বুধবার ● ৩ আগস্ট ২০১৬
প্রথম পাতা » কৃষি » ডুমুরিয়ায় ১২ ফুট উচ্চ্তা সম্পন্ন বিরল প্রজাতির বেগুনের চাষ
ডুমুরিয়ায় ১২ ফুট উচ্চ্তা সম্পন্ন বিরল প্রজাতির বেগুনের চাষ
অরুন দেবনাথ,ডুমুরিয়া
ডুমুরিয়ায় ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চ্তা সম্পন্ন বিরল প্রজাতির বেগুনের চাষ করেছে আয়নাল মোড়ল নামের এক কৃষক। মালেশিয়া থেকে আমদানিকৃত প্রায় ১০ বছর আয়ুকাল বিশিষ্ট একটি বেগুন গাছে বছরে ৭০/৮০ কেজি বেগুন উৎপাদিত হয়ে আসছে বলে জানান তিনি।। এমন প্রজাতির বেগুন গাছ আগে কখনো দেখেনি বলে জানান উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ নজরুল ইসলাম। ইতিমধ্যে বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত দর্শনার্থী ও চারা নিতে আগ্রহীরা প্রতিনিয়ত ভীড় জমিয়ে আসছেন ওই কৃষকের বাড়ীতে। গত মঙ্গল দুপুরে উপজেলা কৃষি অফিসের ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল যান দক্ষিন
ডুমুরিয়ার ওই কৃষক আয়নাল মোড়লের বাড়ীতে। সরেজমিনে গিয়ে কৃষক ও কৃষি কর্মকর্তার সাথে কথা বলে জানাযায়
কৃষকের ছোট ভাই আসলাম মোড়ল ২০১৪ সালে মালেশিয়া থেকে এই বীজ আমদানী করে ৬ টি চারা উৎপন্ন করে। যার ২টি চারা সে নিজে ও ৪টি বড় ভাই আয়নাল রোপন করে। এর কিছু দিন পর প্রবাসী আসলামের অকাল মৃত্যু হয়।অপরিকল্পিত ভাবে রোপিত ৬টির মধ্যে আয়নালের ২টি চারা গাছ বেচে থাকে। যা মাত্র ৪ মাসের মাথায় লম্বা আকৃতির সুস্বাধু বেগুন দিতে শুরু করে দু বছরের মধে ১০ থেকে ১২ ফুট উচ্চ্তা বিশিষ্ট গাছে পরিনত হয়।গাছ দুটিতে
১২ মাসই সমানে উৎপাদিত হয়ে আসছে। গত দু বছরে প্রায় ৪ মন বেগুন উৎপাদিত হয়েছে বলে কৃষক জানান। তিনি আরো জানান এ পর্যন্ত ৭০টি বেগুনের বীজ থেকে উৎপাদিত চারা তিনি ভাইয়ের রুহের মাগফিরত কামনায় বিনা মুল্যে
বিতরন করেছেন এবং আগামিতেও করবেন। তবে শর্ত একটাই তাদেরকেও বিনা মুল্যে চারা বিতরন করতে হবে। ইতি
মধ্যে কৃষকের পুত্র নাদিম হাসান নয়ন ২৫ শতাংশ জমিতে ১৪৫টি চারা রোপন করেছেন। প্রতিবেশী কৃষক গাজী মেহেদী
হাসান জানান তিনি সহ এলাকার অনেকেই আতি আগ্রহের সাথে এই প্রজাতির বেগুনের চাষ শুরু করেছে। এমন প্রজাতির বেগুন গাছ আগে কখনো দেখেনি উল্লেখ করে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম বলেন পরিকল্পিত ভাবে চাষাবাদের
মধ্যদিয়ে অনেক লাভবান হওয়া সম্বব। দেশের সর্বত্র এর চাষাবাদ ছড়িয়ে পড়–ক এমন আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।