের ৩৭ নদী
দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘাপটি মেরে থাকা চরমপন্থীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ঘাপটি মেরে থাকা চরমপন্থীরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে
উপজেলা চেয়ারম্যানদের ৭৭ শতাংশই ব্যবসায়ী : সুজন উপজেলা চেয়ারম্যানদের ৭৭ শতাংশই ব্যবসায়ী : সুজন

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)